ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : বাংলাদেশের সংবিধানের মৌল নীতিগুলোর অন্যতম একটি জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা। জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা হানিকর এমন সব কাজ সংবিধানে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জুয়া খেলা একটি অনৈতিক কাজ। সংবিধানে বলা হয়েছে- জুয়া খেলা নিরোধে রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
জুয়া হরেক রকমের হয়ে থাকে। তারমধ্যে তাসের মাধ্যমে জুয়া খেলা অন্যতম। যা আমাদের সংবিধান এবং দেশে প্রচলিত আইনে নিষিদ্ধ।
তারপরও ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে এখন আর পানক্ষতে অথবা নির্জন স্থানে জুয়াড়িদের জুয়া খেলতে হয় না। বর্তমানে প্রকাশ্য দিবালোকে অথবা রাতের আঁধারে গভীর রাত পর্যন্ত খেলা চলছে মোড়ো মোড়ে,দোকানে দোকানে। এইতো কিছুদিন পূর্বেও জুয়াড়িদের ধরতে নানা কৌশল অবলম্বন করেছিল পুলিশ। থানা পুলিশের সদ্য বদলিকৃত অফিসার ইনচার্জ জনাব আবু আজিফ, সাইফুল ইসলাম একের পর এক জুয়াড়িদের আড্ডাখানা ভেঙ্গে দেওয়ায় বন্ধ হয়েছিল খেলা। সদ্য যোগদানকৃত অফিসার ইনচার্জ জনাব জিয়াউর রহমান ও এব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন বলে জানা গেছে।
কিন্তু মুহুর্তেই পাল্টে গেছে দৃশ্য। বর্তমানে হরিণাকুণ্ডুর পারদখলপুর,শ্রীরামপুর, পোলতাডাঙ্গা,হরিশপুর,রামচন্দ্রপুর,থানার পাশে পার্বতীরপুর মাছের আড়ৎ,চটকাবাড়িয়ায় প্রকাশে দিবালোকে,সন্ধারাতে এমনকি গভীর রাত পর্যন্ত ডিউটিরত পুলিশের চোখের সামনে এসব খেলা চলমান থাকলেও কোন মাথাব্যাথা নেই কারো। এমনকি তথ্য দিলেও এদের ধরছে না পুলিশ এমন অভিযোগ উঠেছে।
গত রাত বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত খেলা চলছে এমন জুয়াড়িদের নামসহ থানা পুলিশের নিকট তথ্য দিলে
অজানা কারণে তাদের সতর্ক করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার ৪নং দৌলতপুর ইউনিয়নের সোনাতনপুর পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই রেজোওয়ানুর হক এর বিরুদ্ধে। গভীর রাতে একাধিক জুয়াড়ীদের ছেড়ে দিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন তিনি, শুধু তাই নয় চলমান জুয়াড়িদের ছেড়ে দিয়ে চা পানি পান করে নির্জনে দেখা করে, পুলিশকে জানানোর জন্য তথ্য প্রদানকারীকে জোরে জোরে গালি গালাজ করে চলে গেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে ।
এঘটনা জানার পর পুলিশের ঐ এএসআই এর উপর সাধারণ মানুষের বিরুপ মন্তব্য করতে দেখা গেছে।
গোপন তথ্যমতে জানা যায় গতকাল উপজেলার পারদখলপুর বটতলা বাজারে গভীর রাত পর্যন্ত নাজমুল হোসেন লিন্টু,বোরহান উদ্দিন মাস্টার,খাইরুল ইসরামসহ কয়েকজন নগদ টাকা দিয়ে জুয়া খেলতে ছিল। কিন্তু পুলিশের ঐ এএসআই চোখের সামনে লিন্টুর দোকানে না গিয়ে বাবুলের দোকানে গিয়ে সেখানে কিছু খেলোয়ারদের ধরে,এসময় তিনি জোরে জোরে লিন্টুর দোকান কোনটা জানতে চাই। ততক্ষণে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাস ও টাকা সরিয়ে ফেলে এবং তিনি ওসি কে ভিডিও কলে দেখান এখানে কোন খেলা হচ্ছে না। অনুসন্ধান ও পুলিশ সদস্য এএসআই রেজওয়ান এর সাথে কথা বলে জানা গেছে তিনি মোড়ের সকল দোকানীদের খুব ভালো করে চেনেন কোনটা কার দোকান। তারপরও অজানা কারণে তিনি অভিযোগ দেওয়া লিন্টুর চেনা দোকানে না গিয়ে বাবুলের দোকানে গিয়ে সাজানো নাটক করে জুয়াড়ীদের সহযোগিতা করেছেন বলে জানা গেছে।
এমন সংবাদ থানা অফিসার ইনচার্জ জনাব জিয়াউর রহমানকে জানালে তিনি পুলিশ পাঠান। কিন্তু ক্যাম্পের এএসআই হাতেনাতে ধরার পরও তাদের ছেড়ে দিয়ে ওসিকে মোবাইলে জানান স্যার তিনি এসপির চাচা বোরহান উদ্দিন ।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে এসপি বাবা মরহুম মফিজ উদ্দিনের বোরহান জুয়াড়ি নামে কোন ভাই নেই। তবে জনাব বোরহান উদ্দিন মাস্টার নামে চাচাতো চাচা আছেন।
তবে জমি জায়গা নিয়ে বোরহান উদ্দিনের সাথে তাদের কথাবার্তা হয়না বলে এলাকাবাসি জানিয়েছে। এসময় স্থানীয়রা আরো জানান,বোরহান জুয়াড়ি অনেক দিন ধরে এলাকার কিছু সাধারণ মানুষে নষ্ট করে জুয়ার নেমাতে মাতিয়েছে।
Leave a Reply