21 Nov 2024, 05:40 pm

চট্টগ্রামে সম্পত্তির জন্য মাকে গলা টিপে হত্যার চেষ্টা ; দুই ছেলে কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক :  চট্টগ্রামে সম্পত্তি পাওয়ার জন্য নিজের গর্ভধারিণী মাকে মারধর ও গলা টিপে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দুই সন্তানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

রোববার (৩১ মার্চ) চট্টগ্রামের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমেদ ভুঞাঁর আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

অভিযুক্তরা হলেন- সুমন বড়ুয়া (৪২) ও অনুপম বড়ুয়া (৪০)। তারা চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার গহিরা ইউনিয়নের অংকুরঘোনা গ্রামের মৃত সৃজিত কুমার বড়ুয়ার ছেলে।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী জেলা পিপি অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত বছরের ৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মিনু রানী বড়ুয়া নামে এক নারী তার তিন সন্তানের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। দণ্ডবিধি ৪৪৮/৩২৩/৩০৭/৪২৭/৫০৬/৩৪ ধারায় অভিযোগে করা এই মামলায় আদালত তখন আসামিদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন।

গত ১১ ফেব্রুয়ারি আসামিরা উচ্চ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন। এ সময় আদালত তাদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করার শর্তে আগাম জামিন দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, আজ দুই আসামি হাইকোর্টের নির্দেশে আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। এ সময় আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, বাদিনীর স্বামী সৃজিত কুমার বড়ুয়া মার্স কর্পোরেশন নামে একটি সিএন্ডএফ এজেন্টের মালিক ছিলেন। জীবিত থাকাকালে তিনি তার স্ত্রী ও নিজের নামে চট্টগ্রাম নগরের লালখান বাজারসহ একাধিক জায়গায় বাড়ি ও সম্পত্তি ক্রয় করেন।

এ সময় সৃজিত কুমার বড়ুয়া বৃদ্ধাশ্রম, চিকিৎসালয় ও একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের স্থাপনা নির্মাণের জন্য কাজ শুরু করেন। ওসব নির্মাণাধীন অবস্থায় তিনি পরে মারা যান।
স্বামীর মৃত্যুর পরে তার সন্তানেরা মিনু বড়ুয়া রানীকে ওসব সম্পত্তিগুলো বিক্রি করে টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। কিন্তু বাদী স্বামী স্বপ্ন পূরণের জন্য সম্পত্তি বিক্রিতে অস্বীকৃতি জানান। বাদী অপারগতা প্রকাশ করলে একপর্যায়ে তাঁকে মারধর ও গলা টিপে দুবার হত্যার চেষ্টা চালায় তার সন্তানেরা।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *