স্টাফ রিপোর্টার : ঝিনাইদহের মহেশপুরের পান্তাপাড়ার ঘুগরীর উত্তরপাড়ার মাঠে কোনো নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সরকারি অনুমতি ছাড়াই প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই চলছে ফসলি জমির মাটি কাটার মহোৎসব।
পান্তাপাড়ার ঘুগরী গ্রামের এক ব্যাক্তি নিজেকে ঝিনাইদহ-৩ আসনের এমপি সালাহ উদ্দীন মিয়াজীর আত্নীয় পরিচয় দিয়ে দিন-রাতে চালিয়ে যাচ্ছেন ফসলি জমি ধ্বংস করে মাটি কাটার কাজ। সে মহেশপুরের বিভিন্ন ইটের ভাটা ও গ্রামে এ মাটি বিক্রি করছেন বলে এলাকাবাসী জানান।
এলাকাবাসী আরো জানান, একদিকে ফসলি জমি ধ্বংশ করে মাঠের মধ্যেই পুকুর খনন করা হচ্ছে। অন্যদিকে আমাদের জমি নিয়ে দুশচিন্তা বাড়াচ্ছে।
মাঠের কয়েকজন জমির মালিক জানান, জমির শ্রেনী পরিবর্তন না করে কিভাবে ধানি জমির বিশাল অংশ জুড়ে মাঠের মধ্যে পুকুর খনন করছে। আর কিসের ক্ষমতা বলে এ কাজটি তিনি করছেন তা আমাদের জানার বিষয়।
মাটি খোর উল্লেখিত ব্যাক্তি জানান, দল ক্ষমতায় তাই কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা বা কারও কাছ থেকে অনুমোতির কোন প্রয়োজন হয়নি আমার। আপনারা পত্রিকায় লেখেন তাকে আমার কিছু যায় আসে না।
পান্তাপাড়া ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মস্তোফা মিয়া জানান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরীফ শাওন স্যার মাটি কাটার সময় ভ্যাকু ম্যাশিনের ব্যাটারী খুলে নিয়ে গেছেন। আর আমাকে একটি প্রতিবেদন দিতে বলেছেন। আমি প্রতিবেদনটি সোমবার স্যারের কাছে জমা দিব।
মহেশপুর উপজেলা কৃষি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আসাদুজ্জামান জানান, মাটির উপরের স্তর বেশ উর্বর, যা এই মাটি কাটা সিন্ডিকেটের ফলে ফসলি জমি বেশ হুমকির মুখে পড়ছে। আর এসব মাটি খোরদের কারণে আজ কৃষকের ফসলি জমিগুলো একদিকে কমতে শুরু করেছে অন্যদিকে হুমকির মধ্যে পড়েছে। আর মাটি কাটার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুমতি প্রয়োজন, অন্যথায় মাটি কাটা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ বলেও জানান এ কৃষি অফিসার।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরীফ শাওন জানান, আমি এ সকল সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযান পরিচালনা করে পদক্ষেপ নিলেও পরর্বতীতে প্রশাসনের নজর ফাঁকি দিয়ে ব্যবসা করছে কয়েকটি সিন্ডিকেট। মাটি কাটা ও বালু উত্তলনের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান অব্যহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
Leave a Reply