ফারুক আহমেদ, মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার গয়েশপুর-আমলসার ইউনিয়নের লাঙ্গলবাঁধ ভূমি অফিসের কর্মচারী মো: নজরুল ইসলাম (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে মিঠু শেখ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গত ৭ এপ্রিল রবিবার উপজেলার মদনপুর গ্রামে তারাবির নামাজ শেষে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে সোমবার বিকেলে মারধরের স্বীকার নজরুল ইসলাম শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সদর শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দুই মাস আগে মিঠু শেখের কাছ থেকে জমি বন্ধকের বিনিময়ে ৩০ হাজার টাকা চান নজরুল ইসলাম। তখনই অভিযুক্ত মিঠু সুদের ৫ হাজার টাকা অগ্রিম কেটে রেখে সুদের টাকা গোপন করে ২৫ হাজার টাকা দেন। এবং কিছুদিন পর মিঠুকে ১০ হাজার টাকা ফেরত দেন নজরুল ইসলাম। ২৭ রমজানের তারাবির নামাজ পড়ে বাড়িতে যাওয়ার পথে মিঠু শেখ অতিরিক্ত সুদসহ আসল টাকা চাই নজরুল ইসলাম কাছে ।এতে নজরুল ইসলাম রাজি না হওয়ায় বেধড়ক মারধর করা হয় তাকে ৷
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম বলেন, আমি জমি রেখে মিঠু শেখের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নিলেও তখনই সে ৫ হাজার লাভ রেখে আমাকে ২৫ হাজার টাকা দেন যা তিনি পরে জানতে পারেন । আমি মাঝে তাকে ১০ হাজার টাকা ফেরত দেওয়ার পরেও এখনো মিঠু ৩৫ হাজার টাকার দাবি করছে এবং সে আমাকে মারধর করেছে। শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উক্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নিকট অভিযোগ দেওয়ার কারণে দফাই-দফাই তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হুমকি ধামকিসহ ওই সুদের সম্পূর্ণ টাকাই পরিশোদের তাগিদ দিচ্ছে মিঠু।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মিঠু শেখ বলেন অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নজরুল ইসলাম বিপদে পড়ে আমার কাছে টাকা ধার চাইলে আমি অন্য একজনের কাছ থেকে এনে টাকা দিই। সময়মত টাকা না দেওয়ায়ই তারা আমাকে চাপ দিচ্ছে। আমি তার কাছে টাকা চাইলে দেই না বলে আমি তাকে চড়-থাপ্পড় মেরেছি।
এ বিষয়ে স্থানীয় অনেকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ও মিঠুকে ভয় পেয়ে বলেন, উনি খুব খারাপ লোক, উনি নিজে মানুষকে ফাঁকি দিয়ে অন্যের কাছ থেকে টাকা এনে দেয়ার কথা বলে নিজেই দীর্ঘদিন ধরে গোপনে গোপনে এই সুদে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। তিনি প্রথমে এসব কথা গোপন করে এবং পরবর্তীতে সুদের অতিরিক্ত টাকা না দিলে জোরপূর্বক গায়ে হাত,মানহানি কর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, সেই সাথে টাকা না দিলে জেল হাজত খাটানো সহ মেরে ফেলানোর হুমকি দেন।
এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. মমতাজ মহল বলেন, তার অধীনস্থ নজরুল ইসলামের অভিযোগ তিনি পেয়েছেন এবং কেন মিঠু এ ধরনের কর্মকাণ্ড করলেন এবং তার গায়ে হাত দিলেন এ ব্যাপারে তাকে লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে ডাকা হয়েছে। তিনি বেধে দেবার সময়ের মধ্যে না আসলে পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।