December 15, 2025, 6:46 am
শিরোনামঃ
ঝিনাইদহে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে মিরপুর স্মৃতিসৌধে বিভিন্ন সংগঠনের শ্রদ্ধা নিবেদন লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচন স্থগিত চেয়ে আইনি নোটিশ সুদানে সন্ত্রাসী হামলায়  ৬ বাংলাদেশী শান্তিরক্ষী নিহত ; পরিচয় প্রকাশ ভূমি রেজিস্ট্রেশন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন হওয়া উচিত : ভূমি সচিব সালেহ আহমেদ দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু ; হাসপাতালে ভর্তি ৩৮৭ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ ১৫ জনকে ঠেলে পাঠালো বিএসএফ সেন্টমার্টিনে পর্যটকের চাপে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সব টিকিট আগাম বিক্রি শেষ রাঙ্গামাটিতে শিক্ষার্থীদের মাঝে সেনাবাহিনীর শীতবস্ত্র বিতরণ সিরিয়ায় মার্কিন সেনা নিহতের প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প
এইমাত্রপাওয়াঃ

বগুড়ায় পড়ার টেবিল দখল করা নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ ; আহত ৮

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক পড়ার টেবিল দখল করা নিয়ে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আটজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

বুধবার (১ মে) রাত ১০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে শজিমেকের ছাত্রাবাসের অন্তত সাতটি কক্ষ ভাঙচুর হয়েছে।

এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় অধ্যাপক নিতাই চন্দ্র সরকারকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মেডিকেল কলেজ প্রশাসন। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী (৩০তম ব্যাচ) রিদওয়ান হক, একই ব্যাচের তালহা, নাদিম ও আরিফ কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি শৈশব রায়ের সমর্থক হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে সীমান্ত, আলী হাসান, ইসমাম ও অপর্ণ নিলয়কে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া দুই পক্ষের অন্তত পাঁচজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

আহতদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত করে মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আনিসুর রহমান জানান, ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আহত কয়েকজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। অধ্যক্ষের নির্দেশে তিনজন শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জানা যায়, তৃতীয় বর্ষের (৩১তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী ফুয়াদ ছাত্রলীগ সভাপতি শৈশব রায়ের অনুসারী। একই ব্যাচের আলী হাসান সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। গত মঙ্গলবার এই দুই গ্রুপের ছাত্রদের মধ্যে একটি পড়ার টেবিল দখলকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডতা হয়। এ ঘটনার জের ধরে বুধবার রাতে ফুয়াদ তার কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে আলী হাসানের কাছে থাকা পড়ার টেবিলটি নিতে গেলে দুই পক্ষের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পরে সংঘর্ষের রেশ পুরো ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ে।

একপর্যায়ে খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. রেজাউল আলম ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে তাদের লক্ষ্য করেও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ছাত্ররা। এ সময় অধ্যক্ষের নির্দেশে মোফাজ্জলের অনুসারী ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল, ছাত্রলীগ কর্মী মোহাইমিন রাইম ও সীমান্তকে পুলিশ আটক করে। ছাত্রাবাসের বাইরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয় পুলিশ। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে পরিস্থিতি পুলিশ নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে শজিমেক কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বর্তমান সভাপতি শৈশব রায়ের দিকে অভিযোগ তুলেন। তিনি বলেন, শৈশব রায়ের নির্দেশে তার অনুসারীরা ছাত্রলীগের একাংশ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর আকস্মিকভাবে হামলা চালিয়েছে। তারা কলেজের ছাত্রাবাসের পাঁচটি কক্ষ ভাঙচুর করেছেন। এতে শিক্ষার্থীদের পড়ার টেবিল, ল্যাপটপ, ফ্রিজ ছাড়াও ঘরের আসবাব নষ্ট হয়।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সহ-সভাপতি অর্ঘ্য রায় বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। হোস্টেলে একটি পড়ার টেবিল নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা দুই পক্ষ হয়ে নিজেদের মধ্যে সংঘাতে জড়িয়েছেন। কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেনের অনুসারীরা ক্যাম্পাসে আগের মতো সংঘাত সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করছে। এ হামলার সঙ্গে আমাদের কেউ জড়িত নয়। কলেজ প্রশাসনের তদন্তে তা বেরিয়ে আসবে।

কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি শৈশব রায় বলেন, পারিবারিক একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বর্তমানে সিলেটে আছি। একটি টেবিল দখলকে কেন্দ্রে করে কিছু দুষ্ট প্রকৃতির শিক্ষার্থীরা বিনা উসকানিতে আমার কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে আহত করেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করতে জরুরি সভা আহ্বান করা হয়েছে।

শজিমেক ছাত্রলীগ শাখার নেতা-কর্মীরা জানান, কলেজে আধিপত্য নিয়ে বর্তমান সভাপতি শৈশব রায় ও মেহেদী হাসানের অনুসারীদের সঙ্গে মোফাজ্জল হোসেনের অনুসারীদের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে।

আগের কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের এমবিবিএস ও ইন্টার্ন শেষ হওয়ায় সেটি বিলুপ্ত হয়ে যায়। পরে চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ শৈশব রায়কে সভাপতি এবং মেহেদী হাসানকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা দিয়ে ২৪ সদস্য বিশিষ্ট মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে। এই কমিটিতে কাঙ্ক্ষিত পদ না পেয়ে সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেনের অনুসারীরা মনক্ষুণ্ন হন। কমিটিতে পদ পাওয়া সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশাফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ও সাদমান সাকিব ক্যাম্পাসে মোফাজ্জলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

সার্বিক বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. রেজাউল আলম বলেন, ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে অধ্যাপক নিতাই চন্দ্র সরকারকে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজকের বাংলা তারিখ

December ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Nov    
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  


Our Like Page