মোঃ ফাহিমুল ইসলাম : পুলিশ বিভাগের চৌকস পুলিশ অফিসার মাহাবুবুর রহমান মহেশপুর থানার ওসি হিসেবে যোগদান করার পর তার কঠোর তৎপরতায় অপরাধীরা তীঁরের মতো সোজা হয়ে গিয়েছে।
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলাটি বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় ইতিপূর্বে এ অঞ্চলটি চোরাচালানী ও সন্ত্রাসীদের আবাস ভূমি ছিল। মহেশপুরের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ফেন্সিডিল, ইয়াবা, গাঁজা ও হেরোইনসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য ভারত থেকে আসতো অহরহ। সেই সাথে ছিল বাংলাদেশ থেকে ভারতে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা ও স্বর্ন পাচার। গত ১০ ডিসেম্বর/২৩ তারিখে পুলিশ বিভাগের চৌকস পুলিশ অফিসার মাহাবুবুর রহমানকে মহেশপুর থানার ওসি হিসেবে নিয়োগ দিলে তিনি ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় মহেশপুর থানার অন্যান্য অধস্তন পুলিশ অফিসার ও সিপাহীদের নিয়ে টিম মিটিং করে নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অপরাধীদের উপরে ঝাপিয়ে পড়েন। ফল আসতে থাকে খুব দ্রুত। এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের মাদকসহ ও চোরাচালানীদের একের পর এক আটক করে আদালতে সোপর্দ করেন।
সন্ধ্যার পর সাধারণ মানুষ ছিনতাইকারীদের ভয়ে যে সব রাস্তায় চলাফেরা করতে সাহস পেতো না সে সব রাস্তায় পুলিশি টহল জোরদার করায় এলাকার সাধারণ মানুষ চলাচল করতে পারছে।
এছাড়াও আদালতের দেওয়া ওয়ারেন্টের আসামী ও সাঁজাপ্রাপ্ত আসামীদের আটক করে আদালতে সোপর্দ করায় বহিরাগত সন্ত্রাসীরা আটক হওয়ার ভয়ে পালিয়ে যাওয়ায় সীমান্তবর্তী অত্র এলাকা প্রায় অপরাধী শুন্য হয়ে পড়েছে।
মহেশপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে মহেশপুর থানার বর্তমান ওসি মাহাবুবুর রহমানের কঠোর তৎপরতায় তারা খুব খুশি। তাদের খোলামেলা ভাষ্য ‘মহেশপুর থানার বর্তমান ওসির মতো ওসি যদি সারা বাংলাদেশের প্রত্যেক থানায় থাকতো তবে অপরাধীরা তীঁরের মতো সোজা হয়ে যেতো।’
ইতিবাচক কর্মকান্ডের ফলে মহেশপুর উপজেলাবাসী মহেশপুর থানার ওসি মাহাবুবুর রহমানকে সাধুবাদ জানিয়েছে।
Leave a Reply