01 Mar 2025, 09:06 am

ইয়ানূর রহমান : ট্রেনে উঠতে গিয়ে ছাত্রী শিক্ষিকাকে লাথি মেরে আহত করেছেট্রেনের চালক। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টা ২০মিনিটে নওয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশনে বেনাপোলগামী এক ট্রেনে।

ভুক্তভুগী শিক্ষিকা দুইজন শিক্ষার্থী সাথে নিয়ে স্কাউট পুষ্প ক্যাম্পে অংশ নিতে ঝিকরগাছা যাচ্ছিলেন। তিনি ওই স্কাউট ইউনিটটির নেতৃত্ব দেয়ার কথা ছিল। এ সময় ট্রেন চালকের লাথিতে নাক ফেটেছে এক স্কুল শিক্ষিকার। চালকের লাঠির আঘাতে আহত হয়েছে শিক্ষিকার সাথে থাকা ইরিন জাহান লিজা নামের এক স্কুল ছাত্রী। অভিযুক্ত ট্রেন পরিচালকের নাম আল মামুন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, বেনাপোলগামী ট্রেনে যাত্রীদের প্রচণ্ড ভিড় ছিল। প্রচণ্ড ভীড়ে ট্রেনে উঠতে না পেরে ওই স্কুল শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থী দুজনকে নিয়ে ট্রেনের মাঝ বরাবর থাকা ট্রেন পরিচালকের (গার্ড) রুমের সামনে গিয়ে তাদের উঠাতে অনুরোধ করেন।

ট্রেন ছাড়ার মুহূর্তে বারবার অনুরোধের এক পর্যায়ে ট্রেনের পরিচালক ক্ষিপ্ত হয়ে ওই স্কুল শিক্ষিকার মুখে লাথি মারেন এবং লাঠি দিয়ে এক ছাত্রীকে বেধড়ক পেটান। ট্রেন পরিচালকের লাথিতে শিক্ষিকার নাক দিয়ে রক্ত বের হয়। এসময় লাঠির আঘাতে স্কুল ছাত্রী ইরিন জামান লিজা আহত হন।

ভুক্তভোগী স্কুল শিক্ষিকা জানান, কোনো কূল কিনারা না পেয়ে নওয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশনে দায়িত্বে থাকা স্টেশন মাস্টার অনুপ কুমার মন্ডলকে জানালে তিনি ৯৯৯-এ বিষয়টি অভিযোগ আকারে জানান।

নওয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশনের দায়িত্বরত স্টেশন মাস্টার অনুপ কুমার মন্ডল ঘটনার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, অভিযোগের সময় ওই নারীর নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল বলে।

তিনি আরও জানান, দায়িত্বে থাকা গার্ড খুলনার নয়, তিনি রাজবাড়ীর গার্ড। নাম যতদূর জেনেছি, আবদুল্লাহ আল মামুন। আগামীকাল স্টেশনের বড় মাস্টার আসলে বিষয়টির সুরাহা হবে।

যশোরে ট্রেন চালকের লাথিতে ছাত্রী ও শিক্ষিকা আহত

এম এ কবীর : ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন ২০২৩-২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ ১৮ ফেব্রুয়ারী শনিবার শহরের আব্দুর রকিব বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গ্রহন করা হয়। নির্বাচনে দ্বিতীয় বারের মত সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন এম এ কবীর এবং সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন সহিদুর রহমান সন্টু। সহ-সভাপতি হয়েছেন মোঃ লিটন হোসেন এবং সিরাজুল ইসলাম মল্লিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মনিরুজ্জামান সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন জাহিদ হাসান,কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত হয়েছেন সম্রাট শাহ, সাংবাদিক ও সংবাদপত্র বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হন ইব্রাহীম হোসেন এবং নির্বাহী সদস্য হয়েছেন মাজেদ রেজা বাঁধন, এইচ এম ইমরান এবং ইমদাদুল হক। নির্বাচনে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ৩১ জন ভোটার তাদের ভোট প্রদান করেন। নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন জেলা তথ্য অফিসার মোঃ আবুবকর সিদ্দিক অন্য তিনজন নির্বাচন কমিশনার ছিলেন এড.আসাদুল ইসলাম, জেলা সমবায় অফিসের পরিদর্শক রুহুল আমিন মোল্যা এবং এড.বদিউজ্জামান। নির্বাচনে আইনশৃংখলা বিষয়ক সার্বিক সহযোগিতা করেন ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোঃ সোহেল রানা। এদিকে নব-নির্বাচিত সকল সদস্যকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং সুধী সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ।

ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির নির্বাচনে এম এ কবীর সভাপতি ও সহিদুর রহমান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : গাজীপুরে স্কুলছাত্র খালিদ সাইফুল্লাহকে (৬) অপহরণের ১২ ঘণ্টা পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জাহিদুল ইসলাম (২১) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঋণের টাকা পরিশোধ করতে খালিদকে অপহরণ করেছিলেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন জাহিদুল।

গ্রেফতার জাহিদুল রংপুরের পীরগাছা উপজেলার চর তাম্বুলপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে। অপহৃত খালিদ কাশিমপুর থানাধীন উত্তর পানিশাইল এলাকার রাজু আহমেদের ছেলে। সে স্থানীয় মোমেনা বেগম স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ রাফিউল করিম জানান, খালিদের বাবা রাজু আহমেদ স্থানীয় ব্যাটারি তৈরির কারখানায় সুপারভাইজার পদে চাকরি করেন। অপহরণকারী জাহিদুল শিশুটির বাবার অধীনে একই কারখানায় কাজ করতেন। বুধবার বিকালে স্কুলের সামনের রাস্তায় খেলছিল খালিদ। এ সময় জাহিদুল তাকে অপহরণ করেন। পরে অপহৃত শিশুটির বাবার কাছে মোবাইল ফোনে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান শুরু করে। বৃহস্পতিবার ভোরে সারদাগঞ্জ কাজী মার্কেট এলাকা থেকে অপহরণকারীকে আটক করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে খালিদকে উদ্ধার করা হয়।

 

তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপহরণকারী স্বীকার করেছেন, তিনি নেশা করার জন্য টাকা ধার নিয়েছিলেন। ওই টাকা পরিশোধ করতে খালিদকে অপহরণ করে মুক্তিপণ চান তিনি। কাশিমপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়েছে।

 

গাজীপুরে নেশার টাকা পরিশোধ করতে শিশুকে অপহরণ ; অবশেষে গ্রেফতার

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সুন্দরবনে বাঘ গণনার ক্যামেরা বিনষ্ট ও চুরির ঘটনায় ১৪ জেলে ও মাঝিকে আটক করেছে বন বিভাগ। সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) চুরির মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেফতার জেলে ও মাঝিরা হলেন– জাহাঙ্গীর হোসেন, আব্দুল ওহাব, আবুল হোসেন, মহিবুল্লাহ, নুরুল আলম, আব্দুর রহিম, আমজাদ হোসেন, আছাদুল ইসলাম, রিপন হোসেন, বাবর আলী, আমজাদ হোসেন (২), ইউনুস আলী, মুন্নাফ গাজী ও আকবর হোসেন। তারা সবাই শ্যামনগর ও কয়রা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।

জানা গেছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হয় বাঘ গণনার কাজ। যেটা এখনও চলমান আছে। বাঘ গণনার জন্য ক্যামেরা ট্র্যাপিং গ্রুপ সুন্দরবনের বিভিন্ন অঞ্চলে গাছে গাছে ক্যামেরা স্থাপনের কাজ করছে। এর ভেতরে সাতক্ষীরা রেঞ্জে ৩৭৬টি ক্যামেরা স্থাপন করা হলেও নোটাবেঁকী অভয়ারণ্য অঞ্চলে স্থাপিত ৮টি ক্যামেরা চুরি হয়ে গেছে।

সুন্দরবনের বন বিভাগের কর্মকর্তারা চুরির বিষয়টি ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বুঝতে পারেন। অনুসন্ধান করে সুন্দরবনের নোটাবেঁকী এলাকা থেকে ৮টি ক্যামেরা চুরি হওয়ার বিষয়ে তারা নিশ্চিত হন। এবং সে অনুযায়ী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে সুন্দরবনের দুটি স্টেশন দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেয় বন বিভাগ।

এদিকে, ক্যামেরা চুরির অভিযোগে গ্রেফতার রিপনের বাবা আমির হোসেন বলেন, ‘অভয়ারণ্যে গিয়ে মাছ ধরায় ছেলেকে আটক করে ভিন্ন মামলায় জড়ানো হয়েছে। যারা সুন্দরবনে বাঘ-হরিণ শিকারের সঙ্গে জড়িত ক্যামেরা তারাই অপসারণ করতে পারে। অথচ প্রকৃত অপরাধীদের আটকে ব্যর্থ হয়ে বন বিভাগ নিরীহ জেলেদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়ে দিয়েছে।’

সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) ইকবাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, ‘ক্যামেরা চুরির ঘটনায় গত ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি মোট ১৪ জনকে আটক করা হয়। সাতক্ষীরার আদালতে পৃথক দুটি মামলা দায়েরের পর তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

এসিএফ আরও বলেন, ‘সুন্দরবনের মধ্যে ঢুকে যারা নানা ধরনের অপকর্ম করে থাকে কিংবা অপতৎপরতায় জড়িত তারা এসব ক্যামেরা সরিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।’

এ বিষয়ে বন বিভাগের একাধিক দল কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

সুন্দরবনে বাঘ গণনার ক্যামেরা চুরির ঘটনায় ১৪ জন আটক

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ফেনীতে পুরুষ ও স্ত্রী উভয় লিঙ্গের এক শিশু জন্মগ্রহণ করেছেন। শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে ফেনী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক জেনারেল হসপিটালের লেবার ওয়ার্ডে এই শিশুটি জন্মগ্রহণ করেন।

এই শিশুর জন্ম দেন ছাগলনাইয়া উপজেলার মটুয়া এলাকার এক নারী।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শিশুর মা তাসলিমা আক্তার এর প্রসব ব্যথা উঠলে তার শশু- শাশুড়ি সকাল ৭টার দিকে ফেনী সদর হসপিটালে নিয়ে আসেন। এ সময় প্রসব ব্যথা তীব্র হলে হসপিটালের নার্সেরা তাসলিমার স্বাভাবিকভাবে ডেলিভারি করান। ডেলিভারির পরবর্তীতে দেখেন শিশুটি পুরুষ ও স্ত্রী উভয় লিঙ্গের। খবরটি হাসপাতালে ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের লোকজন শিশুটিকে দেখতে ভিড় জমায়।

ফেনী জেনারেল হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স ফাতেমা বেগম জানান, প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ছাগলনাইয়া উপজেলার এক নারী হাসপাতালে ভর্তি হলে নরমাল ডেলিভারির প্রস্তুতি নেয়া হয়। ৮টা ১৫মিনিটে সন্তান ভূমিষ্ট হলে ওই নবজাতকের মধ্যে পুরুষ-স্ত্রী উভয় লিঙ্গের অর্গান দেখা যায়।

উভয় লিঙ্গের শিশুর জন্মের পর দায়িত্বরত সকলের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এটি আমাদের জন্য প্রথম অভিজ্ঞতা বলে জানান তিনি।

মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট সরোয়ার হোসেন জানান, শিশুটি পুরুষ-স্ত্রী উভয় লিঙ্গের অর্গান নিয়ে জন্ম গ্রহণ করেছে ৷ বর্তমানে মা ও সন্তান দুজনই সুস্থ আছেন ৷ উভয় লিঙ্গের শিশুটির জটিল সার্জারীর প্রয়োজনে ঢাকা বা চট্টগ্রাম মেডিকেলে রেফার করা হতে পারে।

 

 

ফেনীতে উভয় লিঙ্গের শিশুর জন্ম

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার জোপারপাড় গ্রামে বৃদ্ধা মা সুশীলা রায়ের মামলায় গ্রেফতার করা দুই ছেলেকে কারাগারে পাঠিয়েছে ‍আদালত।‍ সুশীলা ওই গ্রামের মৃত সুরেশ রায়ের স্ত্রী।

গ্রেফতাররা হচ্ছেন- সুরেশ রায়ের ছেলে বড় ছেলে শংকর রায় ও মেজ ছেলে ঝন্টু রায়। বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে আদালতের মাধ্যমে তাদের বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম জানান, নয় বছর আগে দিনমজুর সুরেশ রায়ের মৃত্যুর পর বড় ছেলে শংকর ও মেজ ছেলে ঝন্টু মায়ের ভরণপোষণ দেননি। তবে তারা বিভিন্ন সময় মায়ের কাছ থেকে টাকা ধার নেন। ওই টাকা চাওয়ায় ছেলে ও তাদের স্ত্রী ক্ষুব্ধ হয়ে মারধর করেন। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ করা হলেও ছেলেরা কোনও বৈঠকেই উপস্থিত হননি।

তিনি আরও জানান, গত ৩ ফেব্রুয়ারি শংকর, ঝন্টু, একই বাড়ির তুষার রায়সহ অন্যরা নির্যাতন চালিয়ে বৃদ্ধাকে জখম করেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলে ছেলে এবং ভাসুরের ছেলেরা বুধবার হামলা চালিয়ে তার ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যান।

এ ঘটনায় বুধবার বিকেলে সুশীলা নির্যাতনকারী ২ ছেলে, তাদের স্ত্রী, ভাসুরের ছেলেসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। অন্য আসামিরা পলাতক। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানান মাজহারুল।

বরিশালের বৃদ্ধা মাকে নির্যাতনের অভিযোগে দুই ছেলে কারাগারে

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেটের সামনে থেকে চুরি হওয়া নবজাতককে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

ঘটনার ২৩ দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নড়াইলের কালিয়া থেকে ওই নবজাতককে (ছেলে) উদ্ধার করা হয়। নিঃসন্তান এক দম্পতি অর্থের বিনিময়ে ওই নবজাতককে কিনেছিল। তবে নবজাতককে চুরি করে নিয়ে যাওয়া অজ্ঞাত নারীকে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি।

সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে নড়াইলের কালিয়া থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তথ্য যাচাইয়ের জন্য নিঃসন্তান এক দম্পতিকে থানায় নিয়ে এসেছি। এই দম্পতি জানিয়েছেন, তারা ঢাকা থেকে শিশুটিকে কিনেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় ২৫ জানুয়ারি মামলার পর পুলিশ অভিযুক্ত ৬ জনের মধ্যে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তারা কারাগারে রয়েছেন। তবে যে নারী নবজাতককে চুরি করেছিলেন তাকে এখনো গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

পরবর্তী করণীয় বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, শিশুটিকে বর্তমানে খুমেক হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) রাখা হয়েছে। সেখানে তার মা-ও রয়েছেন। এখন ওই শিশু ও তার বাবা-মায়ের ডিএনএ টেস্টের পর রিপোর্ট আদালতে প্রেরণ করা হবে। আদালত পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ জানুয়ারি সকালে রানিমা হাসপাতালে ভর্তি হন। দুপুরের দিকে তিনি সুস্থ বাচ্চা জন্ম দেন। বিকেল ৫টার দিকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। তারা ছাড়পত্র নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের গেটে আসেন। এ সময় নবজাতকের বাবা তুরাব আলি ও আত্মীয়স্বজন অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করা নিয়ে কথা বলছিলেন। অতিরিক্ত ভাড়া চাওয়া নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সচালক ও রোগীর আত্মীয়স্বজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তা হাতাহাতি পর্যন্ত পৌঁছায়। নবজাতকটি তার খালা সোনিয়া বেগমের কোলে ছিল। হাতাহাতি ঠেকাতে তিনি কোলে থাকা নবজাতককে পাশের এক নারীর কাছে দেন। ওই নারী নবজাতককে নিয়ে কৌশলে চলে যায়। পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে নবজাতককে নিতে গিয়ে দেখেন ওই নারী সেখানে নেই। পরে এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সিসিটিভি ফুটেজে মাস্ক পরিহিত এক নারীকে নবজাতকটিকে নিয়ে পালিয়ে যেতে দেখেন। এ ঘটনায় ২৫ জানুয়ারি নবজাতকের নানা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) তোফায়েল বলেন, নড়াইলের পার বিষ্ণুপুর গ্রামে একটি নবজাতক বিক্রি হয়েছে, এমন খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয়। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করে খুলনায় আনা হয়েছে। বর্তমানে শিশুটি তার মা রানিমার কাছে রয়েছে। শিশুটির ডিএনএ টেস্ট করে নিশ্চিত হওয়ার পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তাদেরকে খুমেকের ওসিসিতে রাখা হয়েছে।

নবজাতকটির মা রানিমা বেগম দাবি করেন, এই শিশুটিই তার হারিয়ে যাওয়া ছেলে (নবজাতক)।

 

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া নবজাতক ২৩ দিন পর উদ্ধার

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকারের গৃহীত কার্যক্রম এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্জিত সাফল্যের বিষয়ে অবহিতকরণের লক্ষ্যে জেলার শাল্লায় এক মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার উপজেলার চাকুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) এর আওতায় এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা তথ্য অফিসের উপ-পরিচালক মো. আব্দুছ ছাত্তারের সঞ্চালনায় এবং এসএমসি সভাপতি ও স্বাস্থ্যপরিদর্শক কবীন্দ্র কুমার দাশের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে  প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শাল্লা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট দিপু রঞ্জন দাশ।  বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা শিক্ষা অফিসার জনাব তাপস কুমার রায়। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার সুনীল  চন্দ্র দাশ, প্রধান শিক্ষক অসীম কান্তি সিংহ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি বিশেষ উদ্যোগ,সরকারের বিভিন্ন সাফল্য অর্জন, নারীর ক্ষমতায়ন, বাল্যবিবাহ, যৌতুক, মাদক, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, তথ্য অধিকার আইন ইত্যাদি বিষযে বিস্তারিত আলোকপাত  করেন। এছাড়াও, গুজব, অপপ্রচার থেকে বিরত থাকা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য  সবাইকে আহ্বান জানানো হয়। অনুষ্ঠানে তৃণমূল পর্যায়ের প্রায় ৩ শতাধিক মহিলা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

 

 

সরকারের সাফল্য অবহিতকরণে সুনামগঞ্জে মহিলা সমাবেশ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বেসরকারি আইনগত সহায়তা সংস্থা বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) উদ্যোগে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭ এর ধারা ৩ এবং বাল্য বিবাহ বিধিমালা-২০১৮ এর ৯ ধারা মোতাবেক জেলা উপজেলা পর্যায়ে সরকারি বেসরকারি সংস্থা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটির মাধ্যমে জনসচেতনামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
কুমিল্লায় ব্লাস্টের উদ্যোগে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম এবং আইনগত সহায়তা প্রদানে নারী অধিকার, প্রতিবন্ধী অধিকার, শিশু অধিকার, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অধিকার রক্ষাসহ মানবাধিকার বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সেমিনার সভা সমাবেশ করা হচ্ছে।
জেলা ব্লাস্ট সমন্বয়ক এডভোকেট শামীমা আক্তার জাহান জাতীয় কর্মসূচির আলোকে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে জেলা উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় অসহায় নারী পুরুষ সকলকে আইনগত সহায়তা প্রদানের সার্বিক সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রয়েছে। তিনি জানান- আগের চেয়ে বাল্যবিবাহ নিরোধে কিশোরীদের মধ্যে অনেক সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

কুমিল্লায় বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে চলছে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম

স্টাফ রিপোর্টার : এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ৩৪ জন ছাত্র-ছাত্রী জিপিএ -৫ পাওয়ার মধ্য দিয়ে ঝিনাইদহের  মহেশপুরের শীর্ষে স্থান দখল করে নিয়েছেন যাদবপুর কলেজ।

২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় যাদবপুর কলেজ থেকে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষায় ১২৯ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহন করে। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে শতভাগ জিপিএ-৫ সহ ১২৮ ছাত্র-ছাত্রী পাস করেছে।

যাদবপুর কলেজের অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, কলেজের সকল শিক্ষক-শিখিক্ষা আর অভিভাবকদের প্রচেষ্টার কারনেই আজ যাদবপুর কলেজের এ সুনাম অর্জন করতে পেরেছে।

তিনি আরো জানান, অমি প্রতিটা অভিভাবকে কাছে কৃতজ্ঞ।

মহেশপুরের নামি দামি ১০টি কলেজকে টপকিয়ে যাদবপুর কলেজ আজ শীর্ষে উঠল।

 

 

 

 

এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ঝিনাইদহের মহেশপুরের শীর্ষে যাদবপুর কলেজ