01 Mar 2025, 06:43 am

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : যশোরের বেনাপোল চেকপোস্ট বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সামনে থেকে ৯ লাখ ২৬ হাজার ভারতীয় রুপিসহ এম এ হান্নান ভূঁইয়া (৪৪) নামে এক বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রীকে আটক করেছে। সে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার বাজানকারা গ্রামের এম এ কাদের ভূইয়ার ছেলে।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বন্দরের প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে স্থাপিত বিজিবি তল্লাশি চৌকি থেকে ওই যাত্রীকে আটক করা হয়।

যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আহমেদ হাসান জামিল জানান, বেনাপোল চেকপোস্ট বিজিবি ক্যাম্পে দায়িত্বরত হাবিলদার মোঃ তোতা মিয়া তার নেতৃত্বে একটি বিশেষ চোরাচালান বিরোধী তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বেনাপোল চেকপোস্ট বন্দরের প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সামনে ভারত হতে আগত সন্দেহভাজন বাংলাদেশি এক পাসপোর্টধারী যাত্রীর ব্যাগ তল্লাশি করে তার ব্যাগের মধ্যে ৯ লাখ ২৬ হাজার ভারতীয় রুপি ও ২ টি মোবাইল পাওয়া যায়। এ সময় তাকে আটক করা হয়।

পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ভারতীয় রুপি অবৈধভাবে বহন করছিল বলে বিজিবির কাছে সে স্বীকার করেন। আটককৃত ভারতীয় রুপি ও মোবাইলের সিজার মূল্য ১২ লাখ ২৭ হাজার ৫ শত টাকা৷ আটককৃত ভারতীয় রুপিসহ আসামীকে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

 

বেনাপোলে ৯ লাখ ২৬ হাজার রুপিসহ বাংলাদেশি যাত্রী আটক

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার বলিরহাটে সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে আটজন আহত হয়েছেন। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে বলিরহাট মকবুল হাজীর বাড়ির পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
চান্দগাঁও থানার এসআই রেজাউল করিম বলেন, সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে আহত আটজনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
আহতরা হলেন- মামুনা আক্তার (৬০), ডলি আক্তার (৩৫), জোছনা আক্তার (১৮), মহিম (১০), নূরনাহার খাতুন (৫০), রীনা আক্তার (১৬), হৃদয় (১৭) ও লাবণী (১০)।
কালুরঘাট ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার বাহার উদ্দিন বলেন, গ্যাসের লাইনে লিকেজ হয়ে পাশের একটি সেমিপাকা ঘরের সেপটিক ট্যাংকে গিয়ে গ্যাস জমে বিস্ফোরিত হয়। এতে ওই সেমিপাকা ঘর ও পাশের একটি ভবনের দেয়ালধসে ৮ জন আহত হন। উদ্ধার কার্যক্রম শেষ হয়েছে।

 

 

চট্টগ্রামে সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে আহত ৮

ইয়ানূর রহমান : স্বাক্ষ্য দিতে না যাওয়ার যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের বর্তমান ও সাবেক ১২ জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন পৃথক তিনটি আদালত। নির্ধারিত সময়ে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন। এ কপি হাসপাতালের প্রশাসনিক শাখায় পৌছেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জেলা সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস।

সিভিল সার্জন জানান, হাসপাতালে রোগীর জখমি, মৃত ব্যক্তি ময়নাতদন্তসহ বিভিন্ন মামলার প্রতিবেদন দিয়ে থাকেন। পরবর্তীতে প্রতিবেদনের আলোকে আদালত চিকিৎসকের সাক্ষ্য (বক্তব্য) নেওয়ার জন্য তলব করেন। কিন্তু একাধিকবার স্বাক্ষ্য দিতে না যাওয়ার কারণে চুয়াডঙ্গা, যশোর ও নাড়াইল আদালত অবমাননার অভিযোগে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়েছে। আগামী ৯ মার্চ চুয়াডাঙ্গা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এবং ১৪ মার্চ যশোরের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের হাজির হতে হবে।

হাসপাতালের প্রশাসনিক সূত্র জানিয়েছে, সমন পাওয়া চিকিৎসকরা হচ্ছেন মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুর রহমান, বর্তমানে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারের হাসপাতালে কর্মরত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুস সামাদ, ঝিনাইদহ মেটসের পরিচালক ডা. আরিফ আহম্মেদ, নড়াইল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. কাজল মল্লিক, অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ওহিদুজ্জামান ডিটু, শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইউসুফ আলী, সাবেক চিকিৎসক ডা. মুসতাঈনবিল্লাহ, ডা. হাসান মাহমুদ হাদী, সাবেক হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল মালেক, হাসপাতালে বর্তমানে কর্মরত ডা. কল্লোল কুমার সাহা সহ তিনজন রয়েছেন।

আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুস সামাদ বলেন, চুয়াডাঙ্গা থেকে কোন চিঠি আগে পাইনি। এছাড়াও হাসপাতালের কাজ করতে গিয়ে আদালতে যাওয়া হয় না। এবার প্রথম সিভিল সার্জনের মাধ্যমে আদালতের চিঠি হাতে পেয়েছি। নির্ধারিত সময়ে
আদালতে হাজির হবো।

তত্ত্বাবধায়ক ডা. আখতারুজ্জামান বলেন, সিভিল সার্জনের অফিস থেকে দেওয়া আদালতের আদেশের কপি হাতে পেয়েছি। হাসপাতালের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করে চিঠি দেওয়া হচ্ছে।

 

 

 

আদালতে স্বাক্ষ্য দিতে না যাওয়ায় যশোর জেনারেল হাসপাতালের ১২ চিকিৎসকের নামে সমন জারি

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বাড়ি থেকে অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলতে এসে হারিয়ে যায় ছোবহান (৫) নামের শিশু। ঘটনাক্রমে ওই শিশু নারায়নগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা চাঁদপুরগামী একটি যাত্রীবাহী লঞ্চে চলে আসে চাঁদপুর। সঙ্গে অভিভাবক না পেয়ে লঞ্চঘাটের লোকজন শিশুটিকে নৌ থানায় পৌঁছায়।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শিশুর মামা মো. সিরাজ মিয়ার কাছে হস্তান্তর করে চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।

শিশু ছোবহান নারায়নগঞ্জ জেলার গলাচিপা কলেজ রোড ঘোড়াঘাট এলাকার মো. খলিলের ছেলে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণিতে পড়ে।

শিশুর মামা সিরাজ মিয়া জানান, মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে পাড়ার অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলতে বের হয়ে লঞ্চঘাটে চলে আসে। সেখানে কয়েকজন বন্ধু মিলে লঞ্চ উঠে দুষ্টামি করে। লঞ্চ ছাড়ার সময় অন্য শিশুরা নেমে গেলে ছোবহান লঞ্চে থেকে যায়। পরে লঞ্চটি চাঁদপুর ঘাটে চলে আসে। তাকে না পেয়ে পিতা-মাতা দুশ্চিন্তায় থাকলেও রাতে নৌ পুলিশের মাধ্যমে খোঁজ নিশ্চিত হয়।

চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, ঘাটের লোকজন মঙ্গলবার বিকেলে আমাদের কাছে শিশুটিকে নিয়ে আসে। রাতে আমাদের থানা হেফাজতে ছিল। পরে তার কাছ থেকে পিতা ও এলাকার নাম জেনে নারায়ণগঞ্জ নৌ থানায় সংবাদ দেয়া হয়।

 

 

হারিয়ে যাওয়া শিশুকে পরিবারে হস্তান্তর করলো চাঁদপুর নৌ পুলিশ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সারা দেশে চলমান ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগে প্রতারণার অভিযোগে বিভিন্ন স্থান থেকে তিন প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহী জেলা গোয়েন্দা শাখার অভিযানে ঢাকার সেগুনবাগিচা, যাত্রাবাড়ী ও গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন।

গ্রেফতার তিন প্রতারক হলেন- রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানাধীন দাসপুকুর এলাকার সামসুলের ছেলে মারুফ শাহরিয়ার (৩৬), বরিশালের মঙ্গলহাটা এলাকার শমসের আলীর ছেলে শাহাদত হোসেন (৩৩) ও গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার চাতৈনভিটি এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে আব্দুল আজিজ (৪২)।

এ সময় তাদের কাছে থেকে টিআরসি নিয়োগে প্রতারণার উদ্দেশে নেওয়া ৩২টি স্বাক্ষর করা ফাঁকা চেক এবং প্রায় ৫৬ কোটি টাকার অঙ্ক বসানো স্বাক্ষর করা ১০টি চেক এবং ৫০টি স্বাক্ষর করা ফাঁকা নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প, তিনটি স্মার্ট মোবাইল ও একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন জেলায় পুলিশ কনস্টেবল পদে ভর্তিচ্ছুদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং নিজেদের কখনও পুলিশ সদরদফতরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তার আবার কখনও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তার কাছের লোক পরিচয় দিয়ে টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
তারা জেলা ভিত্তিতে কোনও জেলার জন্য ১৩ লাখ আবার কোনও জেলার জন্য ১৫ থেকে ১৬ লাখ টাকার চুক্তি করেছেন। শুধু তাই নয়, প্রতারণার বিষয়টি বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য কারও কাছ থেকেই তারা নগদ অর্থ নেননি। সবাকেই বলেছেন, ফাঁকা চেক ও স্ট্যাম্প দেওয়ার জন্য। চাকরি হওয়ার পর টাকা পরিশোধ করে স্বাক্ষর করা চেক ও স্ট্যাম্প ফেরত নিতে হবে।

পুলিশ জানায়, চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এই চক্রটি অন্তত ৩০ জনের কাছ থেকে তিন থেকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা লেনদেনের কার্যক্রম শুরু করেছিল। এই প্রতারক চক্র নিজেদের অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করা এবং বাংলাদেশ পুলিশের স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার লক্ষ্যে মাঠে নেমেছিল। গ্রেফতার আসামিদের আদালতে সোপর্দ করে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করার প্রক্রিয়া চলছে।

 

 

রাজশাহীতে পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি পাইয়ে দিতে ১৬ লাখ টাকায় চুক্তি

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ২ লাখ ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে দালালদের মাধ্যমে বাংলাদেশের পাসপোর্ট পেয়েছেন মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) নেতা মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ। এর জন্য তাকে যেতে হয়নি পাসপোর্ট অফিসে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের জিজ্ঞাসাবাদে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন রোহিঙ্গা নেতা আসাদুল্লাহ। গত ১০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সৌদি আরবের জেদ্দায় পালিয়ে যাওয়ার সময় চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে নগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিবি-উত্তর) নিহাদ আদনান তাইয়ান বলেন,  ‘বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশ যাওয়ার সময় আসাদুল্লাহ নামে এক রোহিঙ্গাকে বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়। যাচাই-বাছাই শেষে তাকে উখিয়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। তিনি উখিয়া ১২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকতেন। তার বিরুদ্ধে গত ৯ জানুয়ারি উখিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। তিনি ওই মামলার সন্দেহভাজন আসামি। তিনি বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে ওমরা ভিসায় সৌদি আরবের জেদ্দায় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। জেদ্দায় তার বড় ভাই রয়েছে। তার পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে। কিভাবে বাংলাদেশের পাসপোর্ট তার হাতে এসেছে সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’

এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘গ্রেফতার আসাদুল্লাহ চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ঠিকানা ব্যবহার করে পাসপোর্ট পেয়েছিলেন। গত বছরের ২৭ নভেম্বর তার নামে বাংলাদেশি এ পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, দুই লাখ ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে দালালদের মাধ্যমে বাংলাদেশি পাসপোর্ট পেয়েছেন আসাদুল্লাহ। এমনকি পাসপোর্ট করতে অফিসেও যেতে হয়নি তাকে। অফিসে না গিয়ে কীভাবে কার মাধ্যমে আসাদুল্লাহ পাসপোর্ট পেয়েছে আমরা তা তদন্ত করে দেখছি।’

সিএমপির গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, নগরের পাঁচলাইশ আঞ্চলিক অফিসে আবেদন করে পাসপোর্ট পেয়েছিলেন তিনি। এর আগে, ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর তার নামে ইস্যু করা হয় জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)। জাতীয় পরিচয়পত্রে চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং থানার ঠিকানা ব্যবহার। তিনি ই-পাসপোর্ট পেয়েছিলেন ১০ বছর মেয়াদী। এ পাসপোর্টের মেয়াদ ২০৩২ সালের নভেম্বরে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

তবে এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক আবু সাইদ বলেন, ‘তার নামে আগে থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ (এনআইডি) অন্যান্য সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়েছিল বলে শুনেছি। পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকলে তিনি আবেদন করতেই পারেন। যেসব সার্টিফিকেট পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হয়, সেগুলো রোহিঙ্গাদের কাছে থাকার কথা নয়। অফিসে না এসে পাসপোর্ট পাওয়ার বিষয়টি আমার মনে হয় সত্য নয়। কেননা অফিসে না এলে ছবি তুলেছেন কীভাবে। পাসপোর্টে যে ছবি আছে সেটি তার নাকি অন্য কারও- এসব বিষয় তদন্ত করে দেখা হবে।’

২ লাখ টাকায় বাংলাদেশি পাসপোর্ট পেয়েছিলেন রোহিঙ্গা নেতা

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রাজশাহীতে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের দিনে প্রবেশনে মুক্তি পেয়েছে ২৩ শিশু। রাজশাহীর নারী ও শিশু আদালতের বিভিন্ন মামলার আসামি তারা। মঙ্গলবার দুপুরে মুক্তি পাওয়া শিশুদের পলাশ ফুল দিয়ে ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা জানান আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

বিকল্প পন্থায় সংশোধনের সুযোগ পেয়ে খুশি এই ২৩ শিশুর অভিভাবকেরা। গেল বছর একই আদালত একই নিয়মে আরও ৩৭ শিশুকে মুক্তি দিয়েছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত রাজশাহীতে শিশু আইনে হওয়া মামলার মধ্যে ৪টি মাদক ও ১৬টি মারামারির মামলায় আসামি হয় ২৩ শিশু। প্রথমবারের মতো অপরাধী হওয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মুহা. হাসানুজ্জামান প্রবেশনে তাদের মুক্তি দেন।

বেশ কয়েকটি শর্তে নিজ বাড়িতে জেলা প্রবেশন কর্মকর্তার তদারকে থাকবে তারা। মুক্তি পাওয়ার পর তাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান জেলা প্রবেশন কর্মকর্তা মতিনুর রহমান।

তিনি বলেন, মামলার প্রকৃতি অনুযায়ী শর্তগুলো আরোপ করা হবে। এ ছাড়া সাধারণ কিছু শর্ত থাকবে। যেমন শিশুরা মাদকে জড়াতে পারবে না, বাল্যবিবাহ করতে পারবে না, মা-বাবার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতে পারবে না, কোনো মারামারিতে জড়াতে পারবে না।

মতিনুর রহমান আরও বলেন, এসব শিশুর পরিবারের কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হবে। কনফারেন্সের সময় মামলার বাদীরাও উপস্থিত থাকবেন। দুই মাসের মাথায় আদালতে প্রথম প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। দুই মাস পরপর একটি করে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে হবে। ছয় মাসে মোট তিনটি প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নাসরিন আখতার মিতা বলেন, রায় ঘোষণার সময় আদালতে ২০ শিশু উপস্থিত ছিল। বাকি তিনজনের পক্ষে সময়ের আবেদন করা হয়েছিল। পরে তাদের সবার মুক্তি দেন আদালত। বিচারক রায়ে তাঁর পর্যবেক্ষণে ভালোবাসার নানা দিক তুলে ধরে পরিবার, দেশ ও গুণীজনদের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে জাতির কল্যাণে শিশুদের আত্মনিয়োগে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন।

ভালোবাসা দিবসে ২৩ শিশুকে ঘরে ফেরালেন রাজশাহীর বিচারক

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধুকে জোরপূর্বক ধর্ষণের সময় এক শিক্ষককে হাতেনাতে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে অভিযুক্তকে মির্জাগঞ্জ চৌকি আদালতে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে উপজেলার মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের পায়রাপুঞ্জ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। রাতেই ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে দক্ষিণ মির্জাগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালামকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-০৪/২৩)।

মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন জানান, রাত সাড়ে ৮ টার দিকে আব্দুস সালাম নামের ওই শিক্ষক এক নারীর ঘরে প্রবেশ করে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। ওই নারীর চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে হাতেনাতে সালাম মাস্টারকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এই ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগীকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পটুয়াখালীতে গৃহবধুকে জোরপূর্বক ধর্ষণের সময় শিক্ষক হাতেনাতে আটক

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : কুমিল্লার বুড়িচংয়ে কৃষি উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘কৃষি উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বুড়িচং সম্মাননা’ ৬ জন মাঠের কর্মকর্তাকে প্রদান করা হয়েছে। আজ দুপুর ১২টায় উপজেলা কৃষি অফিসে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। চাকরি জীবনে অনেকে প্রথমবারের মতো এ সম্মাননা পেয়ে খুশি।
সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন, তেল জাতীয় ফসলের আবাদ বৃদ্ধিতে প্রথম মনোহরপুর ব্লকের উপসহকারী কৃষি অফিসার মো. সাহেদ হোসেন, ২য় ভরাসার ব্লকের মো. ফখরুল ইসলাম ও ৩য় আবিদপুর ব্লকের মোহাম্মদ ওমর ফারুক। কৃষি সম্প্রসারণে বিশেষ অবদানের জন্য প্রথম রামপুর ব্লকের মোসা. সুলতানা ইয়াসমিন, পূর্ণমতি ব্লকের মোছা. বিলকিছ আক্তার ও ৩য় নিমসার ব্লকের মো. ফারুক আহাম্মদ ভূঞা।
সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক ড. মোহিত কুমার দে ও বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষি অফিসার মোছা. আফরিণা আক্তার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা কৃষি অফিসার বানিন রায়।
উপসহকারী কৃষি অফিসার মো. সাহেদ হোসেন বলেন, আমার ব্লকে তেল জাতীয় ফসল উৎপাদন কৃষকদের সহযোগিতায় কয়েকগুণ বাড়িয়েছি। ভারপ্রাপ্ত উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমাকে পরামর্শ ও উৎসাহ দিয়েছেন। এসময় এ পুরস্কার পেয়ে আমি আনন্দিত।
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বানিন রায় বলেন, মাঠের উপসহকারী কর্মকর্তারা রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে কাজ করেন। বুড়িচংয়ে মাঠ কর্মকর্তারা কৃষির উন্নয়নে যে কাজ করেছেন তা অনবদ্য। তাদের সম্মানিত করতে পেরে ভালো লাগছে। এতে কুমিল্লার কৃষি আরো এগিয়ে যাবে।

 

 

কৃষি উন্নয়নে অবদান রাখায় কুমিল্লার ৬ মাঠ কর্মকর্তাকে সম্মাননা প্রদান

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আদর্শ সমাজ গঠন করতে বই পড়া আন্দোলনকে বেগবান করতে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার নিভৃত পল্লীর সারপুকুর যুব ফোরাম পাঠাগারটি ভূমিকা রাখছে।

২০১৪ সালে পাঠাগারটি মাত্র ১০টি বই নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও এখন বইয়ের সংখ্যা দশ হাজার ছাড়িয়েছে। পাঠাগারটি পরিনত হয়েছে শিক্ষিতজনের মিলন মেলায়।  গ্রামের কলেজছাত্র জামাল হোসেন পাঠাগারটির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক।

পাঠাগারের ঘরটি জীর্ণশীর্ণ হলেও এটি শিক্ষিত মানুষের প্রিয় স্থান। বই পড়ার টানে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এখানে আসেন বই পড়তে। শুধু শিক্ষার্থীই নয় এখানে আসেন শিক্ষক, কৃষক ও শিক্ষানুরাগী মানুষ।  পাঠাগারে রয়েছে শিক্ষা, সাহিত্য, ইতিহাস, বিজ্ঞান, রম্য, কৃষি-ব্যবসাসহ সকল ধরনের বই।

এই পাঠাগারে রয়েছে ১৫ শতাধিক সদস্য। সদস্যরা শুধু বই পড়া আন্দোলনেই জড়িত নন, তারা বিভিন্ন সামাজিক কাজও করছেন। বাল্যবিয়ে ও মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে সাধারণ মানুষকে সচেতন করছেন পাঠাগারের সদস্যরা। সমাজে অতিদরিদ্র অসহায় ও দুখি মানুষ সাধ্যমতো সহায়তাও করছেন।

কলেজছাত্র জামাল হোসেন নিরলসভাবে কাজ করছেন পাঠাগারটির উন্নতির জন্য। গ্রামে বই পড়া আন্দোলনকে বেগবান ও সামাজিক কাজকর্ম করায় ইতোমধ্যে কয়েকটি জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি।

পাঠাগারটি আধুনিক করার স্বপ্ন দেখেন তিনি।

 

লালমনিরহাটের ভাঙা কুঁড়েঘর আলো ছড়াচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার : এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ৩৪ জন ছাত্র-ছাত্রী জিপিএ -৫ পাওয়ার মধ্য দিয়ে ঝিনাইদহের  মহেশপুরের শীর্ষে স্থান দখল করে নিয়েছেন যাদবপুর কলেজ।

২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় যাদবপুর কলেজ থেকে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষায় ১২৯ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহন করে। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে শতভাগ জিপিএ-৫ সহ ১২৮ ছাত্র-ছাত্রী পাস করেছে।

যাদবপুর কলেজের অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, কলেজের সকল শিক্ষক-শিখিক্ষা আর অভিভাবকদের প্রচেষ্টার কারনেই আজ যাদবপুর কলেজের এ সুনাম অর্জন করতে পেরেছে।

তিনি আরো জানান, অমি প্রতিটা অভিভাবকে কাছে কৃতজ্ঞ।

মহেশপুরের নামি দামি ১০টি কলেজকে টপকিয়ে যাদবপুর কলেজ আজ শীর্ষে উঠল।

 

 

 

 

এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ঝিনাইদহের মহেশপুরের শীর্ষে যাদবপুর কলেজ