28 Feb 2025, 11:33 pm

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : নিজের পক্ষে থাকতে জনপ্রতিনিধিদের কোরআন শরীফে হাত রেখে শপথ করালেন রাজশাহী-১ এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী। শনিবার রাতে জাতীয় সংসদ ভবনের নিজের কার্যালয়ে ওমর ফারুক চৌধুরী তার নির্বাচনী এলাকার ১২ জন দলীয় নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের কোরআন শরীফ ছুয়ে আনুগত্যের শপথ করান। যার ভিডিও বিভিন্ন গণমাধ্যমে অফিসে পাঠানো হয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী তার নিজের চেয়ারে বসে থেকে মোবাইলে ভিডিও করছেন। আর এক এক করে জনপ্রতিনিধিরা এসে এমপির সামনে টেবিলে রাখা কোরআন শরীফে হাত রেখে শপথ করছেন। কোরআন শরীফে হাত রেখে বলতে শোনা যাচ্ছে, আওয়ামী লীগ, নৌকা ও স্থানীয় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরোধীতা বা তাদের সঙ্গে বেইমানি করবো না।

পবিত্র কোরআন শরীফে হাত রেখে সাংসদ ফারুক চৌধুরীর প্রতি আনুগত্যের শপথ করার মধ্যে রয়েছেন, গোদাগাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, গোদাগাড়ী পৌরসভার মেয়র ওয়েজ উদ্দিন বিশ্বাস, মাটিকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহেল রানা, দেওপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেল, গোদাগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ রানা, মোহনপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান খায়রুল ইসলামসহ তানোর ও গোদাগাড়ীর বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়র। তাদের শপথ গ্রহনের পুরো ভিডিও করেন তানোর উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না।

এমপির প্রতি অনুগত থাকতে পবিত্র কোরআন শরীফে হাত রেখে শপথ করার বিষয়টি স্বীকার করে গোদাগাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, নৌকার পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে এমপি তাদের শপথ করিয়েছেন। সেখানে গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলার আমরা ১২ জন জনপ্রতিনিধি ছিলাম। সবাই শপথ নিয়েছি। কারণ এখন এমপির পক্ষে থাকলেও ভোটের আগে অনেকেই সরে দাঁড়ায়। তাদের শপথ করাতে বাধ্য করা হয়নি
বলেও দাবি করেন এই জনপ্রতিনিধি।

গোদাগাড়ী পৌরসভার মেয়র ও গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আয়েজ উদ্দিন বলেন, আমরা সংসদ সদস্যের প্রতি আনুগত্য থাকার শপথ নিয়েছি। এসময় অনেকেই ছিল; সবাই কোরআন শরীফ ছুঁয়ে শপথ গ্রহণ করেছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ইউপি চেয়ারম্যান জানান, দুইদিন আগে গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলার পৌরসভার মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা চেয়ারম্যানদের ডেকে পাঠান এমপি। শনিবার সন্ধ্যা সংসদ ভবনের নিজের চেম্বারে সবাইকে নিয়ে যান। সেখানে কোরআন শরীফে হাত রেখে এক এক করে সবাইকে শপথ করার। প্রথমে তার অনুগতরা শপথ করেন। ফলে বাধ্য হয়ে অন্যদের শপথ করতে হয়েছে।

এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীকে ফোন ও হোয়ার্টঅ্যাসে একাধিকবার ফোন দিয়েও তিনি রিসিভ করেননি। আর এ নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার।

এদিকে, নিজের পক্ষে রাখতে জনপ্রতিনিধিদের কোরআন শরীফে হাত রেখে শপথ করানোর এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর ভিডিও প্রকাশ হলে রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে।

রাজনীতিতে নতুন নোংরামি ; পবিত্র কুরআন ছুঁয়ে এমপির প্রতি আনুগত্যের শপথ জনপ্রতিনিধিদের

ইয়ানূর রহমান : দেশে চিনির সংকটের কথা কারও অজানা নয়। গত বছরের এই সময়ে চিনির প্রতি কেজি ৭৫ টাকায়ও পাওয়া যেত। চিনি বাজার অস্থির হতে থাকে গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে।

৭৫ টাকা থেকে দাম বেড়ে এখন ১২০ টাকা হলেও কোথাও কোথাও চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) উদ্যোগহীনতার কারণে ১ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন চিনি দেড় মাস ধরে বেনাপোল বন্দরে আটকে আছে। চিনি খালাস না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ভারতীয় ট্রাকচালকেরা।

বেনাপোল শুল্ক কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর সেতু এন্টারপ্রাইজ ভারত থেকে ছয়টি চালানে ৮৪ ট্রাকে ২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চিনি আমদানি করে। প্রতি মেট্রিক টন ৪৩০ ডলার মূল্যে নির্ধারিত ট্যারিফ পরিশোধ করে বন্দর থেকে ১ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন চিনি খালাস করা হয়। এরপর আমদানিকারক কম মূল্য দেখিয়ে চিনি আমদানি করে সরকারের শুল্ক ফাঁকি দিচ্ছে বলে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনারি অ্যাসোসিয়েশন অভিযোগ করে। তখন শুল্ক কর্তৃপক্ষ ৪২ ট্রাকে থাকা পরের তিনটি চালানের ১ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন চিনি খালাসে বাধা দিয়ে ট্যারিফ বাড়িয়ে প্রতি টন ৫৭০ ডলার ধরে। কিন্তু লোকসান হওয়ার কথা তুলে ধরে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান পণ্য ছাড় করাচ্ছে না।

আমদানিকারকের প্রতিনিধি সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ বলেন, ভারত থেকে প্রতি টন চিনি ৪৩০ ডলার মূল্যে বেনাপোল বন্দর পর্যন্ত আমদানিতে খরচ পড়েছে ১০১ টাকা। কিন্তু ৫৭০ ডলার শুল্ক পরিশোধ করলে বেনাপোল বন্দর পর্যন্ত এ চিনির আমদানি খরচ পড়বে ১২০ টাকা। তখন বাজারমূল্যের চেয়ে বেশি দামে তাকে চিনি বিক্রি করতে হবে। ‘এ জন্য চিনি খালাস নিতে পারছি না।
কিন্তু প্রতিদিন ট্রাক ভাড়া বাবদ প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ গুনতে হচ্ছে। এতে গরমে ট্রাকে থাকা চিনি নষ্ট হওয়ার পথে।’ প্রতি বছর দেশে চিনির যে চাহিদা রয়েছে তার মাত্র ১০ শতাংশ দেশে উৎপাদন হয়। বাকি ৯০ শতাংশের চাহিদা আমদানি করে মেটাতে হয়। রোজা সামনে রেখে ভারত থেকে আমদানি হচ্ছে চিনি।

এ বিষয়ে বেনাপোল কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার সাফায়েত হোসেন বলেন, চিনির তিনটি চালান বৈধ পন্থায় বন্দর থেকে খালাস হয়েছে। তবে যেহেতু আমদানি মূল্য বাড়ানোর বিষয়ে একটি চিঠি এসেছে। বিষয়টি কাস্টমসের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে। আর বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল বলেন, কাস্টমস শুল্কায়ন শেষ করলে চিনি ছাড় হবে বন্দর থেকে। এখনো ১ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন চিনি বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে।

যশোরের বেনাপোলে শুল্ক জটিলতায় নষ্ট হচ্ছে ১২৫০ টন চিনি

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম সিদ্দিকের বিরুদ্ধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বরাদ্দ পাওয়া তিনটি ল্যাপটপ পুলিশ সদস্যদের কাছে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।

ল্যাপটপ বিক্রির পর ঠিকমতো টাকা না পাওয়ায় ঘটনাটি জানাজানি হয়।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি খাসকররা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবে সরকার কর্তৃক ১৭টি ল্যাপটপ দেওয়া হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম সিদ্দিক ফেরত দেয়ার শর্তে নিজে ব্যবহার করবেন বলে ১টা, তার মেয়ের জন্য ১টা এবং বোনের মেয়ের জন্য ১টা মোট ৩টি ল্যাপটপ স্কুল থেকে নিয়ে যান। কয়েক মাস হয়ে গেলেও তিনি নিয়ে যাওয়া ল্যাপটপ আর ফেরত দেননি।

এরইমধ্যে জানা যায়, ল্যাপটপগুলো তিনি খাসকররা স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির তিন পুলিশ সদস্যের নিকট অল্প দামে বিক্রি করে দিয়েছেন।

বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, বিদ্যালয়ের ল্যাপটপ প্রধান শিক্ষক গোপনে বিক্রি করেছেন। এটা ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরাও জানতো। অল্প দামে পাওয়ায় এই সুযোগ পুলিশ কাজে লাগিয়েছে। তারা ল্যাপটপের টাকা দিচ্ছিলেন না। প্রধান শিক্ষকও প্রকাশ্যে টাকা চাইতে পারছিলেন না। এরইমধ্যে ল্যাপটপ কেনা এক কনস্টেবল বদলি হয়ে যান। এতে টনক নড়ে প্রধান শিক্ষকের।

তিনি ফাঁড়ির আইসির কাছে গোপনে ঘটনা খুলে বলেন এবং এর একটা সুরাহার আবেদন জানান। এরপর এক কান দুই কান হয়ে ঘটনা এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়।

বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক পাপিয়া সুলতানা জানান, হেড স্যার ফিরিয়ে দিবেন বলে তিনটি ল্যাপটপ নিয়ে গেছেন। আজও তা ফেরত দেননি।

খাসকররা ফাঁড়ির টু-আইসি রোকন উদ্দিন বলেন, “হেড স্যার আমার কাছে ১০ হাজার টাকা দিয়ে যান। আমি কদিন আগে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনে অবস্থান করা কনস্টেবল রাকিবের কাছে ওই টাকা ফেরত দিয়েছি। কত টাকার লেনদেন এটা আমি জানি না।”

তবে প্রধান শিক্ষক গোলাম সিদ্দিক বলেন, “সব মিটমাট হয়ে গেছে। পুলিশ ল্যাপটপ নিয়েছিল, তাদের কাছ থেকে ফেরত নিয়েছি।”

খাসকররা ইউপি চেয়ারম্যান তাফসির আহমেদ লাল জানান, এ ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক ও লজ্জাকর।

আলমডাঙ্গা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফজলুল হক বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। ল্যাপটপের বিষয়টি আপনার কাছেই প্রথম শুনলাম।

চুয়াডাঙ্গায় স্কুলের ল্যাপটপ বিক্রির করে দিলেন প্রধান শিক্ষক

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইমপোর্ট জেনারেল মেনিফেস্ট (আইজিএম) জটিলতায় ভারতীয় সিএন্ডএফ এজেন্ট ও ট্রান্সপোর্ট ইউনিয়ন আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে। তবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পণ্য রফতানি স্বাভাবিক রয়েছে।

রোববার সকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে আমদানি বন্ধ রয়েছে। এর আগেও একই ঘটনায় বেশ কয়েকবার আমদানি-রফতানি সাময়িক বন্ধ ছিল।

এর ফলে পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় শত শত পণ্যবোঝাই ট্রাক আটকা পড়ে আছে। এর মধ্যে পচনশীল পণ্যসহ রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাঁচামালও রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভারত থেকে যেসব পণ্য আমদানি-রফতানি হবে সেখানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) অনলাইনে ১৭ সংখ্যার একটি আইজিএম নম্বর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। গত নভেম্বর থেকে এটা চালু করার চেষ্টা করা হলেও ভারতীয় সিএন্ডএফ এজেন্টরা না মেনে পূর্বের ন্যায় হাতে লেখে আইজিএম চালু করার দাবি জানিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়।

এ নিয়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ও সিএন্ডএফ এজেন্ট এর মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক হলেও বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান হয়নি।

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বেনাপোল কাস্টমস কার্গো শাখা অনলাইনে আইজিএম চালু করলে ভারতীয় সিএন্ডএফ এজেন্টস ও ট্রান্সপোর্ট ইউনিয়ন দুপুর থেকে আমদানি-রফতানি বন্ধ করে দেয়। আজ রোববারও বন্ধ রয়েছে আমদানি।

ভারতের পেট্রাপোল সিএন্ডএফ স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী জানান, আইজিএম করার আগে কার পাস করতে হয়। সেখানে পণ্যের নাম, পরিমাণ, ট্রাকের নম্বর, চ্যাসিস নম্বর, ট্রাক চালক, হেলপারের নাম-পরিচয় লিপিবন্ধ করতে হয়। তারপর সেটা বাংলাদেশ কাস্টমসের কাছে পৌঁছানোর পর তারা এন্ট্রি করেন। এখানে কোন ভুল হলে সেটা সংশোধন করতে এক থেকে দেড় মাস লেগে যায়। আর অনলাইনে এন্ট্রিতে ভুল হলে সেটা কতদিনে সংশোধন হবে এ কারণ দেখিয়ে ভারতীয় ট্রান্সপোর্ট ইউনিয়ন কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।

এ নিয়ে আগামীকাল সোমবার পেট্রাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সাথে বন্দর ব্যবহারকারীদের নিয়ে একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে ভারতীয় সিএন্ডএফ এজেন্টের সঙ্গে আলোচনা চলছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধান কল্পে কাজ চলছে।  ফলপ্রসূ আলোচনা হলে আমদানি পুনরায় চালু হবে।

বেনাপোল স্থল বন্দরের উপ-পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, আইজিএম সমস্যা নিয়ে বেনাপোল বন্দরে রোববার সকাল থেকে কোন পণ্য নিয়ে ভারতীয় ট্রাক প্রবেশ করেনি। আলোচনা করে বিষয়টি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।

যশোরের বেনাপোল বন্দরে আমদানি কার্যক্রম বন্ধ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালিতে জমে উঠেছে ফুলের বেচাকেনা। এ বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত এ বাজারে ৭০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম।

গত দুইবছর করোনাকালীন সময়ে ফুল বিক্রি কম হলেও চলতি বছর থেকে ফুলের বেচাকেনা বেড়েছে বলে জানান তিনি। বসন্ত উৎসব, ভ্যালেনটাইন দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ফুল উৎপাদন ও বেচা-কেনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ফুল চাষি, পাইকারি ব্যবসায়ী, ক্রেতা-বিক্রেতারা। রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে পাইকারি ফুল ক্রেতারা গদখালিতে এসে ফুল কিনছেন।

সারা বছর ফুলচাষিরা ফুল বিক্রি করলেও তাদের মূল লক্ষ্য থাকে ফেব্রুয়ারি মাসের তিনটি উৎসব। এছাড়া বাংলা নববর্ষেও ফুলের জমজমাট বেচাকেনা হয়ে থাকে।

কৃষি বিভাগও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গদখালি ও পানিসারা এলাকায় সাড়ে ৬ হাজারের বেশি কৃষক বাণিজ্যিকভাবে চাষ করছেন রজনীগন্ধ্যা, গোলাপ, রডস্টিক, গাঁদা, গ্লাডিওলাস, জারবেরা, জিপসি, কেলেনডোলা, চন্দ্রমল্লিকাসহ বিভিন্ন ধরনের ফুল।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়,জেলার ৩ উপজেলায় ফুল চাষ হয়ে থাকে। এ জেলায় মোট ৬শ’৫০ হেক্টর জমিতে ফুল চাষ হয়েছে।এর মধ্যে ঝিকরগাছা উপজেলায় ফুল চাষ হয়েছে ৬শ’৩০ হেক্টর জমিতে।ঝিকরগাছায় ফুল চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানান ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম।এ উপজেলার গদখালি, পানিসারা, হাড়িয়া, নীলকন্ঠ নগর, চাওরা, কৃষ্ণচন্দ্রপুর, চাঁদপুর, বাইশা,পাটুয়াপাড়া, নারানজালি গ্রামসহ প্রায় ৫০-৫৫টি গ্রামে ফুল চাষ হয়ে থাকে। এছাড়া শার্শা উপজেলায় ১০ হেক্টর জমিতে এবং কেশবপুর উপজেলায় ফুল চাষ হয়েছে ১ হেক্টরের সামান্য বেশি জমিতে।সদর উপজেলায় প্রায়  ৯ হেক্টর জমিতে   ফুলের চাষ শুরু হয়েছে।দেশের ফুলের মোট চাহিদার ৭০ভাগই যশোরের গদখালি থেকে সরবরাহ হয়ে থাকে।

গদখালি বাজারের ফুল ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের গন্ডি পেরিয়ে এখানকার ফুল দুবাই, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশে রপ্তানী হচ্ছে।

গদখালী ফুলবাজার সূত্রে জানা গেছে, বসন্ত ও ভালোবাসা দিবস ঘিরে ফুলের বাজার জমজমাট হয়ে উঠেছে। গোলাপ ফুল প্রতি পিস ৮-১০ টাকা, চায়না গোলাপ লংস্টিক রোজ ২৫-৩০ টাকা, রজনীগন্ধা স্টিক ৭-৮ টাকা, গ্রাাডিওলাস ফুল রং ভেদে ১০-১৫ টাকা, জারবেরা প্রতিটি ১২-১৪ টাকা, চন্দ্রমল্লিকা ৪-৫ টাকা, গাঁদা প্রতি হাজার সাড়ে তিনশ থেকে সাড়ে ৪শ’ টাকা, রডস্টিক প্রতি বান্ডিল ১৪০-১৫০ টাকা, জিপসি ফুল প্রতি আঁটি ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পানিসারা গ্রামের ফুলচাষি হাবিবুর রহমান জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ফুলের চাষ ও উৎপাদন ভালো হয়েছে। সামনের তিন উৎসব ঘিরে ফুলবাজার চাঙ্গা হয়ে উঠেছে।প্রতিদিন ভালো বেচাকেনা হচ্ছে। ফুলের বাজারমূল্য ভালো থাকায় ফুলচাষিরা খুশি।

গদখালি বাজারের ফুলের একাধিক পাইকারি ব্যবসায়ী জানান, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম থেকেই ফুলের বাজার দর বেশ ভালো। ফলে ফুল চাষিরা লাভবান হচ্ছেন।এবাজার থেকে গত দুইদিনে ৬কোটি টাকার ফুল পাইকারি বিক্রি হয়েছে।

ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: মাসুদ হোসেন পলাশ জানান, ঝিকরগাছায় ৬৩০ হেক্টর জমিতে ৭০-৭২ প্রজাতির ফুল চাষ হয়ে থাকে।এ উপজেলার গদখালি, পানিসারা, নাভারন, মাগুরা,নির্বাসখোলা ও শিমুলিয়া ইউনিয়নে বাণিজ্যিকভাবে ফুলের চাষ হয়ে থাকে।এ ছয়টি ইউনিয়নের সাড়ে ৬ হাজারের বেশি ফুল চাষি ফুল চাষের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন। এবার আবহওয়া অনুকূলে থাকায় ফুলের উৎপাদন ভালো হয়েছে। এ কারণে ফুল বিক্রি করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। এ বছর বাজার পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় ৭০ কোটি টাকার বেশি ফুল বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।

যশোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: মঞ্জুরুল হক জানান, এ জেলায় ফুলের চাষ বাড়াতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে টিউলিপ ফুলসহ বিভিন্ন ফুলের প্রদর্শনী,উদ্যোক্তা ও ফুলচাষিদের উদ্বুদ্ধকরণ এবং নিয়মিতভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়ে থাকে।ফুলচাষিদের ভারতসহ বিদেশে প্রশিক্ষণের কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

যশোরের গদখালিতে ৭০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির সম্ভাবনা

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচ ইউনিটের মধ্যে চারটিই বন্ধ। সস্তায় বিদ্যুৎ পাওয়ার এই উৎসটি পুরোপুরি বন্ধের উপক্রম হয়েছে। হ্রদের পানির স্তর নির্দিষ্ট উচ্চতার চেয়ে নিচে নেমে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতি বলছেন কর্মকর্তারা।

সস্তায় বিদ্যুৎ পাওয়ার অন্যতম অভ্যন্তরীণ উৎস কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। কিন্তু হ্রদের পানি আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাওয়ায় হুমকির মুখে ২৩০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার এই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।

শুষ্ক মৌসুম এলেই হ্রদে পানির স্তর নেমে যাচ্ছে। নির্দিষ্ট স্তরের চেয়ে পানি উচ্চতা কমেছে প্রায় ১৫ ফুট। এতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির মোট পাঁচটি ইউনিটের মধ্যে চারটি বন্ধ হয়ে গেছে। চালু আছে একটি ইউনিট।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চালু থাকা দুই নম্বর ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৪০ মেগাওয়াট। তবে সবগুলো ইউনিট চালু করা সম্ভব হলে ২০০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হতে পারে।

কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের বলেন, “একটি মেশিন চলে। উৎপাদন হয় ৩০ মেগাওয়াট। পানি কমে যাওয়ার কারণে এই অবস্থা।”

বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক জানান, এই সময়ে হ্রদে পানির উচ্চতা ৯৬ দশমিক ৩০ এমএসএল থাকার কথা থাকলেও রুলকার্ভ অনুযায়ী বর্তমানে উচ্চতা আছে ৮২ দশমিক ৮৬ এমএসএল।

এটিএম আব্দুজ্জাহের বলেন, “এখন আছে ৮২ ফুট থাকার কথা ৯৬ ফুট।”

বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে ১৯৬২ সালে নির্মাণ করা হয় কাপ্তাই বাঁধ। এতে ৭২৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয় বিশাল জলাধার।

বন্ধের পথে রাঙামাটির কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি,জামায়াত অশুভ শক্তির সন্ত্রাস নৈরাজ্য ও ষড়যন্ত্র মুলক অপরাজনীতির বিরুদ্ধে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার গুড়দাহ বাজারে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শ্যামকুড় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আমানউল্লাহ হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ঝিনাইদহ-৩ আসনের এমপি শফিকুল আজম খান চঞ্চল।

শান্তি সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি নবী নেওয়াজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাজ্জাদুল ইসলাম সাজ্জাদ, সাধারণ সম্পাদক মীর সুলতানুজ্জামান লিটন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আজিজুল হক আজা, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগের আনিচুজ্জামান টিপু, স্বরুপপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, নেপা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান সামছুল আলম মৃধা, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আব্বাস উদ্দীন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শাহেদ মেহেবুব রনজু, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আশরাফুন নাহার শিউলী, খবির উদ্দীন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ইয়াবুক আলী মাষ্টার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আমিনুর রহমান, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল ইসলাম।

 

 

ঝিনাইদহের  মহেশপুরে বিএনপি-জামায়াত অশুভ শক্তির সন্ত্রাস নৈরাজ্য ও ষড়যন্ত্র মুলক অপরাজনীতির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ

জাফিরুল ইসলাম :  ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে  আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জোরপুর্বক এক কৃষকের জমি দখল করে নেওয়ার  অভিযোগ উঠেছে। সেখানে গেলে ভুক্তভোগী ওই জমির মালিককে মারধর ও হত্যার  হুমকি দিচ্ছে ওই দখলদার। এদিকে জমি বেদখলমুক্ত করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ দিয়েছে ওই ভুক্তভোগী কৃষক।

জানা যায়, পোড়াহাটি গ্রামের ১৮২ মৌজায় পৈতৃকসুত্রে ৮১ শতক জমি পায়  ওই গ্রামের মৃত শুকুর আলী মালিতার ছেলে আজিজুর রহমান। দীর্ঘদিন ধরে ওই  জমিতে তিনি ধানের আবাদ করে আসছিলো। কিন্তু সম্প্রতি পোড়াহাটি  ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক ওরফে কসাই রাজ্জাক  জমিটি অন্যজনের কাছ থেকে কিনেছে দাবী করে আসছিলো। এ নিয়ে  আজিজুর রহমান আদালতের দ্বারস্থ হয়। আদালত ওই জমিতে ১৪৪ ধারা জারিও করেছে।  কিন্তু শনিবার সকালে কসাই রাজ্জাক তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে জমিতে থাকা ধান নষ্ট  করে দখল করে নিয়েছে।

ভুক্তভোগী আজিজুর রহমান বলেন, জমিটি আমি ওয়ারিশ সুত্রে পেয়েছি। জমিতে  আমার বাবা, আমার দাদা চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করেছে। কিন্তু দখলবাজ  কসাই রাজ্জাক আমার জমি দখল করে নিয়েছে। আমি ওই জমিতে গেলে আমাকে  হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমি আমার জমি ফেরত চাই। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর  হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কসাই রাজ্জাক বলেন, আমি রইচ মোল্লার কাছ থেকে দলিলমুলে  জমি কিনেছি। আমি যেহেতু কিনেছে তাই জমিতে ভোগদখলের চেষ্টা করছি।

ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই নুর ইসলাম বলেন, ওই জমি নিয়ে আদালতে মামলা  চলছে। আদালত ১৪৪ ধারা জারি করেছে। কোন পক্ষই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না। কেউ যদি তা অমান্য করে তবে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

ঝিনাইদহে জোরপুর্বক জমি দখলের অভিযোগ

জাফিরুল ইসলাম :  ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে এক সুদে কারবারিকে আটক করেছে পুলিশ।বৃহস্পতিবার  রাতে উপজেলার কুলবাড়িয়া বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সুদে কারবারি আলতাফ মন্ডল কুলবাড়িয়া গ্রামের মৃত গোলাপ মন্ডলের ছেলে।

পুলিশ সুত্রে জানা গেছে,আলতাফ মন্ডল দীর্ঘদিন ধরে সুদে কারবারের সাথে জড়িত এমন তথ্য পায় ফলসী ইউনিয়নের বিট পুলিশের দ্বায়িত্ব থাকা এস আই সাইফুল ইসলাম।আলতাফ নিজ গ্রামের অসহায়,দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে ব্লাংক চেক,ও স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে টাকা ধার দিত।মুল টাকা আদায় করার পরেও চেকে ইচ্ছামত টাকার পরিমান বসিয়ে তাদেরকে মামলার ভয় দেখিয়ে কয়েক গুন টাকা আদায় করত।তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ  ভুক্তভোগীরা।কিন্তু প্রভাবশালী হওয়ায় তার ভয়ে কেউ থানায় অভিযোগ করতে সাহস পায়নি।

হরিণাকুণ্ডু থানার ওসি সাইফুল ইসলামের নির্দেশে তথ্যানুসন্ধানে সঙ্গীয় ফোর্সসহ বৃহস্পতিবার রাতে কুলবাড়িয়া বাজারে যায় এস আই আলাউদ্দিন আল আজাদ।কুলবাড়িয়া বাজারে পুলিশের অবস্থান জানতে পেরে আলতাফ পালাতে গেলে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।তার কথায় সন্দেহ হলে স্থানীয়দের সহযোগীতায় তার ঘর তল্লাসি করে শিউলী খাতুন নামের একজনের স্বাক্ষরিত দুইটি ব্লাংক ও ১১০০০০ টাকার উল্লেখিত একটি চেক উদ্ধার করে পুলিশ।

এবিষয়ে হরিণাকুণ্ডু থানার (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান,বিভিন্ন সময়ে এইসব সুদখোর ব্লাং চেক নিয়ে মানুষকে হয়রানী করছে এবং তাদের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। টাকা দিতে না পেরে তারা ঘর ছাড়া হচ্ছে। এসব মানুষকে নিবৃত্তি করার জন্য আমাদের এই অভিযান চলছে এবং অভিযান চলমান থাকবে।মাননীয় পুলিশ সুপারের নির্দেশে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তারিখ বিহীন ৩ টি চেক  উদ্ধার করি। তার বিরুদ্ধে দ্রুত বিচারে দিয়ে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। সুদ কারবারিদের

বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

 

 

ঝিনাইদহে আরোএক সুদখোর আটক

স্টাফ রিপোর্টার : এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ৩৪ জন ছাত্র-ছাত্রী জিপিএ -৫ পাওয়ার মধ্য দিয়ে ঝিনাইদহের  মহেশপুরের শীর্ষে স্থান দখল করে নিয়েছেন যাদবপুর কলেজ।

২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় যাদবপুর কলেজ থেকে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষায় ১২৯ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহন করে। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে শতভাগ জিপিএ-৫ সহ ১২৮ ছাত্র-ছাত্রী পাস করেছে।

যাদবপুর কলেজের অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, কলেজের সকল শিক্ষক-শিখিক্ষা আর অভিভাবকদের প্রচেষ্টার কারনেই আজ যাদবপুর কলেজের এ সুনাম অর্জন করতে পেরেছে।

তিনি আরো জানান, অমি প্রতিটা অভিভাবকে কাছে কৃতজ্ঞ।

মহেশপুরের নামি দামি ১০টি কলেজকে টপকিয়ে যাদবপুর কলেজ আজ শীর্ষে উঠল।

 

 

 

 

এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ঝিনাইদহের মহেশপুরের শীর্ষে যাদবপুর কলেজ