28 Feb 2025, 11:59 pm

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী শোয়েব পালোয়ানের (২৬) বৌভাতের দিন ধার্য ছিল ১৯ ফেব্রুয়ারি। দিনক্ষণ অনুযায়ী কনে ও বরপক্ষ বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। উভয় পরিবারে বইছিল বিয়ের আনন্দের সাজ সাজ রব। তবে অনুষ্ঠানের দাওয়াতপত্র সহকর্মীদের দিতে যাওয়ার পথেই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ওই শিক্ষার্থী।

সংসারের স্বপ্ন সড়কেই শেষ হয়ে গেল শোয়েবের। পথে একটি নসিমন গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগে পড়ে যায় মোটরসাইকেল। এতে মুহূর্তেই উভয় পরিবারের আনন্দ বিষাদে পরিণত হয়।

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে ভোলা সদর উপজেলার আগার পোল সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শোয়েব সদর উপজেলা আলীনগর ইউনিয়নের চর ছিফলী গ্রামের মো. হারুন পালোয়ানের ছেলে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

পরিবার সূত্র জানায়, কিছুদিন আগে শোয়েব বিয়ে করেন। আসছে ১৯ ফেব্রুয়ারি তার বৌভাতের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে। উভয় পরিবারের লোকজন এরই মধ্যে বিয়ের দাওয়াতপত্র বিতরণ প্রায় শেষ করেছে।

নিহতের ভাগ্নে মো. শাহাদাত হোসেন জানান, শোয়েব তার সহকর্মী ও বন্ধুবান্ধবদের বিয়ের কার্ড দেওয়ার জন্য শনিবার সকালে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হন। বেলা ১২টার দিকে মোটরসাইকেলে আগার পোল সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে একটি নসিমন গাড়ি মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে শোয়েব গুরুতর আহত হন। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

শোয়েবের মৃত্যু সংবাদ শুনে ভোলা সদর হাসপাতালে ছুটে আসেন দুই পরিবারের লোকজন। এ ঘটনার পর শোয়েবের মা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।

নিহতের বন্ধু আরিফুর রহমান ওমি বলেন বলেন, বৌভাতের আগ মুহূর্তে শোয়েবের মৃত্যুর ঘটনা সত্যিই হৃদয়বিদারক। একটি সড়ক দুর্ঘটনা দুই পরিবারের আনন্দ ও স্বপ্ন ধুলায় মিশিয়ে দিল। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বিকেল সাড়ে ৩টা) শোয়েবের লাশ ভোলা সদর হাসপাতালে রয়েছে।

ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন ফকির জানান, নিহতের পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই। তারা বিনা ময়নাতদন্তে লাশ নিয়ে যেতে চাচ্ছে। পুলিশ ভোলা সদর হাসপাতালে রয়েছে।

ভোলায় নিজের বিয়ের কার্ড বিলি করতে গিয়ে লাশ হলেন শোয়েব

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় পদযাত্রা কর্মসূচিতে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ৪০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে পুলিশ। সেইসঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছেন। সংঘর্ষে তিন পুলিশ সদস্য ও বিএনপির ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সাতগ্রাম ইউনিয়নের পাঁচরুখী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুপুরে আড়াইহাজার পৌর বিএনপির উদ্যোগে শহর থেকে পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু হয়। পদযাত্রা নিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন নেতাকর্মীরা। এ সময় তাদের বাধা দেয় পুলিশ। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এরই মধ্যে কর্মসূচির ব্যানার ছিনিয়ে নিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ লেগে যায়। শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এর ফাঁকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন নেতাকর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফাঁকা গুলি ছুড়তে শুরু করে পুলিশ।

আড়াইহাজার পৌর বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, ‘কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শান্তিপূর্ণভাবে পদযাত্রা শুরু করেছিলাম আমরা। পাঁচরুখী এলাকায় গেলে আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেয় পুলিশ। এ নিয়ে বাগবিতণ্ডা শুরু হলে নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে পুলিশ। এতে আমাদের ১০ নেতাকর্মী আহত হন।’

আড়াইহাজার থানার ওসি আজিজুল হক হাওলাদার বলেন, ‘ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছিলেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এতে যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয়। তাদের সেখান থেকে সরে যেতে বললে বাগবিতণ্ডায় জড়ান। একপর্যায়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৪০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে পুলিশ। তাদের ছোড়া ইটপাটকেলে তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। তবে বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন কিনা, তা আমার জানা নেই। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করবে পুলিশ।’

নারায়ণগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে ১৩ জন আহত

স্টাফ রিপোর্টার : ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে ১০টি সোনার বারসহ মফিজুর রহমান (২৮) নামের এক চোরাচালানী আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে সীমান্তের রাজাপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। মফিজুর যশোরের শার্শা থানার গেড়িপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে।

বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে ঝিনাইদহ বিজিবি-৫৮ এর পরিচালক মাসুদ পারভেজ রানা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজাপুর বাজার এলাকায় অবস্থান নেয় বিজিবি। মোটরসাইকেলযোগে রাজাপুর বাজার থেকে বের হলে মফিজুর রহমানকে আটক করা হয়। তার দেহ তল্লাশি করে ১০টি সোনার বার জব্দ করা হয়। ১ কেজি ১৬৬ গ্রাম ওজনের সোনার আনুমানিক মূল্য ৯২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আটককৃত মফিজুরের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে ৯২ লাখ টাকার ১০টি সোনার বারসহ চোরাচালানী আটক

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : দিনাজপুর শহরের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মোড় থেকে জামায়াত-শিবিরের সাত নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি সকালে দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন দিনাজপুর জেলা জামায়াতের আমির আনিসুর রহমান (৬৩), ফুলবাড়ী উপজেলার ৭ নম্বর ইউনিয়নের আমির আবু তাহের (৬২), ফুলবাড়ী উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও দিনাজপুর দক্ষিণের সাবেক সদস্য মঞ্জুরুল কাদের(৫৪), পার্বতীপুর উপজেলার বাবুপাড়া রেলওয়ে কলোনির বাসিন্দা জামায়াত নেতা রফিকুুল ইসলাম (৪৩), একই উপজেলার মহরপুর গ্রামের শিবির নেতা নাঈম বিল্লাহ (২৪), পার্বতীপুর উপজেলার আমবাড়ী ইউনিয়ন শিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল বাশার (৫০) ও দিনাজপুর শহরের রামনগর জামাইপাড়ার বাসিন্দা জেলা জামায়াতের সদস্য জাহিদুল ইসলাম (৫৫)।

দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম জামায়াত-শিবির নেতাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, অরাজকতা সৃষ্টি করতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা দিনাজপুর শহরে একত্রিত হন। এসময় অভিযান চালিয়ে সাত নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আগে একাধিক মামলা রয়েছে।

অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টাকালে দিনাজপুরে জামায়াত-শিবিরের ৭ নেতাকর্মী গ্রেফতার

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বিরল রোগ ‘এসএমএ’-এ আক্রান্ত হয়ে ভুগছে সিলেটের ছোট্ট শিশু আয়াত হক। এ রোগ নিরাময়ে ‘রিসডিপ্লাম’ নামে মুখে খাওয়ার ওষুধ রয়েছে। প্রতিমাসে খাওয়াতে হয় ১০ লাখ টাকার ওষধু। আর খাওয়াতে হয় আজীবন।

‘এসএমএ’ প্রতিরোধক ইনজেকশন রয়েছে। তবে এ ইনজেকশনের যা দাম সে পরিমাণ টাকার ব্যবস্থা করা শিশু আয়াত হকের বাবা-মায়ের পক্ষে অসম্ভব—২২ কোটি টাকা। সন্তানকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেছেন সিলেটের শিশুটির বাবা-মা মোহাম্মদ জুনেদ হক ও ফারজানা আক্তার দম্পতি।

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ আবেদন জানান তারা।

সিলেট নগরের মেজরটিলা ইসলামপুরের ব্লক সি-এর ৭৯ নম্বর বাসার বাসিন্দা জুনেদ ও ফারজানা সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০২২ সালের ২০ জুন তাদের দ্বিতীয় সন্তান (মেয়ে) আয়াত হকের জন্ম হয়। জন্মের কিছুদিন পরই তারা লক্ষ্য করেন, আয়াতের হাত-পা অস্বাভাবিক তুলতুলে নরম এবং এগুলো নাড়াতে পারছে না। ঘাড়ও শক্ত নয়, সোজা করতে পারছে না। এছাড়া শ্বাস নিতে ভীষণ কষ্ট হয় আয়াতের।

এসব দেখে সিলেটের কয়েকজন শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন জুনেদ-ফারজানা দম্পতি। পরবর্তী সময়ে তাদের পরামর্শে ঢাকার একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে আয়াতকে নিয়ে যান।

প্রাথমিক চেকআপে ওই চিকিৎসক জানান, আয়াত ‘স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাটরোফি’ বা ‘এসএমএ’ নামের বিরল রোগে আক্রান্ত। এসময় তিনি কয়েকটি পরীক্ষা করাতে বলেন। এরমধ্যে একটি ‘এসএমএ’ রোগ শনাক্তের পরীক্ষা। এ পরীক্ষার জন্য আয়াতের শরীরের রক্ত প্রসেস করে ভারতে পাঠানো হয়। কারণ এ পরীক্ষা দেশে হয় না।

একমাস পর পরীক্ষার রিপোর্ট আসে। রিপোর্ট দেখে ওই চিকিৎসক জুনেদ ও ফারজানাকে নিশ্চিত করেন, আয়াত ‘এসএমএ’ রোগেই আক্রান্ত। টাইপ ওয়ানে আছে সে। যেটি এ রোগের মারাত্মক ধরন। এক থেকে দুই বছরের মধ্যে চিকিৎসা না করালে আয়াতকে আর বাঁচানো সম্ভব নয়। তবে এর কোনো ওষুধ দেশে নেই।

সংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসকদের বরাতে জুনেদ ও ফারজানা জানান, পেশির সঞ্চালনকে নিয়ন্ত্রণ করে যে মোটর নিউরোন, তা নষ্ট হওয়ায় জিনঘটিত এ বিরল রোগের কারণ। রোগের তীব্রতা অনুযায়ী টাইপ ওয়ান থেকে ফোর পর্যন্ত হয় ‘এসএমএ’ রোগ। বাংলাদেশে এর কোনো ওষুধ নেই। আন্তর্জাতিক বাজারে একটি কোম্পানি কয়েক মাস আগে এর ওষুধ বাজারে নিয়ে এলেও তা কেনা সাধারণ মানুষের সাধ্যাতীত।

বর্তমানে ‘এসএমএ’ প্রতিরোধক ইনজেকশনের দাম ২২ কোটি টাকা। এছাড়া এ রোগ নিরাময়ে ‘রিসডিপ্লাম’ নামের মুখে খাওয়ার ওষুধ রয়েছে। তবে প্রতিমাসে খাওয়াতে হয় ১০ লাখ টাকার ওষধু। আর খাওয়াতে হয় আজীবন। চিকিৎসকের এমন কথা শুনে তারা দুজন দিশেহারা হয়ে যান। একপর্যায়ে তাদের সন্তান আয়াতকে নিয়ে যান ‘এসএমএ’ রোগ বিশেষজ্ঞ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক নিউরোলজির চিকিৎসক ডা. জোবায়দা পারভিনের কাছে।

তিনি জুনেদ ও ফারজানাকে পরামর্শ দেন, ‘নোভার্টিস’ নামের বিদেশি ওষুধ কোম্পানি বরাবরে একটি আবেদন করার জন্য। কোম্পানিটি প্রতি বছর লটারির মাধ্যমে বিশ্বের ‘এসএমএ’ আক্রান্ত দুই শিশুকে ২২ কোটি টাকা দামের ‘জোলগেনসমা’ নামের ইনজেকশনটি বিনামূল্যে দিয়ে থাকে। ডা. জোবায়দা পারভিনের পরামর্শের পর তারা ‘নোভার্টিস’ কোম্পানি বরাবরে আবেদন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে এ দম্পতি আরও বলেন, ‘আবেদন করা হয়েছে ঠিকই কিন্তু সারা বিশ্বের আবেদনকারীদের মধ্য থেকে তারা লটারির মাধ্যমে দুই শিশু নির্বাচিত করে। এখন লটারিতে আমাদের আয়াতের নাম উঠবে কি না সেটা তো বলা যায় না। যদি না ওঠে তবে কি চোখের সামনেই আমাদের সন্তান মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বে? মা-বাবা হয়ে সে দৃশ্য আমরা সহ্য করবো কীভাবে? আমার আয়াত যখন শ্বাসকষ্টে ভোগে তখন কষ্টে আমাদের বুক ফেটে যাওয়ার উপক্রম হয়। অনেক সময় ৩-৪ মিনিট পর্যন্ত সে স্বভাবিকভাবে শ্বাস নিতে পারে না। আমরা তখন কান্নাকাটি করি।’

তারা আরও বলেন, ‘আমরা দেশের মানুষ জানি, আমাদের প্রধানমন্ত্রী একজন মানবিক সরকারপ্রধান। মানবিকতার ক্ষেত্রে তিনি অনন্য। তিনি কোটি কোটি টাকা খরচ করে করোনার টিকা বিদেশ থেকে নিয়ে এসে দেশের মানুষকে সম্পূর্ণ ফ্রি দিয়ে যে সুনাম কুড়িয়েছেন তা পৃথিবীর আর কোনো সরকার করতে পারেনি। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, একমাত্র আমাদের প্রধানমন্ত্রী যদি চান তবে ফান্ড তৈরি করে আমার আয়াতসহ এ বিরল রোগে আক্রান্ত দেশের শিশুদের তিনি বাঁচাতে পারেন।’

‘যদি আমরা বাবা-মা দুটি করে চারটি কিডনি বিক্রি করে হলেও আমাদের জীবনের বিনিময়ে আমরা আমাদের আয়াতকে বাঁচাতে পারতাম, তবে চেষ্টা করতাম। কিন্তু আমাদের কিডনিসহ সব সহায়-সম্পত্তি বিক্রি করেও তো ২২ কোটি টাকা ব্যবস্থা করতে পারবো না। তাই বাধ্য হয়ে আমরা গণমাধ্যমের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। দৃষ্টি আকর্ষণ করছি সিলেট ও প্রবাসে থাকা সিলেটি বিত্তশালী ব্যক্তিদের। যদি সবাই আন্তরিক হন তবে হয়তো আমাদের আয়াতকে বাঁচানো সম্ভব’, যোগ করেন জুনেদ-ফারজানা দম্পতি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা বিভাগীয় প্রধান ও হেপাটোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল বলেন, ‘এ বিরল রোগের ওষুধ বাংলাদেশে অ্যাভেইলেবল না। তবে একটি আন্তর্জাতিক ওষুধ কোম্পানি এ বিরল রোগের ইনজেকশন ও ট্যাবলেট তৈরি করেছে। যা খুবই ব্যয়বহুল। ইনজেকশনের দাম ২২ কোটি টাকার কিছু কমবেশি হবে। তবে নোভাটিজ নামের ওই বৈশ্বিক ওষুধ কোম্পানি লটারির মাধ্যমে একটা বাচ্চাকে ফ্রি ইনজেকশন দিয়ে থাকে। কিছুদিন আগে ঢাকার একটা বাচ্চা ইনজেকশন পেয়েছে বলে শুনেছি।’

সিলেটর শিশু আয়াতের চিকিৎসায় এক ইনজেকশনের দাম ২২ কোটি টাকা

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করে সৌদি যাওয়ার সময় আটক হয়েছেন এক রোহিঙ্গা নেতা। তার নাম আসাদুল্লাহ। শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভেতর থেকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ।

তাকে শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে কক্সবাজারের উখিয়া থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।

আটক আসাদুল্লাহ কক্সবাজারের উখিয়া থানাধীন থ্যাংখালী শরণার্থী ক্যাম্পের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ। তিনি বাংলাদেশ বিমানের ‘বিজি-১৩৫’ ফ্লাইটে সৌদি আরব যাচ্ছিলেন।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, ‘বিজি-১৩৫’ ফ্লাইটটি ছিল জেদ্দাগামী। শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় ফ্লাইটটি শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে জেদ্দার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রায় ২২ মিনিট বিলম্বে সন্ধ্যা ৭টা ৭ মিনিটে ফ্লাইটটি জেদ্দার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই ফ্লাইটের যাত্রী ছিলেন আসাদুল্লাহ। ৬টার দিকে বিমানের বোর্ডিং পাস সংগ্রহ করার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-কমিশনার (ডিবি-উত্তর) নিহাদ আদনান তাইয়ান বলেন, আসাদুল্লাহ বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করে বিদেশ যাওয়ার সময় চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন যাচাই করে দেখা যায়, তিনি উখিয়ার ১২ নম্বর রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে ৯ জানুয়ারি একটি হত্যা মামলা হয়েছে। তিনি পালিয়ে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তার বাংলাদেশি পাসপোর্টটি জব্দ করা হয়েছে।

এই পাসপোর্ট তিনি কীভাবে সংগ্রহ করেছেন তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান সিএমপির উপ-কমিশনার।

বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে সৌদি যাওয়ার সময় বিমানবন্দরের আটক রোহিঙ্গা নেতা

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বিএনপি-জামায়াতসহ অশুভ শক্তির সন্ত্রস-নৈরাজ্য ও ষড়যন্ত্রমূলক অপরাজনীতির বিরুদ্ধে আজ শনিবার জেলার জুরাছড়ি উপজেলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বেলা ১১টায় জুরাছড়ি উপজেলার ১নং জুরাছড়ি ইউনিয়ন ও ২নং বনযোগীছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এই শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
শান্তি সমাবেশে জুরাছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি চিরঞ্জীব চাকমা, পবন বিকাশ চাকমা, ২নং বনযোগীছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান  সন্তোষ কুমার চাকমা, ১নং জুরাছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি উত্তম কুমার চাকমা, সাধারণ সম্পাদক বাবু মিন্টু চাকমা, ২নং বনযোগীছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কৃষ্ণ মোহন চাকমা, সাধারণ সম্পাদক ব অনুপম চাকমা, কৃষকলীগের সভাপতি অনিল কান্তি চাকমা, ছাত্রলীগের সভাপতি মোহর চাকমাসহ জুরাছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া জেলার লংগদু, কাউখালী, কাপ্তাইসহ বিভিন্ন উপজেলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অশুভ শক্তির সন্ত্রাস-নৈরাজ্যর বিরুদ্ধে রাঙ্গামাটির ইউনিয়নগুলোতে শান্তি সমাবেশ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উভয় দলের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ১৩টি মোটরসাইকেলের অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।

শনিবার সকাল ১১টার দিকে সদর উপজেলার পাইকপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়াহরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শান্তি সমাবেশের প্রস্তুতির জন্য পাইকপাড়া মোড়ে সমবেত হয়। তখন বিএনপির কেন্দ্রীয় পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে যাবার সময় উভয় দলের নেতাকর্মীরা মুখোমুখি হয়।

এসময় তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে সড়কের ওপর থাকা ১৩টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়।

পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ব্যাপারে কালিয়াহরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, “সকালে আমারা দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলাম। তখন জেলা যুবদল ও সেচ্ছাসেবক দল ও বিএনপির সন্ত্রাসীরা আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। তারা আমাদের নেতাকর্মীদের ১৩টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করেছে, স্থানীয় দোকানপাটে হামলা চালায়।”

সিরাজগঞ্জ সদর আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ হাবিবে মিল্লাত জানান, “দলীয় নেতাকর্মীরা সড়কের ওপর শান্তি সমাবেশের জন্য ছিল এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা এসে অতর্কিত হামলা করে এবং ১৩টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে।”

এদিকে, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, “শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচিকে বিঘ্ন ঘটাতে পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগ এ ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।”

বর্তমানে ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়ন রয়েছে।

 

 

সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে ১৩ মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ

ইয়ানূর রহমান : যশোর পলিটেকনিক্যাল কলেজ ছাত্রী জেসমিন আক্তারের লাশ শার্শার দক্ষিন বুরুজবাগান গ্রামের প্রেমিক অঙ্কুরের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকাল ৩ টার দিকে ঐ গ্রামের আকবর আলীর ছেলে আহসান হাবিবের বাসার সেপটি ট্যাংকের ভিতর থেকে ছাত্রী জেসমিন আক্তার (১৮)র অর্ধগলিত লাশটি উদ্ধার করা হয়। জেসমিন সাতক্ষিরা জেলার কলারোয়া থানার কাজিরহাট কাউরিয়া গ্রামের জাকির হোসেনের কন্যা।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তার কন্যা জেসমিন যশোর পলিটেকনিক কলেজের ৪র্থ বর্ষে পড়াশোনা করত। আসামী আহসান হাবীবও একই কলেজে পড়ত। সে সুবাদে তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে উঠে।

৮ দিন পূর্বে তার কন্যা নিখোঁজ হয়। নিখোঁজ বিষয়ে যশোর কোতয়ালী থানায় একটি জিডি করা হয়। অনেক খোজ খবরের পর মেয়ে জেসমিন কে শার্শার দক্ষিন বুরুজবাগান গ্রামের প্রেমিকের বাসার পাশের সেপটিক ট্যাংকি থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানায়,তাদের দুজনের মধ্য প্রেমের সম্পর্ক অবনতি ঘটলে আসামী আহসান হাবিব সূকৌশলে জেসমিনকে তার বাসায় এনে গলা কেটে হত্যা করে ট্যাংকিতে ফেলে রাখে।

যশোর শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আকিকুর রহমান বলেন, আমরা শুক্রবার দুপুরে জানতে পারি যশোর থেকে নিখোঁজ জেসমিন আক্তারের দেহটি বুরুজবাগান এলাকায় তারই এক সহপাঠী আহসান কবির অঙ্কুরের বাসাতে আছে। এ সময়ে চারিদিকে খোঁজাখুঁজির পরেও না পেয়ে আমরা সেফটি ট্যাংক খুলে নিখোঁজ মেয়েটির লাশটি খুঁজে পায়। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা যাচ্ছে প্রেমের সম্পর্ক ধরে তাকে এখানে নিয়ে আসা হয়। পরে তাকে শারীর নির্যাতন করে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য সেফটি ট্যাংকির ভিতরে লুকিয়ে রাখা হয়।

খুলনা র‌্যাব-৬ এর যশোর ক্যাম্পের অধিনায়ক লে. কমান্ডার এম নাজিউর রহমান বলেন, হত্যা করে লাশ গুমের ঘটনায় আহসান কবির অঙ্কুর নামে তার এক সহপাঠীকে আটক করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তার স্বীকারোক্তিতে অঙ্কুর নিজ বাড়ীর সেফটি ট্যাংকির ভিতর থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

 

 

যশোর পলিটেকনিক্যাল কলেজ ছাত্রী জেসমিনের লাশ শার্শার প্রেমিক অঙ্কুরের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক :  ‘ভালবাসার মাসে রঙিন ভালবাসা বিপণন’শিরোনামে একটি সাইনবোর্ড টানিয়ে রঙিন ফুলকপি বিক্রি করছেন এক কৃষক। শুক্রবার (১০ ফেব্রুযারি) দুপুরে ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলা পরিষদ চত্তরে কৃষক শোভল চন্দ্র এই ফুলকপি বিক্রি করতে এসেছেন।

হলুদ ও বেগুনি রংয়ের ফুলকপি দেখতে প্রতিনিয়তই ভিড় জমাচ্ছেন মানুষ। স্থানীয় সাংসদ, জেলা প্রশাসক, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ইউএনও এই ফুলকপি কিনে খেয়েছেন।

জানা গেছে, নান্দাইল পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বাদল চন্দ্র বর্মণ। তিনি বাড়ির পাশে ২০ শতক জমিতে দুই হাজার হলুদ ও বেগুনি রঙয়ের ফুলকপির চাষ করেছেন। ‘বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের’ আওতায় নান্দাইলে চলতি বছর রঙিন ফুলকপি চাষের এই উদ্যোগ নেয় উপজেলা কৃষি অফিস।

এই প্রকল্পের জন্য উপজেলায় একমাত্র চাষি বাদল চন্দ্রকে পরীক্ষামূলকভাবে ২ হাজার রঙিন ফুলকপির চারা দেওয়া হয়।

কৃষক বাদল চন্দ্র বর্মণ বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শে ২০ শতক জমিতে আমি প্রথমবার রঙিন ফুলকপির চাষ করেছি। খরচের তুলনায় তিনগুণ বেশি লাভের আশা করছি। ফলনও ভাল হয়েছে।

তাই আগামীতে আরও বেশি জমিতে এই রঙিন ফুলকপি চাষ করার ইচ্ছা আছে। বাজারের সাদা রঙের কপির থেকে এর চাহিদা অনেকটাই বেশি। আমার ভাই শোভল চন্দ্র উপজেলা পরিষদের সামনে এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন এই ফুলকপি বিক্রি করেন।

তিনি বলেন, আমার এই রঙিন ফুলকপি স্থানীয় এমপি, জেলা প্রশাসক, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ইউএনও থেকে শুরু করে নান্দাইলের সরকারি কর্মকর্তারা কিনে খেয়েছেন।

নান্দাইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান বলেন, অর্গানিক পদ্ধতিতে রঙিন ফুলকপি চাষে কৃষকের মাঝে আগ্রহ সৃষ্টি করাই ছিল আমাদের লক্ষ্য। এজন্য আমরা এ বছর প্রথম কৃষক বাদল চন্দ্রের জমিতে ২ হাজার রঙ্গিন ফুলকপির চারার ব্যবস্থা করেছি। এই সবজিতে অনেক বেশি ভিটামিনের উপাদান থাকে। আশা করছি, আগামী বছর রঙিন ফুলকপি চাষীর সংখ্যা বাড়বে।

 

 

ভালবাসার মাসে সাইনবোর্ড টানিয়ে বেগুনি রংয়ের ফুলকপি বিক্রি 

স্টাফ রিপোর্টার : এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ৩৪ জন ছাত্র-ছাত্রী জিপিএ -৫ পাওয়ার মধ্য দিয়ে ঝিনাইদহের  মহেশপুরের শীর্ষে স্থান দখল করে নিয়েছেন যাদবপুর কলেজ।

২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় যাদবপুর কলেজ থেকে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষায় ১২৯ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহন করে। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে শতভাগ জিপিএ-৫ সহ ১২৮ ছাত্র-ছাত্রী পাস করেছে।

যাদবপুর কলেজের অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, কলেজের সকল শিক্ষক-শিখিক্ষা আর অভিভাবকদের প্রচেষ্টার কারনেই আজ যাদবপুর কলেজের এ সুনাম অর্জন করতে পেরেছে।

তিনি আরো জানান, অমি প্রতিটা অভিভাবকে কাছে কৃতজ্ঞ।

মহেশপুরের নামি দামি ১০টি কলেজকে টপকিয়ে যাদবপুর কলেজ আজ শীর্ষে উঠল।

 

 

 

 

এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ঝিনাইদহের মহেশপুরের শীর্ষে যাদবপুর কলেজ