28 Feb 2025, 04:23 pm

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক :  যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় মুসলিম নাগরিক অধিকার সংস্থা কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস (সিএআইআর) অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড অর্থাৎ ইসরাইলের মসজিদগুলো থেকে আযান প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং লাউডস্পিকার বাজেয়াপ্ত করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তারা এটাকে পবিত্র ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রকাশ্য যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে বিবেচনা করছে।

সম্প্রতি দখলদার ইসরাইলের উগ্র ডানপন্থী মন্ত্রী ইতামার বেন-গাভির ইহুদিবাদী ইসরাইলের সেনাবাহিনীকে বলেছে, তারা যেন ইসরাইলি ভূখণ্ডে অবস্থিত মসজিদগুলো থেকে আজান প্রচারে বাধা দেয়।

ইসরাইলের এই চরমপন্থী মন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী ইহুদিবাদী সামরিক বাহিনী মসজিদে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছে এবং আযান দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত লাউডস্পিকারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা করার ক্ষমতা পেয়েছে। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, যেসব মসজিদ থেকে আযান প্রচার করা হবে সেগুলোকে জরিমানা করা হবে।

শাবেস্তান বার্তা সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস (সিএআইআর)’র নির্বাহী পরিচালক নিহাদ আউয়াদ বলেছেন- ফিলিস্তিনি সংস্কৃতিকে মুছে ফেলার জন্য দখলদার ইসরাইল গত কয়েক দশক ধরে যে অপচেষ্টা চালাচ্ছে তার অংশ হিসেবে মসজিদ, গীর্জা ও সাংস্কৃতিক স্থানের উপর হামলা করা হচ্ছে এবং পবিত্র ধর্মগ্রন্থ ও সনদের অবমাননা করা হচ্ছে।

নিহাদ আওয়াদ আরও বলেছেন, ইসলাম এবং খ্রিস্টান ধর্মের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছে ইসরাইল, এর মাধ্যমে তারা ফিলিস্তিনি জাতিকে নিধন করতে চায়।

কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস (সিএআইআর)’র নির্বাহী পরিচালক বলেন, ইসরাইলের প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সমর্থন ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘন করার জন্য দখলদারদেরকে আরও সাহসী করে তুলেছে। তিনি মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোকে তা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

আজানে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ইসলাম ও খ্রিস্টান ধর্মের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছে ইসরাইল

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল এবং উগ্র তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো সিরিয়াকে পুরো মধ্যপ্রাচ্যের জন্য সন্ত্রাসবাদ ও হুমকির কেন্দ্রে পরিণত করতে চায়।

গতকাল (শুক্রবার) ইরাকের টেলিভিশন চ্যানেল আলাআওলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেন আরাকচি। সিরিয়ায় উগ্র সন্ত্রাসবাদীদের চলমান তাণ্ডব এবং সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য গতকাল তিনি ইরাক সফর করেন।

সাক্ষাৎকারে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের জন্য হুমকি ও সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্র হিসেবে সিরিয়াকে ব্যবহারের জন্য ইসরাইল এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সমন্বয় প্রতিষ্ঠা হয়েছে। তিনি বলেন, সিরিয়া সরকার এবং জনগণের জন্য ইরান সব সময় সমর্থন যুগিয়েছে। দামেস্ক এখন আমাদের কাছে কী ধরনের সমর্থন চায় তারওপর ভিত্তি করে আমরা সমর্থন অব্যাহত রাখব।”

সিরিয়ায় যখন উগ্র সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলো আবার শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসার চেষ্টা করছে এবং নতুন করে সাধারণ জনগণ ও সরকারের বিরুদ্ধে তাণ্ডব শুরু করেছে তখন আব্বাস আরাকচি এসব কথা বললেন। সিরিয়ায় তৎপর সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর প্রতি ইহুদিবাদী ইসরাইল এবং পশ্চিমা দেশগুলোর আগা-গোড়াই সমর্থন ছিল।

ইসরাইল ও লেবাননের মধ্যকার যুদ্ধবিরতি চুক্তির কথা উল্লেখ করে আরাকচি বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের আগ্রাসনের কারণে সত্যিকার অর্থে লেবাননের জন্য গৃহযুদ্ধের ঝুঁকি সৃষ্টি উঠেছিল। কিন্তু সেই ষড়যন্ত্র বানচাল করা হয়েছে এবং লেবাননের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যকার ঐক্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

ইসরাইল ও তাকফিরিরা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সিরিয়াকে সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রে পরিণত করতে চায় : ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবৈধভাবে অবস্থানরত ৫০ হাজার বাংলাদেশি সাধারণ ক্ষমা পেয়েছে।  জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের অবৈধ প্রবাসীদের জন্য এই সাধারণ ক্ষমা সুযোগ দেওয়া হয়। এরই মধ্যে ৫০ হাজার বাংলাদেশি এই সুযোগ গ্রহণ করেছেন। এ ছাড়া এখনও যারা এই সুযোগ নেননি, তাদেরকে তা নেয়ার আহ্বান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জনকূটনীতি বিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমিরাত সরকার চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাধারণ ক্ষমার সুযোগ দিয়েছে। এরই মধ্যে ৫০ হাজার বাংলাদেশি এ সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিয়েছেন।  যারা এখনও এ সুযোগ নেননি, তাদের তা নেয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

বাংলাদেশিদের জন্য আমিরাতের ভিসা খোলার রফিকুল ইসলাম বলেন, আমিরাত বিভিন্ন সময়ে তাদের ভিসানীতি পরিমার্জন করে থাকে। এটা সম্পূর্ণ তাদের বিষয়। জুলাইয়ের আগে থেকেই আমিরাত বাংলাদেশিদের জন্য ভিসানীতি পরিবর্তন করে। জুলাইয়ের পর তাদের ভিসানীতি আরও কঠিন হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। যদিও আমিরাত সরকার এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেনি। তবে যেসব ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশিদের ভিসা পেতে সমস্যা হচ্ছে, তা আমিরাত কর্তৃপক্ষের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে। বিষয়টি বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন তারা।

৫০ হাজার অবৈধ বাংলাদেশিকে সাধারণ ক্ষমা করলো আমিরাত সরকার

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক পঞ্চগড়ে মোমিনপারা সীমান্তে আনোয়ার হোসেন নামে এক বাংলাদেশিকে গুলি করে মরদেহ নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে।

প্রাণ হারানো আনোয়ারের বাড়ি তেতুঁলিয়া উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের দেবনগর এলাকায়। তিনি ওই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে।

নীলফামারী ৫৬ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ব্যাটালিয়ন সূত্রে জানা যায়, আনোয়ারসহ কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিক বৃহস্পতিবার রাতে ভারতে যান। ভোরের দিকে ফেরার পথে ভারতীয় সীমান্তের ভেতরে বিএসএফের ৯৩ ব্যাটালিয়নের চানাকিয়া ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে। পরে গুলি চালায় বিএসএফ। ওই সময় ঘটনাস্থলে নিহত হন আনোয়ার। তার মরদেহও নিয়ে যায় বিএসএফ সদস্যরা।

বিজিবি আরও জানায়, সীমান্তে গুলির শব্দ পেয়ে চোরাকারবারিদের প্রতিহত করার জন্য আটটি ফাঁকা গুলি ছোড়েন ঘাগড়া বিজিবি ক্যাম্প সদস্যরা।

নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা বলেন, ৎপতাকা বৈঠকের মাধ্যমে নিহতের মরদেহ ফেরত আনা হবে। এ ছাড়া এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হবে।

তিনি আরও জানান, ঘটনার পর বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা থেকে চোরাচালানের একটি গরু জব্দ করে বিজিবি।

পঞ্চগড় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে প্রবাসী বাংলাদেশেদের উদ্যোগে তৈরি করাে একটি মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে সিটি করপোরেশন (ডিবিকেএল)। রাজধানীর বুকিত বিনতাংয়ের জালান নাগাসারি এলাকায় দীর্ঘ ১৩ বছর আগে গড়ে ওঠা ‘সুরাও আল খায়ের’ নামের একটি মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে কুয়ালালামপুর সিটি করপোরেশন (ডিবিকেএল)।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের আগ-মুহূর্তে কুয়ালালামপুর সিটি করপোরেশন ও আগামা ইসলাম’র উপস্থিতিতে মসজিদটি বন্ধ করা হয়।

জানা যায়, ১৩ বছর আগে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী হাজী কবির তার দোকানের পাশে খালি জায়গায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঞ্জেগানা নামাজ আদায়ের জন্য এই মসজিদটি নির্মাণের উদ্যোগ নেন। এরপর প্রবাসী ব্যবসায়ী দাতো কালাম, ইসমাইল, রাসেল রানাসহ অনেকের তত্ত্বাবধানে মালয়েশিয়ান মুদ্রায় প্রায় ৬০ হাজার রিঙ্গিত খরচ করে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়।

প্রবাসীদের উদ্যোগে তৈরি করা এই মসজিদটিতে প্রতিটি পাঞ্জেগানা নামাজে প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতেন। এছাড়া জুমার নামাজে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় দেড় হাজার মুসল্লির সমাগম হতো মসজিদটিতে।

মসজিদটি বন্ধ হওয়ার কারণ জানতে চাইলে এটির তত্ত্বাবধানে থাকা রাসেল রানা জানান, কুয়ালালামপুর সিটি করপোরেশন তাদের জানিয়েছে, মসজিদটি সিটি করপোরেশনের জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে। যা মালয়েশিয়ার আইনের বহির্ভূত।

মালয়েশিয়ার রুল অব ল-এর নীতি অনুসরণ করে সব বিদেশিকে দেশটির আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বিধিব্যবস্থা মেনে চলার কথা জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

এদিকে জুমার নামাজ পড়তে আসা এক প্রবাসী বাংলাদেশি জানান, বুকিত বিন্তাংয়ে হাজার হাজার বাংলাদেশির বসবাস। এখানে একমাত্র বাংলাদেশি কমিউনিটির মসজিদ ছিল এটি। নিজেদের তৈরি মসজিদে বাংলায় খুতবায় নামাজ আদায় করে নিজেদের কাছে স্বস্তি লাগতো।

এসময় তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এই এলাকায় বাংলাদেশি মসজিদ নির্মাণের দাবি জানান।

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশীদের তৈরি মসজিদ বন্ধ করলো সিটি করপোরেশন

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ফোর্বস ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামীকাল শনিবার পৃথিবী, সূর্য এবং বৃহস্পতি একই সরলরেখায় অবস্থান করবে। শনিবার সারারাত বৃহস্পতি আকাশে দৃশ্যমান থাকবে। এই অবস্থানকে বলা হয় ‘জুপিটারর্স অপজিশন’।

ফোর্বসের দেয়া তথ্যানুযায়ী শনিবার বৃহস্পতিকে দেখার জন্য এই সময়ের আগে-পরে এক মাস ধরে এই বিস্ময়কর ঘটনা পর্যবেক্ষণের সুযোগ থাকবে। এমনকি একটি ছোট টেলিস্কোপ বা সাধারণ দূরবীন দিয়েও এই গ্রহের সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে।

এমন বিরল মহাজাগতিক ঘটনা কেবল সৌরজগতের রহস্য ও সৌন্দর্যের প্রতি মানুষের কৌত’হর বাড়ায়।

বিজ্ঞানীরা বলেছেন, শুক্রবার পৃথিবী থেকে প্রায় ৬১১ মিলিয়ন কিলোমিটার বা ৩৮০ মিলিয়ন মাইল দুরে  থাকবে বৃহস্পতি।এই দূরত্বে বৃহস্পতিকে বেশ উজ্জল দেখাবে।

আগামীকাল শনিবার একই সরলরেখায় থাকবে পৃথিবী-সূর্য-বৃহস্পতি