22 Feb 2025, 12:53 pm

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অবাধ পানি প্রবাহ ও নিরাপদ মৎস্য উৎপাদনের জন্য হাওর অঞ্চলের প্রতিটি সড়ক এলিভেটেড করা হবে। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ সেনানিবাস উদ্বোধনকালে একথা বলেন।
আজ ২৮ ফেব্রুয়ারী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, ‘আমি ইতোমধ্যেই জমি ভরাট না করে হাওর, বিল ও জলাভূমি এলাকার প্রতিটি রাস্তা এলিভেটেড করার নির্দেশনা দিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্ষা মৌসুমে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ও মাছের চলাচল যেন বাধাগ্রগস্ত না হয় এবং নৌকাসহ মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা যেন ব্যাহত না হয়- সেজন্য সকল সড়ক এলিভেটেড করা হবে।’
হাওর এলাকাগুলোর সার্কিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে এই সেনানিবাসটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

তিনি আরো বলেন, ‘উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও শক্তিশালী করা হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, হাওর এলাকার মানুষ সবসময় তাদের বেঁচে থাকার জন্য পরিবেশের প্রতিকূল পরিস্থিতির বিরুদ্ধে লড়াই করে।
তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ১৯৭০ সালের নির্বাচনের পর হতে এ এলাকা থেকে বারংবার নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এই প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের পাশে থেকে এবং তাদের সুখ-দুঃখের সঙ্গী হয়ে তিনি (আবদুল হামিদ) তাদের ভাগ্য পরিবর্তনে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন।’
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর এই এলাকার সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে তিনি এখানে একটি সেনানিবাস স্থাপনের ইচ্ছা করেন।
সরকার প্রধান আরো বলেন, ‘তাঁর ইচ্ছো’ অনুযায়ী- আমরা এই সেনানিবাস স্থাপন করেছি।
তিনি বলেন, আবদুল হামিদ ডেপুটি লিডার, ডেপুটি স্পিকার, স্পিকার এবং শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির মতো পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি যে পদেই ছিলেন- সেখানেই অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন। এমনকি তিনি তাঁর টানা দ্বিতীয় মেয়াদেও সফলভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তাই, আমরা তাঁর নামে সেনানিবাসের নামকরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

 

পানির অবাধ প্রবাহের জন্য হাওরের প্রতিটি সড়ক এলিভেটেড হতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : একসময় হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে বটমলেস বাস্কেট বলেছিলেন। আজকে সেই হেনরি কিসিঞ্জারই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শান্তির পুরস্কার দিচ্ছেন। এটাকেই বলে প্রকৃতির প্রতিশোধ—এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা  মতিয়া চৌধুরী।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘এলডিসি হতে উত্তরণে বাংলাদেশের কৃষি: অর্জন, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক বিএসটি নাগরিক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘একসময় হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে বটমলেস বাস্কেট বলেছিলেন। আজকে সেই হেনরি কিসিঞ্জারই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শান্তির পুরস্কার দিচ্ছেন। এটাকেই বলে প্রকৃতির প্রতিশোধ। আমি বলি, স্যুটকোট পরেন আর ফটর ফটর ইংরেজি বলেন দেইখা, আমাদের অপমান করার অধিকার আপনাদের দিয়েছে। কেননা, আমরা তখন ছিলাম আপনাদের অন্নদাস। খাবারের জন্য হাত পাততাম তো। কিন্তু এখন আপনাদেরও চলে না, আর আমরাও এখন আর হাত পেতে নেই না। এটাই হচ্ছে এখন বাস্তবতা।’

আজকের বাংলাদেশের উত্তরণের জাদুকর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, এমন মন্তব্য করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে খাদ্য আমদানি করতে হতো। আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের আগে দেশের জনসংখ্যা কম ছিল এবং জমির পরিমাণ বেশি ছিল। তখন খাদ্য আমদানি করতে হতো। তখন বাংলাদেশের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতায় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ছিল না। এটা এমন না যে দেশের ভেতরে আমরা এই স্বীকৃতি অর্জন করেছি। অনেক চুলচেরা হিসাবের পর আমরা এই স্বীকৃতি অর্জন করেছি। এর পেছনে অবদান আছে আমাদের কৃষক, কৃষি বিজ্ঞানী, জনগণ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। সারা বাংলাদেশে এখন কর্মযজ্ঞ চলছে। গ্রামাঞ্চলে গেলে বসে থাকা পাবলিক আর খুঁজে পাওয়া যায় না।’

দানাদার খাদ্যের পাশাপাশি দেশে শাকসবজি ও ফলের উৎপাদন বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা সাধারণত দানাদার খাদ্যের হিসাব করি। কিন্তু এই দানাদার খাদ্যের পাশাপাশি দেশে শাকসবজি এবং ফলমূলের উৎপাদন আগের থেকে অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ভুট্টা চাষ হবে, অতীতে তা অকল্পনীয় ছিল। ষাটের দশকে ভুট্টা নিয়ে অনেক রকমের উত্তেজনা ছিল। সে সময় আমরা ভুট্টা নিয়ে অনেক স্লোগানও দিয়েছি। আজকে ভুট্টা দিয়ে তৈরি সাদা আটার যে ব্যাপক ব্যবহার, তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়েই হয়েছে। সাদা আটা ৩৫ ভাগ ভুট্টা এবং ৬৫ ভাগ গম দিয়ে তৈরি হয়। দেশে সরকারি উদ্যোগে গমের সঙ্গে ভুট্টার মিশ্রণে সাদা আটা তৈরি অনেক অবদান রেখেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটা সত্য বাংলাদেশ তেল উৎপাদনে খুবই পিছিয়ে আছে। তবে আমি মনে করি, আমাদের জায়গা থাকলে আমরা এটা ঠিকই পারতাম।’

আলোচনা সভাটির আয়োজন করে বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্ট।

সভায় কি-নোট উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক টি এইচ এম জাহাঙ্গীর। প্রধান আলোচক ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান লিটুর সঞ্চালনায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু গবেষণা সংসদের সভাপতি প্রফেসর ড. উত্তম কুমার বড়ুয়া, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রথম সচিব ড. মো. নেয়ামুল ইসলাম প্রমুখ।

‘তলাবিহীন ঝুড়ি’র সেই কিসিঞ্জারই এখন শেখ হাসিনাকে শান্তির পুরস্কার দিচ্ছেন : মতিয়া চৌধুরী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এর আগে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে দুইবার কিশোরগঞ্জে এসেছিলাম। এসে দেখি, কোথায় ইটনা, কোথায় মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম- চারদিকে শুধু পানি আর পানি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে গত ১৪ বছরে কিশোরগঞ্জকে বদলে দিয়েছেন। এই দেশে দুজন মানুষ সৃষ্টি হয়েছেন। একজন বঙ্গবন্ধু দেশের স্বাধীনতার জন্য, আরেকজন শেখ হাসিনা মানুষের মুক্তির জন্য।’

তিনি বলেন, ‘আজকে অষ্টগ্রাম, মিঠামইনের রাস্তা যেন ইউরোপের রাস্তা। বাংলাদেশে এত সুন্দর রাস্তা হয় এবং কিশোরগঞ্জের মানুষ যে অবহেলিত নয় এটা প্রমাণ করতে রাষ্ট্রপতির অনুরোধে এখানে রাস্তা, স্কুল-কলেজ, ব্রিজ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আগে এখানে এসে ভালো কাপড় পরে আছে এমন মানুষ খুব কম দেখেছি। পিঠের ওপর গামছা, পায়ে জুতা নেই, শীতকালে থরথর করে কাঁপতো, ঘরে অন্ধকার ছিল। কিন্তু আজকে এখানে মহিলারা রঙ বেরঙের পোশাক পরে বসে আছেন। আজকে সবাই স্যান্ডেল ও সুন্দর সুন্দর কাপড় পরেছেন। পেছনে থাকা পুরুষ মানুষের গায়ে ভালো ভালো পোশাক। তার মানে, চেহারা দেখলেই বোঝা যায় পেটে ভাত আছে, মনে শান্তি আছে।’

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) কিশোরগঞ্জের মিঠামইন সদরের হেলিপ্যাড মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের, ‘শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় আপনারা শান্তিতে আছেনএটা বিএনপির সহ্য হয় না। মানুষ খুশি কিন্তু অখুশি শুধু একটা দল। বিএনপির ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন ভালো নেই। মানুষের মন ভালো হলে বিএনপির মন খারাপ হয়ে যায়। তাদের জ্বালা ধরে, জ্বালারে জ্বালা হায়রে জ্বালা। হাওরে উড়াল সেতু- সেটাও শেখ হাসিনা করে দিচ্ছেন। ফখরুল ও তার দল মরে পদ্মা সেতুর জ্বালায়। তাদের অন্তর জ্বালার শেষ নেই। শুধু বাড়ছে আর বাড়ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু দেশকে স্বাধীনতা দিয়েছেন আর মুক্তি কাণ্ডারি স্বয়ং তার কন্যা। আজকে বাংলাদেশের গত ৪৮ বছরের সবচেয়ে সৎ নেতার নাম শেখ হাসিনা। গত ৪৮ বছরে সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসক, সাহসী ও জনপ্রিয় নেতার নাম শেখ হাসিনা।’

সবার গায়ে ভালো পোশাক দেখলেই বোঝা যায় পেটে ভাত আছে : ওবায়দুল কাদের

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : চীন এখন বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। ভবিষ্যতেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত দেশে রূপান্তরের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে থাকতে চায় দেশটি। চীন কখনো বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে মাথা ঘামায়নি, ভবিষ্যতেও ঘামাতে চায় না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

ড. হাছান জানান, ‘চীনের রাষ্ট্রদূত সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য এসেছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের উন্নয়ন ভাবনায় চীন সরকারের যে ভূমিকা সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দেশের অনেক বড় বড় প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু টানেল, বিভিন্ন ব্রিজ এবং মেগা প্রকল্পের সঙ্গে চীন কাজ করেছে। চট্টগ্রামে এখন বহিসমুদ্র থেকে যেন সরাসরি পতেঙ্গার ইস্টার্ন রিফাইনারিতে আমাদের তেল আসতে পারে সেজন্য তারা পাইপলাইন নির্মাণ করছে এবং একটি ইপিজেডের কাজ চলছে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’ সম্প্রচারমন্ত্রী জানান, ‘আমাদের ‘সিক্স টিভি’ একটা প্রজেক্ট আছে, এর মাধ্যমে বিভাগীয় শহরগুলোতে টেলিভিশন কেন্দ্র স্থাপনের জন্য আমরা একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি, সেটি চীন সরকারের অর্থায়নে হওয়ার কথা ‘কনসেশনাল লোনে’, সেটি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। যেহেতু পৃথিবীতে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে, সে কারণে আমরা এ বিষয়ে আপাতত ধীরগতিতে এগুচ্ছি।

বৈঠক শেষে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সাংবাদিকদের জানান, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে চীন এ দেশের অর্থনৈতিক, অবকাঠামোগত ও সামাজিক উন্নয়ন কাজে অংশীজন হিসেবে সহায়তা করে আসছে। এসব ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমরা কখনো এ দেশের রাজনীতি নিয়ে মাথা ঘামাইনি, ভবিষ্যতেও চাই না।’

 

চীন বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী; রাজনীতিতে মাথা ঘামায় না : তথ্যমন্ত্রী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর জীবন মানেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস। ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতার মহানায়ক’ এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘বঙ্গবন্ধুর জীবন মানেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস। তাই বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সমার্থক। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও শেখ হাসিনা এখন সমার্থক। এই উন্নয়নের গতিকে আরো বেগবান ও গতিময় করতে হবে। তবেই বিশ্বের বুকে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত একটি দেশে রূপান্তর হবে।

ড. রাজ্জাক রোববার কলকাতার রোটারি সদন অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ভারত কমিটি আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

আজ এখানে সরকারি তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন বিশ্বব্যাপী বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড ও অগ্রগতি নিয়েও  প্রচারণা চালাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এর অংশ হিসাবে কলকাতায় এটির আয়োজন করেছে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ভারত কমিটি।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, যে কৌশল আমরা নিয়েছি, যেভাবে আমরা বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি, তাতে লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব।’

তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসে। সেই নির্বাচনে জনগণের বিপুল সমর্থন নিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে। এরপর, গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থনীতির সব ক্ষেত্রে দৃশ্যমান অনেক উন্নয়ন করেছেন, যা সারা পৃথিবীতে প্রশংসিত হয়েছে।

সামাজিক বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৫ সালে আমরা দানা জাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। সামাজিক ইনডেক্সগুলিতেও আমরা খুব ভালো ফল করেছি। আমাদের দারিদ্রতা অর্ধেক কমে ৪০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ হয়েছে। অতি দরিদ্র যেখানে ১৮ থেকে ১৯ শতাংশ ছিল, সেটা এখন ১০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। অবকাঠামো, ব্রিজ, পদ্মা সেতু, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য প্রতিটি ক্ষেত্রেই অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। ১০০টি ইকোনোমিক জোন তৈরি করা হয়েছে, যেখানে শিল্প, কলকারখানা করা হচ্ছে, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।’

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের প্রসঙ্গে ড. রাজ্জাক বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সহযোগিতা করেছে। পরম আত্মত্যাগ স্বীকার করেছে। আমরা উভয় দেশই সব দিক থেকেই একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। দুইদেশের মধ্যে এই সুসম্পর্ক আজীবন অটুট থাকবে।’

অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসাবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়, বিশেষ অতিথি হিসাবে সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস, কলকাতা প্রেসক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিস সুর প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে তুলেছেন : কৃষিমন্ত্রী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : মোংলা বন্দরকে জেলা ঘোষণসহ ১৬ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিয়েছে বন্দর উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদ। তবে সরকারের চলমান উন্নয়ন ধারাকে অব্যাহত রাখতে এই পরিষদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে উল্লেখ করে তারা কাজ করতে চান।

বন্দরকে আরও আধুনিক ও গতিশীল করার লক্ষ্যে তাদের প্রস্তাবিত ১৬টি দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন করার তাগিদ দেওয়া হয়।

সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় মোংলা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে ১৬ দফা দাবিসহ এসব কথা বলেন মোংলা কলেজের সাবেক ভিপি ও বন্দর উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক মোঃ শাহ আলম।

যেসব দাবি নিয়ে আন্দোলন করার কথা বলা হয়েছে তা হচ্ছে- মোংলা বন্দরকে গতিশীল করতে পশুর নদীর নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত ড্রেজিংয়ের কাজ অব্যাহত রাখা, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের আশা ও স্বপ্ন মোংলাকে জেলা ঘোষণা করা, জয়মনির সাইলোর মালামাল পরিবহনের সুবিধার্থে মোংলাবাসীর যাতায়াতের জন্য অনতিবিলম্বে মোংলা নদীতে ব্রিজ নির্মাণ, মোংলা বন্দরকে আধুনিকায়ন ও গতিশীল করা, মোংলা ইপিজেডে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি, মোংলা সরকারি কলেজকে বিশ্বদ্যিালয়ে রুপান্তরিত করা, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের সু চিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা, মোংলা অঞ্চলের মানুষের সুপেয় ও বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করা, মোংলা বন্দরের কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের চট্রগ্রাম বন্দরের ন্যায়ে সুযোগ সুবিধা প্রদান করা, সুন্দরবন পর্যটন শিল্পকে আর্ন্তজাতিক মানের পর্যটন শিল্পে রুপান্তরিত করা, খান জাহান আলী বিমান বন্দর চালু করা, দ্রুত সময়ে অর্থনৈতিক জোন চালু করা, মোংলায় অবস্থিত শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামকে আর্ন্তজাতিক মানের স্টেডিয়াম করা, মোংলা-খুলনা-ঢাকা মহাসড়ককে ছয় লেনে উন্নতি করা, রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে দ্রুত সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করা ও মোংলা থেকে জয়মনি সাইলো পর্যন্ত মহা সড়ক নির্মাণ করা।

এসব দাবি জনস্বার্থে দ্রুত বাস্তবায়ন চান বন্দর উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদ। উত্থাপিত দাবি বাস্তবায়ন হলে সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা আরও তরান্বিত হবে বলে জানায় তারা।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র সাংবাদিক আহসান হাবিব হাসান, খুলনা মহানগর তাঁতী লীগের সহ সভাপতি মোঃ নাসির উদ্দিন, মোংলা লঞ্চ লেবার এ্যাসোসিশনের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান খোকন, মোংলা বন্দর শ্রমিক কর্মচারী সংঘের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক মতিয়ার রহমান সাকিব, মোংলা বন্দর ক্রেন চালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আকতার হোসেন, সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম শান্ত, রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হাসু মিয়া, বন্দরের ক্রেন চালক মোঃ মাসুদ ও ওয়াচম্যান শ্রমিক আব্দুল জলিল।

 

মোংলা বন্দর উন্নয়নে ১৬ দফা দাবি বন্দর উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেছেন, ১৪ বছর আগের তুলনায় উন্নয়নের ক্ষেত্রে এখন বাংলাদেশে দিন-রাত পার্থক্য। সত্যিকার অর্থে যুগোপযোগী উন্নয়ন আমাদের সরকারের আমলে হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যায় নুর আহম্মদ সড়কস্থ অফিসার্স ক্লাবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী সমিতি ’৮২ এর রজত জয়ন্তী উৎসব ২০২৩ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রাইভেট সেক্টরের কারণে দেশে কর্মসংস্থান বেড়েছে উল্লেখ করে ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘শিল্প উন্নয়নের কারণে দেশে কর্মসংস্থান হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে তিনটা নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় আছি।
তিনি আরো বলেন, আমাদের জিডিপি এখন সাত থেকে সাড়ে সাত পার্সেন্ট। আমাদের রিজার্ভ বেড়েছে। টানেল এখন আর স্বপ্ন নয়। মেট্রোরেল এখন আমরা উপভোগ করছি। এখন বিনোদনের সুযোগ বাড়ছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে।’
সমিতির সভাপতি এটিএম হামিদুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম, মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম নীপু ও সাবেক কর কমিশনার জিয়াউল হক সেলিম।
অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করেন আ ক ম গিয়াসউদ্দিন, সৈয়দ মেজবাহুল ফারুক টুলু, নুরুল আবছার, জামসেদ আহমদ,  মোহাম্মদ ইসমাঈল, শাহরিয়ার বাবুল, মাহফুজুল ইসলাম, মোহাম্মদ নুরুচ্ছফা, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, সুলতান মিয়া, স্নেহাশীষ বড়ুয়া, হারিছ আহমদ, আনোয়ারা বেগম, বখতেয়ার মঞ্জু, নাসিমুল গনি টুটুল, বিশ্বপ্রতাপ বড়ুয়া, শেখ মনিরুল হক জোসেফ, বিধান বড়ুয়া, আলী নাসের চৌধুরী, নাসিরুল আলম, এসএম জাকির হোসেন, নিয়াজ আহমদ চৌধুরী, মোস্তফা শামীম আল জোবায়ের, তরুণ কান্তি বিশ্বাস, এএসএম সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে দু’জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা জানানো হয়। তারা হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম গাজী মোহাম্মদ আলী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জাফর আলম চৌধুরী।

১৪ বছর আগের তুলনায় উন্নয়নের ক্ষেত্রে এখন দিন-রাত পার্থক্য : ভূমিমন্ত্রী 

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস চলমান বৈশ্বিক সংঘাতসহ আর্থিক, জ্বালানি ও খাদ্য সংকট এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের কারণে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রতি জাতিসংঘের অব্যাহত সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

তিনি গতকাল নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠককালে বাংলাদেশের প্রতি জাতিসংঘের অব্যাহত সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, লাটভিয়া, এস্তোনিয়া, বেলজিয়াম এবং নেদারল্যান্ডসে সারের কাঁচামালের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে যা বাংলাদেশ সাশ্রয়ী মূল্যে আমদানির কথা বিবেচনা করতে পারে।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ এই সুযোগ কাজে লাগানোর বিষয়টি বিবেচনা করবে।
বৈঠককালে জাতিসংঘ মহাসচিব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের অসাধারন উন্নয়নের গতিধারার প্রশংসা করেন। বাংলাদেশ আগামী বছরগুলোতে বিশেষ করে এসডিজি অর্জনে আরো সাফল্য অর্জন করবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মহাসচিব জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে শীর্ষ সেনা ও পুলিশ সদস্য প্রেরণকারী দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় বাংলাদেশের ধারাবাহিক নেতৃত্বেরও প্রশংসা করেন।
তাঁরা সম্প্রতি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমারের ওপর গৃহীত রেজ্যুলেশনের পরিপ্রেক্ষিতে রোহিঙ্গা সংকট ও এর সম্ভাব্য উত্তরণের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন এবং এই সংকট সমাধানে আসিয়ানের কার্যকর নেতৃত্বের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এ প্রেক্ষিতে মহাসচিব ১ দশমিক ২ মিলিয়ন রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের উদারতার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গাদেরকে তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফেরাতে জাতিসংঘের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
আজ এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, জাতিসংঘ মহাসচিবের সাথে সাক্ষাতের আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাধারণ পরিষদের সভাপতি সাবা কোরেসি, ডিপার্টমেন্ট অফ পিসবিল্ডিং অ্যান্ড পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স’র (ডিপিপিএ) আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল রোজমেরি ডিকার্লো এবং পিস অপারেশন বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ পিয়েরে ল্যাক্রুয়ার সাথেও বৈঠক করেন।
সাধারণ পরিষদের সভাপতির সাথে বৈঠকের সময় পররাষ্ট্রন্ত্রী সাউথ-সাউথ কোঅপারেশন বিষয়ে বাংলাদেশের ধারণা প্রসূত মন্ত্রী পর্যায়ের একটি নতুন ফোরাম প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেন। উপরোক্ত উদ্যোগের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমনকে ধন্যবাদ জানিয়ে সাধারণ পরিষদের সভাপতি সাম্প্রতিক সময়ে জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের অসাধারণ নেতৃত্ব, কার্যকর সম্পৃক্ততা এবং উল্লেখযোগ্য অবদানের প্রশংসা করে বাংলাদেশের সঙ্গে একত্রে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে জাতিসংঘ

ইয়ানূর রহমান : রমযানে মাছ, মাংস, দুধ, ডিমের দাম কোনভাবেই বাড়বে না। প্রয়োজনে বেসরকারি খামারিদের আমরা সহায়তা নেবো। কোনোভাবেই মাছ-মাংসের দাম বাড়বে না বলে জানিয়েছেন শার্শা উপজেলা পরিষেদর চেয়ারম্যান বীর
মুক্তিেযাদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু। শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) শার্শা উপজেলা প্রাণিসম্পদ চত্তরে আয়োজিত ‘প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৩’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মাছ মাংসের দাম বাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, বিশ্ব পরিস্থিতি, বিশেষ করে রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা নিষেধাজ্ঞার ফলে সব কিছুর দাম বেড়েছে। পোল্ট্রি ফিডের উপকরণ বিদেশ থেকে আনতে অনেক প্রতিকূল অবস্থা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এ সবের কারণে খাবারের দাম অনেক বেড়েছে।

অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারায়ন চন্দ্র পাল’র সমভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন যশোর জেলা পরিষদের সদস্য আলহাজ সালেহ আহমেদ মিন্টু, শার্শা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলেয়া ফেরদৌস, প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ বিনয় কৃঞ্চ মন্ডল, খামারি মুরাদ উল-দৌলা, টিপু প্রমুখ।

অনুষ্ঠান শেষে শার্শা উপজেলা প্রাণিসম্পদের আয়োজনে শিশুদের মাঝে পুষ্টিকর খাবার বিতরন করেন শার্শা উপজেলা পরিষেদর চেয়ারম্যান বীর মুক্তিেযাদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু।

রমযানে সরকার মাছ মাংসের দাম নির্ধারণ করে দেবে— সিরাজুল হক মঞ্জু