24 Jan 2025, 06:47 am

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে অব্যাহতিপ্রাপ্ত ৩১১ জন উপ-পরিদর্শককে (এসআই) প্রশিক্ষণ শেষে পদায়নের জন্য পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) কাছে করা পুনর্বিবেচনার আবেদন অবিলম্বে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

পাশাপাশি, প্রশিক্ষণরত অবস্থায় ৩১১ জনকে অব্যাহতি দেয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং প্রশিক্ষণ শেষে তাদের এসআই হিসেবে পদায়ন করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুলও জারি করেছে উচ্চ আদালত।

বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেয়।

আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া এবং সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রিপন কুমার বড়ুয়া।

চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও একাডেমির অধ্যক্ষসহ বিবাদীদের (রেসপনডেন্ট) রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে বিভিন্ন সময়ে ৪০তম বিসিএস (পুলিশ) প্রবেশনারস ব্যাচ-২০২৩ এর নিয়োগপ্রাপ্তদের অব্যাহতি দেয়া হয়। চাকরি ফিরে পেতে ৫ ডিসেম্বর হাইকোর্টে পৃথক রিট করেন অব্যাহতিপ্রাপ্ত ৩১১ জন।

শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে অব্যাহতিপ্রাপ্ত ৩১১ এসআই’র পদায়ন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল জারী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বিগত বছরগুলোতে বছরের প্রথম মাসেই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়ার যে প্রচলন ছিল তাতে এবার ছেদ পড়তে পারে। শিক্ষাক্রমে পরিবর্তন, কাগজ সংকট, পাণ্ডুলিপি দেরিতে পাওয়াসহ নানা কারণে এমনটা হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে এমন খবর পাওয়া গেছে।

গত কয়েক বছর পাঠ্যবইয়ের একাংশ ভারতেও ছাপা হত। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরের বাস্তবতায় এবার শুধু দেশি ছাপাখানাগুলো বই ছাপার কাজ করছে। তবে ফেব্রুয়ারির আগে শিক্ষার্থীদের হাতে সব বই তুলে দেয়া যাবে না বলে ধারণা পাওয়া গেছে।

ছাপাখানায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাধ্যমিকের বইয়ের কাজ শুরু করার ক্ষেত্রে তদারকি প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন পেতেই দেরি হয়েছে। এরপর কাগজ সংকট, বিদ্যুৎ না থাকা এবং ব্যাংক ঋণ না পাওয়াসহ কয়েকটি কারণে ছাপার কাজে অগ্রগতি আশানুরূপ নয়।

সাধারণত জুনে নতুন বছরের বইগুলোর পাণ্ডুলিপি ছাপাখানায় পাঠানো হয়। কিন্তু ৫ অগাস্টের পটপরিবর্তনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ২০২৩ সালে বাস্তবায়ন শুরু হওয়া ‘অভিজ্ঞতা নির্ভর শিক্ষাক্রম’ বাস্তবায়নযোগ্য নয় বলে ঘোষণা দেয়। ফলে এক যুগ আগে ২০১২ সালে প্রণীত শিক্ষাক্রমের বই ‘ঘষে-মেজে’ নভেম্বরে প্রেসে পাঠানো শুরু হয়।

এমতাবস্থায় পাঠ্যবই মুদ্রণ তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) আগামী বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে সব বই তুলে দেয়ার ‘আশার বাণী’ শোনালেও সে অবস্থান থেকে সরে এসেছে।

সংস্থাটি এখন বলছে, ৪০ কোটি ১৬ লাখ বইয়ের সবগুলো জানুয়ারির শেষ দিকে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানো সম্ভব হবে।

এতে করে বছরের প্রথম মাসেই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়ার যে প্রচলন ছিল বিগত বছরগুলোতে তাতে এবার ছেদ পড়তে যাচ্ছে।

এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, বই পৌঁছাতে কিছুটা দেরি হলেও তা ফেব্রুয়ারিতে যাবে না। আশা করছি, ২০ জানুয়ারির মধ্যে সব বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানো সম্ভব হবে।

প্রসঙ্গত, নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল করে পুরনো শিক্ষাক্রমে ফেরার ঘোষণা আসে গত সেপ্টেম্বরের প্রথম দিন। এনসিটিবি বলেছিল, ২০১২ শিক্ষাক্রমের বইগুলো পরিমার্জন শেষে ছাপানো হবে এবং রীতি অনুযায়ী জানুয়ারির শুরুতেই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেয়া হবে।

ফেব্রুয়ারির আগে বই পাবে না মাধ্যমিক শিক্ষার্থীরা