09 May 2024, 02:18 pm

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৮৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। একই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৭ জনে। আর নতুন আক্রান্তসহ বর্তমানে সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা দুই হাজার ৭৫০ জন।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ ডা. মো. জাহিদুল ইসলামের সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বুধবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৬৮৫ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৩৫৩ জন এবং ঢাকার বাইরে ৩৩২ জন। নতুন আক্রান্তসহ বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকা ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৭৫০ জনে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে— চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫১ হাজার ৪৪৪ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৩৩ হাজার ৩৫২ জন এবং ঢাকার বাইরে রয়েছেন ১৮ হাজার ৯২ জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৪৭৭ জন। তাদের মধ্যে ঢাকা থেকে ৩১ হাজার ৬৯৯ জন, ঢাকার বাইরে থেকে ১৬ হাজার ৭৭৮ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।

চলতি বছরের ২১ জুন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশে প্রথম মৃত্যুর খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা যায়নি। তবে, ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। তার মধ্যে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়।

দেশে ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুতে ১ জনের মৃত্যু ; হাসপাতালে ভর্তি ৬৮৫

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনীতিতে এক অবিস্মরণীয় নাম। তার রাজনীতি ছিল গ্রামভিত্তিক ও ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে। তিনি রাজনীতি করেছেন সমাজের খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষ, কৃষক-শ্রমিক-সাধারণ জনগণের পক্ষে।

মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বুধবার (১৬ নভেম্বর) এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি একথা বলেন ।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী সবসময় ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিতেন।

আবদুল হামিদ বলেন, কৃষক-শ্রমিক ও সাধারণ জনগণের অধিকার এবং স্বার্থ রক্ষায় মওলানা ভাসানী আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। ১৯১৯ সালে ব্রিটিশবিরোধী অসহযোগ ও খেলাফত আন্দোলনে যোগদানের মধ্য দিয়ে তার রাজনৈতিক জীবনের সূচনা হয়। ৫২-র ভাষা আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে ছাত্র নিহতের ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে তাঁকে কারাবরণ করতে হয়েছিল।

তিনি বলেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামেও মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী অবিস্মরণীয় ভূমিকা পালন করেছেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি দেশ ও জনগণের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গেছেন। তিনি সবসময় ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েছেন। তাঁর অত্যন্ত সাদাসিধে জীবনযাপন দেশ ও জনগণের প্রতি তার গভীর ভালোবাসারই প্রতিফলন।

আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর আদর্শ নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আবদুল হামিদ। তিনি মওলানা ভাসানীর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। সূত্র : বাসস।

মওলানা ভাসানী উপমহাদেশের রাজনীতিতে অবিস্মরণীয় নাম : রাষ্ট্রপতি