01 Mar 2025, 12:17 am

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, দেশের বর্তমান সংবিধানের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে, তারা জাতীয় শত্রু।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় ১৪ দল আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, যারা দেশের অস্তিত্ব নিয়ে কথা বলে, তাদের কেন সংশ্লিষ্ট আইনে গ্রেফতার করা হয় না? শাস্তি দেওয়া হয় না? এটাই আজ আমাদের জিজ্ঞাসা। আইনের যথাযথ প্রয়োগ করে স্বাধীনতা বিরোধীদের জনগণের সামনে শাস্তি দেওয়া হোক।
আওয়ামী লীগের প্রবীন এই নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর কে ক্ষমতায় এলো? খন্দকার মোস্তাক, আওয়ামী লীগ নেতা, অর্থাৎ একটা ধারণা দেওয়া হলো আওয়ামী লীগপন্থিরাই ক্ষমতায় আছে। তার আড়াই মাস পর ক্ষমতায় এলো জিয়াউর রহমান। পরিচয় কি? মুক্তিযোদ্ধা। কর্মকান্ড কী? কর্মকান্ড হচ্ছে অমুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূল্যবোধকে হত্যা করে এই দেশে পাকিস্তানী রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা। সেই লক্ষ্যে সেদিন ১৫ আগস্ট সংঘটিত করে এদের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি বলেন, যতই স্বাধীনতা বিকৃতির চেষ্টা করা হোক না কেন, প্রকৃত ইতিহাস মুছে দেয়া যায় না। বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর দিকে তাকালে উপলব্ধি করা যায় যে, বাংলাদেশ কতটুকু এগিয়েছে।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বিকৃত করে ভোট ডাকাতির নির্বাচন করেছিলো বিএনপি-জামায়াত। স্বাধীন নির্বাচনের জন্য আমরাই লড়াই করেছি বলেই ফখরুদ্দীনরা নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়েছিলো। আমরা একটি অংশগ্রহণ,অন্তর্ভুক্তিমুলক, স্বচ্ছ নির্বাচন চাই, বিএনপি নির্বাচনে যাক না যাক সেটা তাদের বিষয়। কিন্তু কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করে লাভ নেই।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি বলেন, ইতিহাসের মীমাংসিত বিষয়ে কারো দ্বিমত থাকা উচিত নয়। একাত্তরের মীমাংসিত বিষয়কে বিএনপি অস্বীকার করে বাংলাদেশ দখল করেছিলো। বিএনপি গণতন্ত্রের কুর্তা গায়ে দেয়া আধুনিক রাজাকার প্রতিষ্ঠাকারী দল।
তিনি বলেন, সামরিক শাসকের ঔরসজাত দল বিএনপি। আন্দোলনের নামে বিএনপি আবারও রাজনৈতিক অপরাধ করছে, যা এ দেশের জন্য অশনি সংকেত। গণতন্ত্রের কুর্তা গায়ে দিয়ে তারা আবারও জামায়াতকে হালাল করার চেষ্টা করছে।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দিবাস্বপ্ন দেখে লাভ নেই, এটি আর ফিরে আসবে না। বিরোধীদলের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হতে পারে, কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে আলোচনা হবে না।
তিনি বলেন, যারা এদেশের সংবিধান মানে না, নির্বাচন কমিশন মানে না; তারা একটা ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য অগ্রসর হচ্ছে। আজকে তারা বাক সন্ত্রাস করছে, ভবিষ্যতে তারা আবার আগুন সন্ত্রাস ও প্রকৃত সন্ত্রাসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তাই আসুন এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলি।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, মিথ্যা খবরের দায়ভার প্রথম আলোকেই নিতে হবে। কারণ, এটাই প্রথম নয়, এই প্রথম আলো বহুবার আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে।
তিনি বলেন, ২৬ মার্চ আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবস। সেই দিবসে একটা শিশুর ছবি দিয়ে প্রথম আলোতে একটা নিউজ করা হয়েছে, যে নিউজটা পরিকল্পিতভাবে, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে করা হয়েছিল।
আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাসের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, গণতান্ত্রিক পার্টির নেতা ডা. শাহাদাৎ হোসেন, গণআজাদী লীগের সভাপতি এসকে সিকদার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

দেশের বর্তমান সংবিধানের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে তারা জাতীয় শত্রু : আমু

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বিএনপিকে স্বাধীনতাবিরোধী ও চক্রান্তকারী দাবি করে আগামী নির্বাচনে তাদের পরাজিত করার ঘোষণা দিয়েছেন ১৪ দলের নেতারা। পাশাপাশি প্রতিহতেরও ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর কাকরাইলের আইডিইবি মিলনায়তনে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় ১৪ দলের নেতারা এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের একাংশের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলিপ বড়ুয়া প্রমুখ।

এসময় আমু বলেন, ৭৫ এর পর বিএনপি-জাতীয় পার্টি নামে দল ছিল না। একটি মাত্র দল ছিল স্বাধীনতার সপক্ষের দল। বঙ্গবন্ধু হত্যার মাধ্যমেই স্বাধীনতাবিরোধী দলগুলোর সৃষ্টি। তাদের কাছ থেকে স্বাধীনতার কোনো কিছুই আশা করা যায় না। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়া মুক্তিযোদ্ধা নামধারী স্বাধীনতাবিরোধী ছিল। ফখরুদ্দিন সরকার ছিল বিএনপিপন্থি সরকার।

বিএনপির জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনের ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, মানুষ হত্যা, ধ্বংসকারী দল নির্বাচনে ভয় পাওয়ায় কারণই হলো তাদের সঙ্গে জনসমর্থন নেই। সংবিধানের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য কোনো গ্রেফতার করা হয় না। দ্রুত স্বাধীনতাবিরোধীদের শাস্তির দাবি জানান তিনি।

বিএনপির কথাবার্তা ষড়যন্ত্রের আলামত দাবি করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতি করবেন না, পবিত্রভাবে কথা বলুন, না হয় দেশ ছেড়ে চলে যান। যতই দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র করেন, কোনো লাভ নেই।

আওয়ামী লীগকে চ্যালেঞ্জ করলে বিএনপিকে নির্বাচন আসারও আহ্বান জানান মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।

দলটির আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, আগামী নির্বাচনে পাকিস্তানের প্রেতাত্মাদের ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে। বাকসন্ত্রাস করে আবারও অগ্নিসন্ত্রাসের দিকে ধাবিত অপশক্তিকে রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করতে হবে। এবার লড়াই একাত্তরের লড়াইয়ের মতই পাকিস্তানের প্রেতাত্মাদের বিরুদ্ধে।

এসময় তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, নির্বাচন কমিশনকে সরকার প্রভাবিত করবে না। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার কখনই আসবে না।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ইতিহাস বিকৃতির মধ্যদিয়ে বিএনপির রাজনৈতিক যাত্রা শুরু। ৭৫ এর পর থেকে এখন পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধবিরোধী কার্যক্রম চালানো বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের দল হিসেবে কিভাবে দাবি করে?

তিনি বলেন, প্রথম আলোর খবরটি ষড়যন্ত্রমূলক ছিল। যা নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করছে। এর দায়ভার ঐ পত্রিকাকে নিতে হবে। রাজাকারের ছেলে মির্জা ফখরুলের স্বাধীনতার চেতনা নেই আছে পাকিস্তানি চেতনা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অধিকার কারো নেই, যারা টেক ব্যাক করে পাকিস্তান বানাতে চায় তারা দিবাস্বপ্ন দেখছে।

আগামী নির্বাচনে আবারও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে পরাজিত করে স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তিকে জয়যুক্ত করানোরও আহ্বান জানান হানিফ।

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, যতই স্বাধীনতার বিকৃতির চেষ্টা করা হোক না কেন প্রকৃত ইতিহাস মুছে দেওয়া যায় না। বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায় বাংলাদেশ কতটুকু এগিয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বিকৃত করে ভোট ডাকাতির নির্বাচন করেছিল বিএনপি-জামায়াত। স্বাধীন নির্বাচনের জন্য আমরা লড়াই করেছি বলেই ফখরুদ্দীনরা নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়েছিল। আমরা একটি অংশগ্রহণমূলক, অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্বচ্ছ নির্বাচন চাই। বিএনপি নির্বাচনে যাক না যাক সেটা তাদের বিষয়। কিন্তু কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করে লাভ নেই। মুক্তিযুদ্ধের শহীদের তালিকা নিয়ে টালবাহানা করে ইতিহাস বিকৃতি করতে চায় বিএনপি। যত যাই হোক স্বাধীনতাবিরোধীদের হাতে কোনো মূল্যে এ দেশের ভার দেওয়া যাবে না।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের একাংশের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, ইতিহাসের মীমাংসিত বিষয়ে কারও দ্বিমত থাকা উচিত নয়। একাত্তরের মীমাংসিত বিষয়কে বিএনপি অস্বীকার করে বাংলাদেশ দখল করেছিল। সামরিক শাসকের ঔরসজাত দল বিএনপি। আন্দোলন নামে বিএনপি আবারও রাজনৈতিক অপরাধ করছে, যা এ দেশের জন্য অশনিসংকেত।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রের কুর্তা গায়ে দিয়ে আবারও জামায়াতকে হালাল করার চেষ্টা করছে। বিএনপি বাংলাদেশের জন্য একটি অশনিসংকেত ও বিপদজনক দল। সবাইকে নিয়ে নির্বাচনের স্বপ্ন নয়, স্বাধীনতাবিরোধী দলকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করতে হবে।

সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলিপ বড়ুয়া বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে ঈর্ষান্বিত বিএনপি। স্বাধীনতার মূল্যবোধকে রক্ষা করার জন্য শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে শক্তিশালী রাখতে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। সরকারকে দুর্নীতি বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে পরাজিত করার ঘোষণা ১৪ দলের

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে অর্জিত সক্ষমতার কারণেই বাংলাদেশে এখন কেউ আর না খেয়ে দিন কাটায় না বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, মির্জা ফখরুলরা তাদের সময়ের দুঃসহ ইতিহাস আড়াল করতেই সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। বিএনপি কখনো এদেশের স্বাধীনতা বিশ্বাস করে না। যারা স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও দেশের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, প্রকৃতপক্ষে তাদের মানসিকতা এখনও পরাধীনতার শৃঙ্খলে বন্দি! যখনই তারা ক্ষমতায় এসেছে জনগণ ও দেশের উন্নয়নের জন্য তারা কোনো কাজ করেনি।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া সই করা ওই বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতির পিতার নেতৃত্বে অর্জিত স্বাধীনতা অর্থবহ করার লক্ষ্যে শেখ হাসিনা নিরবচ্ছিন্নভাবে এ দেশের জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। এক সময়ের ক্ষুধা, দারিদ্র্য, মঙ্গা ও দুর্ভিক্ষপীড়িত বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্যের ফলে বাংলাদেশ আজ বিশ্বসভায় এক বিশেষ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে।

তিনি বলেন, করোনা মহামারির অভিঘাতের মধ্যে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতি একটি গভীর সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যার প্রকোপে সারা পৃথিবীতে আশঙ্কাজনক হারে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। মূল্যস্ফীতির চাপে বাংলাদেশের জনগণও কিছুটা কষ্টে আছে। মানুষের এই কষ্ট লাঘবের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের জনবান্ধব ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির পাশাপাশি সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার যখন বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলা করে জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে, তখনই সংকট পুঁজি করে কতিপয় চিহ্নিত মহল সরকারের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধভাবে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। একটি পত্রিকার সুরে সুর মিলিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও ঘৃণ্য কাজটি নির্লজ্জ সমর্থন দিয়েছেন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে যা আওয়ামী লীগের প্রতি অন্ধবিদ্বেষ ও আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই এদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের জনগণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল ভোগ করছে।

বাংলাদেশে এখন কেউ না খেয়ে দিন কাটায় না : ওবায়দুল কাদের

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী রাষ্টগুলোকে জবাবদিহি করতে ঐতিহাসিক এক প্রস্তাব গ্রহণ করেছে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবের ক্ষেত্রে দায়ী রাষ্ট্রগুলোর আইনগত বাধ্যবাধকতার বিষয়ে পরামর্শমূলক মতামত দিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতকে অনুরোধ করে তোলা একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়েছে।

বুধবার (২৯ মার্চ) বাংলাদেশসহ ১৭ সদস্য বিশিষ্ট কোর গ্রুপ উত্থাপিত এই প্রস্তাবটি জলবায়ু ন্যায়বিচার এবং ন্যায্যতার পক্ষে সমর্থনকারী দেশগুলোর জন্য একটি যুগান্তকারী অর্জন।

এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কোর গ্রুপের পক্ষে রেজুলেশনটি সাধারণ পরিষদে উত্থাপন করেন ভানুয়াতুর প্রধানমন্ত্রী। বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব থেকে রক্ষা করার জন্য এই রেজুলেশনে মানবাধিকার আইনসহ বিদ্যমান আন্তর্জাতিক সব আইন, স্বীকৃত নীতিমালার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট দায়ী দেশগুলোর আইনি বাধ্যবাধকতার ওপর পরামর্শমূলক মতামত দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতকে অনুরোধ করা হয়।

কার্বন নিঃসরণের ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ বা ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সুরক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট আইনি পরিণতি সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়ার জন্যও এই রেজুলেশনে অনুরোধ করা হয়েছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতকে।

সাধারণ পরিষদে রেজুলেশনটি আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণের জন্য আয়োজিত উচ্চ অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ধ্বংসাত্মক ও অপরিবর্তনীয় হুমকির বিষয়ে স্পষ্ট সতর্কতা সত্ত্বেও মানবতার বেঁচে থাকার জন্য যে মাত্রায় বৈশ্বিক উদ্যোগ প্রয়োজন, তার ধারে কাছেও নেই বিশ্ব সম্প্রদায়। এই রেজুলেশন এবং এর ফলে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের দেওয়া পরামর্শমূলক মতামত ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে  দায়ী দেশগুলোর আইনি বাধ্যবাধকতা, ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অধিকার এবং জলবায়ু পরিবর্তন থেকে মানবজাতিকে রক্ষা করার জন্য মানব সভ্যতাকে আরও সম্যক ধারণা দিয়ে তাদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।’

আদালতের পরামর্শমূলক মতামতের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে জাতিসংঘ মহাসচিব তার বক্তব্যে বলেন, এই ধরনের পরামর্শমূলক মতামত জাতিসংঘ সদস্য দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় আরও সাহসী এবং শক্তিশালী ব্যবস্থা নিতে সহায়তা করবে। রেজুলেশনটি সদস্য দেশগুলোর পাশাপাশি জলবায়ুকর্মী এবং যুব সমাজসহ আন্তর্জাতিক সুশীল সংস্থাগুলির কাছ থেকে অকুণ্ঠ সমর্থন পেয়েছে।

ভানুয়াতুর আহ্বানে প্রতিষ্ঠিত কোর গ্রুপটি রেজুলেশনের খসড়া প্রণয়ন থেকে প্রস্তাব চূড়ান্তভাবে গ্রহণ পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়া জুড়ে অত্যন্ত সক্রিয় ছিল। খসড়া রেজুলেশনের ওপর তারা জাতিসংঘের সব সদস্য রাষ্ট্রের অংশগ্রহণে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে একাধিকবার অনানুষ্ঠানিক সভা করেছে। বাংলাদেশ কোর গ্রুপের সদস্য হিসেবে খসড়া প্রণয়ন ও নেগোশিয়েশন প্রক্রিয়ার পাশাপাশি আউটরিচ প্রচেষ্টায় সক্রিয়ভাবে নিযুক্ত ছিল।

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বলেন, এটি জলবায়ু ন্যায়বিচারের জন্য একটি কালজয়ী মুহূর্ত। আমরা পুরো প্রক্রিয়া জুড়ে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অসীম আগ্রহ ও সম্পৃক্ততার জন্য কৃতজ্ঞ, যা জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় তাদের গভীর অঙ্গীকারের সাক্ষ্য দেয়।

জলবায়ু ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে ঐতিহাসিক প্রস্তাব গ্রহণ করলো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশের মাটিতে সংঘটিত বর্বরোচিত গণহত্যার ওপর প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ সদর দপ্তরে একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সহযোগিতায় এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে নিউইয়র্কস্থ জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন।

এই প্রদর্শনীটি বুধবার জাতিসংঘে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। এ সময় জাতিসংঘের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি, জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, নিউইয়র্কে বসবাসরত প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, মিডিয়া কর্মী ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী বক্তব্যে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত এই প্রদর্শনী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের অব্যাহত প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।

তিনি এই প্রদর্শনীটি সফলভাবে আয়োজন করতে আন্তরিকভাবে সহায়তার জন্য মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জানিয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি, রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং গণহত্যার ইতিহাস আন্তর্জাতিক সম্পদায়ের মাঝে গভীরভাবে ছড়িয়ে দিতে আমাদের আরও জোর প্রচেষ্টা চালানো দরকার।’

আজকের এই প্রদর্শনী কেবল আমাদের ১৯৭১ সালের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করতে সহায়তা করবে না, আগামী দিনগুলোতে বিশ্বব্যাপী গণহত্যা ও অন্যান্য নৃশংস অপরাধ রোধের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সকলের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত মুহিত।

ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর থেকে ২৭টি আলোকচিত্র সংগ্রহ করে ১৯৭১ সালের গণহত্যার ওপর এক বিস্তারিত উপাখ্যান উপস্থাপন করা হয়েছে এই প্রদর্শনীতে। যা আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

 

 

জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশের গণহত্যার ওপর প্রথম আলোকচিত্র প্রদর্শনী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বাসন্তীকে জাল পরিয়ে বানোয়াট সংবাদ পরিবেশনের মতো একটি শিশুকে ১০ টাকা দিয়ে তার নাম ব্যবহার করে, অসত্য লিখে স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করা কি অপরাধ নয় প্রশ্ন রেখেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি আজ  ৩০ মার্চ দুপুরে সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) প্রকাশিত ‘সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনে বঙ্গবন্ধু’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন। স্বাধীনতা দিবসে দৈনিক প্রথম আলোর অনলাইন ও ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্ট প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ প্রশ্ন রাখেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক আহমেদ, পিআইবি’র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, গ্রন্থকার ও গবেষক পপি দেবী থাপা প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকরা এ সময় ‘২০১৩ সালে রানা প্নাজা ধসে হাজার হাজার মানুষ যে দিন নিহত হয়, সে দিন সন্ধ্যায় প্রথম আলো-মেরিল পুরস্কারে নাচ-গান করা, ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে প্রথম আলোর অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ছাত্রকে নিকটবর্তী উন্নত হাসপাতালে ভর্তি না করে, দূরের এক হাসপাতালে ভর্তি করা ও তার মৃত্যু ঘটা এবং এখন স্বাধীনতা দিবসে শিশুর নাম দিয়ে মিথ্যা লিখে স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করা -এ সবের কি বিচার’ এ প্রশ্ন করে। জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন- স্বাধীনতা দিবসে স্বাধীনতাকে এভাবে কটাক্ষ করে যে সংবাদ প্রচার করা এবং একটা শিশুকে ১০ টাকা হাতে ধরিয়ে দিয়ে যেটি বলানোর চেষ্টা করা, সে না বললেও সেটিকে ছাপানো -এটি কি সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতার পরিপন্থি নয় ? সে জন্যই এটার প্রচন্ড সমালোচনা হয়েছে, এটি ঠিক নয় বিধায় আপলোড হওয়ার পরে সেটি তারা সরিয়েও ফেলেছিলো। কিন্তু সেটির ‘স্ক্রিনশট’ তো বিভিন্ন জায়গায় ছিলো, অনেকে শেয়ার করেছে, সেগুলো রয়েও গেছে। সেগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়িয়েছে, ঘুরছে। এতদপ্রেক্ষিতে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা মামলা করেছে, মামলার প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিককে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। পুলিশের তদন্তেসব বেরিয়ে আসবে এবং আইনের গতিতে আইন চলবে।’
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার আগে বাসন্তীর গায়ে জাল পরিয়ে ছবি তুলে সেটি প্রকাশ করা হয়েছিল। তখন জালের দাম কিন্তু কাপড়ের দামের চেয়ে বেশি ছিলো, এখনো জালের অনেক দাম। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে বাসন্তীর গায়ে জাল পরিয়ে ছবি তুলে প্রকাশ করা হয়েছিল। অনেকে বলছে, ২৬ মার্চে প্রথম আলোর এ ঘটনাটি বাসন্তীকে জাল পরানোর মতোই। রাষ্ট্র, সমাজ, স্বাধীনতার বিরুদ্ধে এ ধরণের অসত্য  পরিবেশন সর্বমহলের মতে একটি অপরাধ, ডিজিটাল অপরাধ।’ অপরাধ আর সাংবাদিকতা এক জিনিস নয় উল্লেখ করে মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘কোনো সাংবাদিক যদি অপরাধ করে, তার কি শাস্তি হবে না ? কেউ যদি অপসাংবাদিকতা করে, স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করে এবং একটি ছেলের হাতে ১০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে তার নামে অসত্য লেখে, চাইল্ড এক্সপ্লয়টেশন করে, সেটার কি বিচার হবে না ? আমরা কি কেউ বিচারের উর্ধ্বে, আইনের উর্ধ্বে ? তা তো নয়।’
এ বিষয়ে বিএনপি’র বিবৃতি নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘এটি কোনো কিছু পেলেই বিএনপি’র বিবৃতি দেওয়ার অপচেষ্টা ছাড়া সেটি অন্য কিছু নয়। বাংলাদেশে মতপ্রকাশের যে স্বাধীনতা সেটি অনেক উন্নয়নশীল দেশে নাই। আপনারা যদি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কথা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন হচ্ছে সমগ্র দেশের সব মানুষের ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য, সাংবাদিকদেরও ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করে অনেক সাংবাদিকও মামলা করেছে। ক’দিন আগে একজন নারী সাংবাদিক বিদেশ থেকে চরিত্র হননের দায়ে আরেক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।’
বিশ্বের দেশে দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের উদাহরণ দিয়ে ড. হাছান বলেন, ‘এ ধরনের আইন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে হয়েছে। যুক্তরাজ্যে সাইবার সিকিউরিটি ল’জ এন্ড রেগুলেশন ২০২২, যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার ল’ এন্ড পানিশমেন্ট এবং এ ধরণের আইন বিশ্বের বহু দেশে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরণের অপরাধের শাস্তি হচ্ছে ২০ বছর কারাদন্ড  এবং ডিজিটাল মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর কারণে যদি কারো মৃত্যু হয়, তবে সেই ডিজিটাল অপরাধের শাস্তি হচ্ছে যাবজ্জীবন কারাদন্ড। আমাদের দেশের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য অনেক দেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনেক বেশি কঠিন।’
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এ ঘটনায় অবশ্যই মিথ্যা বলে রাষ্ট্রের ভিত্তিমূলে আঘাত হানা হয়েছে, স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করা হয়েছে। স্বাধীনতা দিবসের দিন জাতীয় স্মৃতিসৌধ যেটি আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক, সেখানে একটা ছেলেকে ১০ টাকা দিয়ে ফুসলিয়ে তাকে দিয়ে কথা বলানোর চেষ্টা করা হয়েছে এবং সে যেটি বলেনি সেটা প্রচার করা হয়েছে। এটি ঠিক হয়নি বলেই তারা সরিয়েছে। সুতরাং অবশ্যই এখানে রাষ্ট্রের ওপর আঘাত হানা হয়েছে।’
এর আগে ‘সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনে বঙ্গবন্ধু’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচনকালে বঙ্গবন্ধুর কর্ম, বঙ্গবন্ধুর আন্দোলনকে সমর্থন করে ১৯৭১ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের সংকলন প্রকাশ করার জন্য পিআইবিকে ধন্যবাদ জানিয়ে হাছান মাহমুদ  আশা করেন, এই সংকলনের মাধ্যমে সবাই বঙ্গবন্ধুর অজানা আরো অনেক তথ্য জানতে পারবে। এই সংকলন প্রকাশিত না হলে, এই কথাগুলো হারিয়ে যেতো। স্বাধীনতার পূর্বেও বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা, স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলনকে সমর্থন করে প্রকাশিত বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ বিজ্ঞাপনের সংকলন একটি অসাধারণ প্রকাশনা।

শিশুর নাম ব্যবহার করে অসত্য লিখে স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করা কি অপরাধ নয় : তথ্যমন্ত্রী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : জাতীয় পরিবেশ পদক  প্রদানের জন্য তিন জন ব্যক্তি ও দুটি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ, পরিবেশ বিষয়ক শিক্ষা ও প্রচার এবং পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে অসামান্য অবদান রাখায় এই পদকের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় পরিবেশ পদক, ২০২২ চূড়ান্ত মনোনয়নের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় অন্যদের মধ্যে- মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডক্টর আবদুল হামিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের  বিজ্ঞান অনুষদের ডিন  অধ্যাপক ডক্টর মো. আব্দুস  ছামাদ এবং জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডক্টর এ কে এম মাহবুব হাসানসহ কমিটির সদস্য হিসেবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ ক্যাটাগরিতে ব্যক্তিগত পর্যায়ে খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার উপসহকারী কৃষি অফিসার জীবানন্দ রায় এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে ঢাকার ধামরাইয়ের ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লি. মনোনীত হয়েছে।
পরিবেশ বিষয়ক শিক্ষা ও প্রচার ক্যাটাগরিতে ব্যক্তিগত পর্যায়ে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডক্টর তুহিন ওয়াদুদ (ডক্টর আবু ছালেহ মোহাম্মদ ওয়াদুদুর রহমান) এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে খুলনার বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট এন্ড ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (বেডস) পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন ক্যাটাগরিতে ব্যক্তিগত পর্যায়ে বাংলাদেশ ধান গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সাতক্ষীরার ঊর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং প্রধান ডক্টর এস এম মফিজুল ইসলাম পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
জাতীয় পরিবেশ পদক পাওয়া প্রত্যেক ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানকে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাইশ ক্যারেট মানের দুই তোলা ওজনের স্বর্ণের বাজার মূল্য ও অতিরিক্ত আরও ৫০ হাজার টাকার চেক, ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেয়া হবে।

 

জাতীয় পরিবেশ পদকের জন্য তিন ব্যক্তি এবং দুই প্রতিষ্ঠান মনোনীত

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : দেশের সব মানুষের কাছে পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও সুদৃশ্য ইলিশ পৌঁছানো সরকারের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে  ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ, ২০২৩’ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা জানান।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘‘ইলিশ মাছ সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ, ২০২৩’ উদযাপন করা হচ্ছে। অন্যান্য বছরের ধারাবাহিকতায় এবার ১ এপ্রিল থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ পালন করা হবে। এ বছর জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের প্রতিপাদ্য ‘করলে জাটকা সংরক্ষণ, বাড়বে ইলিশের উৎপাদন’। দেশের ইলিশ সমৃদ্ধ ২০ জেলায় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদযাপন করা হবে। ১ এপ্রিল পিরোজপুরের হুলার হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদ্বোধন করা হবে। আমাদের লক্ষ্য ইলিশসম্পদ সংরক্ষণ ও উন্নয়নে জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষায় জনগণকে সম্পৃক্ত ও সচেতন করা।’’

মন্ত্রী বলেন, ‘ইলিশের বিজ্ঞানভিত্তিক প্রজনন সময় বিবেচনা করে মা ইলিশ আহরণের নিষিদ্ধ সময় ২২ দিন নির্ধারণ, জাটকা নিরাপদে বৃদ্ধির জন্য ১ নভেম্বর হতে ৩০ জুন পর্যন্ত সারা দেশে ৮ মাস জাটকা ধরা, পরিবহন, মজুত, ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করা, দেশের ইলিশ সমৃদ্ধ নদ-নদীতে ৬টি ইলিশ অভয়াশ্রম স্থাপন ও নির্দিষ্ট সময়ে এ অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা, নিষিদ্ধকালে জেলেদের প্রতিবছর ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা প্রদান, জাটকা আহরণে বিরত অতি দরিদ্র জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা,  সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প বাস্তবায়ন, ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প বাস্তবায়নসহ সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।  ফলে ২০০৮-০৯ অর্থবছরে যেখানে ইলিশের উৎপাদন ছিল ২ লাখ ৯৮ হাজার মেট্রিক টন, ২০২১-২২ অর্থবছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৫ লাখ ৬৭ হাজার মেট্রিক টনে পৌঁছেছে। জাটকা ও মা ইলিশ সংরক্ষণ করতে পারলে ইলিশের উৎপাদন আরও অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে— এমন জাল যেমন বেহুন্দি জাল, কারেন্ট জালসহ অন্যান্য অবৈধ জাল যাতে কেউ ব্যবহার করতে না পারে, সেজন্য সরকার আইন দ্বারা নিষিদ্ধ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা রয়েছে— শুধু সমুদ্রে বা নদীতে নয়, বরং যেখানে এসব অবৈধ জাল তৈরি হয়, সেখানে আঘাত হানতে হবে। এ বছর জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহে যেখানে বেআইনি জাল উৎপাদন হবে, সে কারখানায় আমাদের অভিযান চলবে। যারা জাটকা নিধনের চেষ্টা করবে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি যে অঞ্চলে জাটকা ধরা হবে, সে অঞ্চলে বরফ কল বন্ধ রাখা হবে। বাজারেও মোবাইল কোর্ট থাকবে। জাটকা পরিবহন ও বিপণনে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

মন্ত্রী আরও জানান, জাটকা নিধনে সবচেয়ে ক্ষতিকর জাল ধ্বংসে ২০২৩ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের ১৭টি জেলায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সহায়তায় বিশেষ কম্বিং অপারেশন পরিচালনা করা হয়। এর মাধ্যমে মোট ৯৮৭টি মোবাইল কোর্ট ও ৩ হাজার ২২৬টি অভিযান পরিচালনা করে ৭ হাজার ৫৪টি বেহুন্দি জাল, ৫৪৯ দশমিক ১৯ লক্ষ মিটার কারেন্ট জাল এবং ১২ হাজার ৪৮টি অন্যান্য নিষিদ্ধ জাল আটক করা হয়েছে।’

শ ম রেজাউল করিম আরও যোগ করেন, ২০২২ সালে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান সফলভাবে বাস্তবায়নের ফলে ৫২ শতাংশ ইলিশ প্রজনন ক্রিয়ায় অংশ নিতে পেরেছে, যা ২০০১-০২ অর্থবছরের তুলনায় অনেক বেশি।’

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, অতিরিক্ত সচিব আব্দুল কাইয়ূম, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান কাজী আশরাফ উদ্দীন, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক এবং মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনের আগে মন্ত্রী ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২২ এর মূল্যায়ন ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন।

দেশের মানুষের কাছে ইলিশ পৌঁছানোই সরকারের লক্ষ্য : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : অটিজম বিষয়ে বিশেষ অবদান রাখায় এ বছর পাঁচটি ক্যাটাগরিতে ১০ ব্যক্তি ও ৩টি  প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ সম্মাননা  দিচ্ছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
আজ সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে ১৬ তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষ্যে  আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এ কথা জানান।
এ বছর অটিজম বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় পাঁচটি ক্যাটাগরীতে ১০  ব্যক্তি ও ৩ টি প্রতিষ্ঠান বিশেষ সম্মাননা পাচ্ছে। অনুষ্ঠানের দিন তাদের হাতে সম্মাননা তুলে দেয়া হবে।
ক্যাটাগরী-ক: অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সফল ব্যক্তি (৩ জন); এ ক্যাটাগরিতে এনডিডি ট্রাস্ট আয়োজিত শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশবকালের ওপর রচনা লিখন  প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন আবদুল্লাহ আল নাফি অন্তর। আরটিভির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ফাবলিহা আজিম এবং ২০২২ সালে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ শুভেচ্ছা কার্ডে আঁকা ছবি স্থান পাওয়া মো. তাইফ মোস্তফা।
ক্যাটাগরী-খ: অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন ও সুরক্ষার  ক্ষেত্রে কাজ করছেন এমন প্রতিষ্ঠান (৩টি) এ ক্যাটাগরিতে সম্মাননা পাচ্ছে-তৃণমূল প্রতিবন্ধী পুনর্বাসন সংস্থা (টিপিপিএস), নওগাঁর আমবাটি বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয় ও আদিতমারি বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়।
ক্যাটাগরী-গ: অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন ও সুরক্ষার ক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছে এমন ব্যক্তি (৩ জন); মো. জিয়াউল হক, ডা. মো. জাকির হোসেন ও অধ্যাপক ডা. শাহীন আখতার এ ক্যাটাগরিতে সম্মাননা পাচ্ছেন।
ক্যাটাগরী-ঘ: অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সফল পিতামাতা (২ জন); এ ক্যাটাগরিতে নুসরাত শারমিন এবং ডা. নাছিমা ইসলাম চৌধুরী বৃষ্টি সম্মাননা পাচ্ছেন।
ক্যাটাগরী-ঙ: কেয়ারগিভার (২ জন); মোছা. সোনিয়া আক্তার ও মনিকা মারীয়া রোজারিও এ ক্যাটাগরিতে সম্মাননা পাচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে এ সময় সমাজকল্যাণ  প্রতিমন্ত্রী মো: আশরাফ আলী খান খসরু, সমাজকল্যাণ সচিব জাহাঙ্গীর আলম, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো: শাহেনুর মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন,এ বছর রূপান্তরের অভিযাত্রায় সবার জন্য নিউরোবান্ধব অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব গঠন প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় অটিজম সচেতনতা দিবস ২০২৩ উদযাপনে ব্যাপক পরিসরে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
উদযাপনের অংশ হিসেবে সচিবালয়সহ সকল সরকারি ভবন ও স্থাপনায় ১ এপ্রিল সন্ধ্যা থেকে দুইরাত্রি নীল বাতি প্রজ্জ্বলন করা হবে। বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাস/মিশনসমূহেও নীলবাতি  প্রজ্জ্বলন করা হবে। ২ এপ্রিল রবিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

অটিজমে বিশেষ অবদান রাখায় সম্মাননা পাচ্ছে ১৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী 

স্টাফ রিপোর্টার : এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ৩৪ জন ছাত্র-ছাত্রী জিপিএ -৫ পাওয়ার মধ্য দিয়ে ঝিনাইদহের  মহেশপুরের শীর্ষে স্থান দখল করে নিয়েছেন যাদবপুর কলেজ।

২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় যাদবপুর কলেজ থেকে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষায় ১২৯ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহন করে। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে শতভাগ জিপিএ-৫ সহ ১২৮ ছাত্র-ছাত্রী পাস করেছে।

যাদবপুর কলেজের অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, কলেজের সকল শিক্ষক-শিখিক্ষা আর অভিভাবকদের প্রচেষ্টার কারনেই আজ যাদবপুর কলেজের এ সুনাম অর্জন করতে পেরেছে।

তিনি আরো জানান, অমি প্রতিটা অভিভাবকে কাছে কৃতজ্ঞ।

মহেশপুরের নামি দামি ১০টি কলেজকে টপকিয়ে যাদবপুর কলেজ আজ শীর্ষে উঠল।

 

 

 

 

এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ঝিনাইদহের মহেশপুরের শীর্ষে যাদবপুর কলেজ