27 Feb 2025, 03:57 am

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পতনের ঝুঁকিতে আরও ১৮৬টি ব্যাংক। শেয়ারবাজারে ধস ও সুদের হার দ্রুত বাড়ায় লোকসানের মুখে পড়েছে ব্যাংকগুলো। বাইডেন প্রশাসন বাজার শান্ত করতে একাধিক পদক্ষেপ নিলেও পতনের শঙ্কা রয়েই গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক ব্যাংক বন্ধ হচ্ছে। বাইডেন প্রশাসন নানা পদক্ষেপ নিলেও পতনের শঙ্কা কাটিতে উঠতে পারেনি আরো অনেক ব্যাংক।

মার্কিন অর্থনীতিবিদদের গবেষণা বলছে, সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের ভাগ্যবরণ করতে পারে ১৮৬টি ব্যাংক। ২০২২ সালের ৭ মার্চ  থেকে ২০২৩ সালের ৬ মার্চ পর্যন্ত মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ সুদের হার বাড়িয়েছে। এতে ব্যাংকগুলোর গচ্ছিত সম্পদের মূল্য উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমে গেছে।

ফলে, অর্ধেক গ্রাহকও যদি নিজেদের সঞ্চিত অর্থ তুলে নেয়, তাহলে এসব ব্যাংকের পতন ঘটবে।

বন্ধ হওয়া সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের ক্ষেত্রে একই ঘটনা ঘটে। ব্যাংকটি অভ্যন্তরীণ কিছু সংকটে কিছু সম্পদ বিক্রির ঘোষণা দিলে গ্রাহকদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ফলে টাকা তুলে নেওয়ার হিড়িক পড়ে যায়।

এসব ব্যাংক তাদের অতিরিক্ত নগদের একটি অংশ মার্কিন ট্রেজারিতে জমা রাখে। কিন্তু সুদের হার বাড়ানোর কারণে এসব গচ্ছিত বন্ডের মূল্য মারাত্মকভাবে কমে যাওয়ায় চরম সংকটে পড়ে গেছে ব্যাংকগুলো।

 

ধর্মের কল বাতাসে নড়ে ; বুমেরাং ; যুক্তরাষ্ট্রে পতনের ঝুঁকিতে আরও ১৮৬টি ব্যাংক

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : চীনের শান্তি পরিকল্পনা ইউক্রেন যুদ্ধ নিষ্পত্তির ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকের পর পুতিন এ মন্তব্য করেন।

পুতিন বলেন, এ বিষয়টি তখনই এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে, যখন পশ্চিমা বিশ্ব এবং কিয়েভ বিষয়টিকে স্বাগত জানাবে।

যুক্তরাজ্য যদি ইউক্রেনকে তেজস্ক্রিয় ইউরেনিয়ামসহ গোলাবারুদ পাঠায়, তাহলে রাশিয়া প্রতিক্রিয়া দেখাতে বাধ্য হবে বলে জানান রুশ প্রেসিডেন্ট।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জানান, রাশিয়া তার দেশের মহান প্রতিবেশি শক্তি এবং কৌশলগত অংশিদার।

গত মাসে প্রকাশিত চীনের ১২ দফা পরিকল্পনায় রাশিয়াকে ইউক্রেন ছাড়ার বিষয়টি নেই। যদিও ইউক্রেন যেকোনো আলোচনা শুরুর আগে রাশিয়াকে তার ভূখণ্ড ছাড়ার ওপর জোড় দিয়েছে।

চীনের শান্তি পরিকল্পনা যুদ্ধ নিষ্পত্তির ভিত্তি: পুতিন

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের দুটি যুদ্ধবিমান বাল্টিক সাগরে রুশ আকাশসীমায় প্রবেশ করার চেষ্টা করলে রাশিয়ার সুখোই-৩৫ যুদ্ধবিমান মার্কিন যুদ্ধবিমান দুটির এ চেষ্টা রুখে দিয়েছে বলে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছেন।

গত সোমবার এ ঘটনা ঘটেছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রুশ সুখোইয়ের তৎপরতায় রাশিয়ার সীমান্ত বরাবর উড়তে থাকা মার্কিন বি-৫২এইচ স্ট্র্যাটেজিক বোম্বার দুটি গতিপথ বদলে ফেলতে বাধ্য হয়। যুক্তরাষ্ট্রের রুশ দূতাবাসও টুইট করে একই তথ্য জানিয়েছে।

এর আগে গত সপ্তাহে কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার সুখোই-২৭ যুদ্ধবিমানের তৎপরতায় মার্কিন নজরদারি ড্রোন ভেঙে পড়ে। এ নিয়ে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এটাই ছিল রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম সরাসরি সামরিক বিরোধ। এ নিয়ে উত্তেজনা না কমতেই যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযোগ তুলল রাশিয়া।

রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম তাস জানিয়েছে, গত সোমবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল ডিফেন্স কন্ট্রোল সেন্টারের রাডারে বাল্টিক সাগরে রাশিয়ার সীমান্ত বরাবর উড়তে থাকা মার্কিন আকাশযান দুটি শনাক্ত হয়। এ সময় মার্কিন যুদ্ধবিমানের দ্বারা রাষ্ট্রীয় সীমান্ত লঙ্ঘন প্রতিরোধ করতে দ্রুত সুখোই যুদ্ধবিমান পাঠানো হয়।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে রুশ সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, তাদের যুদ্ধবিমানটি আন্তর্জাতিক আকাশসীমা লঙ্ঘন করেনি। বিদেশি যুদ্ধবিমান দুটিকে তাড়িয়ে দিয়ে সেটি রুশ ঘাঁটিতে ফিরে আসে।

উল্লেখ্য, ১৪ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের এমকিউ-৯ রিপার নামের একটি ড্রোন কৃষ্ণসাগরে ভেঙে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, রাশিয়ার একটি এসইউ-২৭ যুদ্ধবিমান ড্রোনটির ওপর জ্বালানি তেল ফেলে।
পরবর্তীকালে সেটি আবার উড়ে এসে ড্রোনের প্রপেলারে আঘাত করে। এতে ড্রোনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে সেটি কৃষ্ণসাগরে বিধ্বস্ত করানো হয় বলে জানায় যুক্তরাষ্ট্র।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ, ওই ড্রোন কৃষ্ণসাগরের আকাশসীমায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিল। ফলে সেটি নিচে পড়তে থাকে এবং সাগরে বিধ্বস্ত হয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার ব্যবহৃত আকাশসীমার বিধিনিষেধও লঙ্ঘন করেছিল সেটি।

 

রুশ সীমান্তে ২ মার্কিন যুদ্ধবিমানের প্রবেশের চেষ্টা রুখে দিল সুখোই

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : চীন ও রাশিয়ার নেতারা মঙ্গলবার তাদের সম্পর্কের ‘নতুন যুগকে’ স্বাগত জানিয়েছেন। তারা মস্কোতে একটি ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে সম্পর্কের এই নতুন যুগকে স্বাগত জানালেন। এদিকে ইউক্রেন সংঘাত অবসানে বেইজিংয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন পশ্চিমাবিশ্বকে দায়ী করেন। খবর এএফপি’র।
পশ্চিমা শক্তির লাগাম টেনে ধরতে আগ্রহী দেশগুলো এশিয়ায় ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং তারা অংশীদারিত্ব আরো জোরদার করতে সম্মত হয়েছে। ইউক্রেনে পুতিনের আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এটি আরো জোরালো হয়েছে।
পুতিন বলেন, তিনি ইউক্রেনের বিষয়ে আলোচনার জন্য উন্মুক্ত ছিলেন এবং সংঘাতের বিষয়ে বেইজিংয়ের ১২ দফা প্রস্তাব পত্রের প্রশংসা করেছেন যার মধ্যে সংলাপ এবং সকল দেশের আঞ্চলিক সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান জানানোর কথা বলা হয়েছে।
চীনের নেতা শি জিনপিংয়ের সাথে আলোচনার পর পুতিন বলেন, ‘চীনের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার অনেক বিধান একটি শান্তিপূর্ণ মীমাংসার ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে যখন কিয়েভ এবং পশ্চিমারা এর জন্য প্রস্তুত হবে।’
‘তবে এখন পর্যন্ত আমরা তাদের পক্ষ থেকে এমন কোন প্রস্তুতি দেখিনি।’
আলোচনার পর রাষ্ট্রীয় এক নৈশভোজে পুতিন বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে রাশিয়া-চীন সহযোগিতার সত্যিই সীমাহীন সম্ভাবনা রয়েছে।’ সেখানে তিনি রাশিয়া ও চীনের জনগণের ‘সমৃদ্ধির’ কথা তুলে ধরেন।
এরআগে তিনি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত বক্তব্যে এ দুই দেশের সম্পর্কের ‘বিশেষ প্রকৃতি’ নিয়ে কথা বলেন।
মস্কো সফরের দ্বিতীয় দিনে শি বলেন, রাশিয়ার সাথে চীনের সম্পর্ক ‘নতুন যুগে প্রবেশ করছে।’
পুতিন আলোচনাকে ‘অর্থপূর্ণ এবং খোলামেলা’ বলে অভিহিত করে বলেন, নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে ইউরোপীয় বাজার থেকে অনেকাংশে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া রাশিয়া জ্বালানি পাওয়ার ক্ষেত্রে চীনের ‘ক্রমবর্ধমান চাহিদা’ মেটাতে সক্ষম হবে।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির পুতিন বলেছেন, কিয়েভ চীনকে আলোচনার আমন্ত্রণ জানিয়েছে এবং তারা বেইজিংয়ের উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছে।
জেলেনস্কি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা চীনকে শান্তির ফর্মুলা বাস্তবায়নে অংশীদার হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছি। আমরা সকল চ্যানেলে আমাদের ফর্মুলাটি বলে দিয়েছি। আমরা আপনাকে সংলাপের জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আমরা আপনার উত্তরের জন্য অপেক্ষা করছি।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, চীন একটি নিরপেক্ষ মধ্যস্থতাকারী হতে সক্ষম হবে বলে ওয়াশিংটন মনে করে না। এ সংঘাত অবসানের প্রচেষ্টায় মধ্যস্থতাকারী হওয়ার বেইজিংয়ের এমন লক্ষ্যের কঠোর সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিগত বছর গুলোতে মস্কো ও বেইজিং তাদের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করেছে এবং উভয় দেশ মার্কিন আধিপত্যকে প্রতিহত করার ইচ্ছা পোষণ করে।
এদিকে চীনের নেতার মস্কো সফরকে পুতিনের জন্য একটি বলিষ্ঠ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ, পুতিনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের শিশুদের বেআইনিভাবে নির্বাসনের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের পরোয়ানা রয়েছে।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মঙ্গলবার বলেছেন, তিনি জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার কিয়েভ সফরকালে তার সাথে ‘ফলপ্রসূ আলোচনা’ পরিদর্শন করেন। তিনি ইউক্রেনের বুচা শহর সফর করেন। সেখানে রাশিয়ার বাহিনীর এক বছরের দখলদারিত্ব চলাকালে নৃশংসতা চালানোয় তাদেরকে অভিযুক্ত করা হয়।
জেলেনস্কি তার সান্ধ্যকালীন ভাষণে বলেন, ‘মি. কিশিদার সাথে আমাদের আলোচনা বেশ ফলপ্রসূ ছিল।’
তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার আগ্রাসন এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা রক্ষায় বিশ্বকে আরো সক্রিয়ভাবে সংগঠিত করতে আমাদের সাথে একত্রে কাজ করার জন্য আমি জাপানের অত্যন্ত সুনির্দিষ্ট ইচ্ছার কথাও শুনেছি।’
জেলেনস্কি মঙ্গলবার নিশ্চিত করেন, তিনি ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন।

পশ্চিমাবিরোধী ঐক্যফ্রন্ট গঠনের ‘নতুন যুগকে’ স্বাগত জানিয়েছেন শি ও পুতিন

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : মস্কো অধিভুক্ত ক্রিমিয়ার সিভাস্তোপুল বন্দরে বুধবার রাশিয়ার নৌ বাহিনী ড্রোন হামলা প্রতিহত করেছে।
ক্রিমিয়ার ক্রেমলিন সমর্থিত সরকার এ কথা জানিয়েছে।
রাশিয়া ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখল করে। এখানেই দেশটির ‘ব্ল্যাক সি ফ্লিট’ রয়েছে। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পর থেকে এখানে একের পর এক ড্রোন হামলা চালানো হচ্ছে।
সিভাস্তোপুলের রুশ সমর্থিত গভর্ণর মিখাইল রাজভোজায়েভ টেলিগ্রামে বলেছেন, ‘মোট তিনটি বস্তু ধ্বংস করা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেছেন, নাবিকরা ‘ছোট অস্ত্র’ দিয়ে ড্রোন প্রতিহত করে। এছাড়া ‘বিমান প্রতিরক্ষা’ ব্যবস্থাও কাজ করছিল।
এ সময় ক্ষয় ক্ষতির কোন ঘটনা ঘটেনি বলে জানান তিনি।
তিনি শান্তির আহ্বান জানান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের ক্রিমিয়া সফরের এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে এ ড্রোন হামলা চালানো হলো।

ক্রিমিয়া বন্দরে ড্রোন হামলা ‘প্রতিহত’ করেছে রুশ নৌ বাহিনী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলায় জ্যেষ্ঠ এক সেনা কর্মকর্তাসহ ৫ নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দেশটির সামরিক বাহিনীর ব্রিগেডিয়ার পদবীর এক কর্মকর্তাও রয়েছেন।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) পাকিস্তানের দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান এবং ডেরা ইসমাইল খানে পৃথক দুই হামলায় প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। বুধবার (২২ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারানো পাকিস্তানের ওই সেনা কর্মকর্তার নাম ব্রিগেডিয়ার মোস্তফা কামাল বারকি। পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই)-এর উচ্চপদে দায়িত্বরত ছিলেন তিনি।

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর ইন্টার সার্ভিস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) এক বিবৃতি বলেছে, দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে সম্মুখভাগে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার সময় ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) ব্রিগেডিয়ার মোস্তফা কামাল বারকি নিহত হয়েছেন। এসময় আরও সাত সেনা সদস্য আহত হন। তাদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ব্রিগেডিয়ার বারকি আঙ্গুর আদা থেকে ওয়ানার দিকে যাওয়ার পথে আফগান সীমান্তের কাছে খামরাং এলাকায় হামলার শিকার হন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে হওয়া এই হামলায় তার চালকও প্রাণ হারিয়েছেন।

এখন পর্যন্ত কোনও গোষ্ঠী অবশ্য হামলার দায় স্বীকার করেনি। এছাড়া ব্রিগেডিয়ার বারকির পরিবারও তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।

আইএসপিআর বলেছে, ব্রিগেডিয়ার বারকি ও তার দল হামলার মুখে পড়ার পর সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ প্রতিরোধ গড়ে তোলেন এবং মাতৃভূমির শান্তির জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দেশের প্রতি ইঞ্চি ভূখণ্ড থেকে সন্ত্রাসবাদের হুমকি নির্মূল করার জন্য দৃঢ় অঙ্গীকার পুনঃনিশ্চিত করেছে।

এর আগে হামলার পৃথক ঘটনায় পাকিস্তানে আরও তিন নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়েছেন। তবে এর আগেই তারা ডেরা ইসমাইল খানে তিন সন্ত্রাসীকে হত্যা করেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

আইএসপিআর-এর মতে, রাতের আঁধারে সন্ত্রাসীরা খুট্টির একটি পুলিশ চৌকিতে হামলা করে। নিরাপত্তা বাহিনী সঙ্গে সঙ্গে এলাকাটি ঘিরে ফেলে, রাস্তা অবরোধ করে সন্ত্রাসীদের আটক করে। তীব্র গুলি বিনিময়ের পর তিন সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয় এবং তাদের হেফাজত থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করা হয়।

গুলি বিনিময়ের সময় লোধরানের বাসিন্দা হাভালদার মোহাম্মদ আজহার ইকবাল (৪২), খানওয়ালের বাসিন্দা নায়েক মোহাম্মদ আসাদ (৩৪) এবং দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের বাসিন্দা সিপাহী মোহাম্মদ এসা (২২) বীরত্বের সাথে লড়াই করে নিহত হন। আহত এক পুলিশ কর্মকর্তাকে ডিআই খান হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, ওই এলাকায় কোনও সন্ত্রাসী পাওয়া গেলে তা নির্মূল করতে অভিযান চালানো হচ্ছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী সন্ত্রাসবাদের হুমকি নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর এবং সাহসী সৈন্যদের এই ধরনের আত্মত্যাগ তাদের সংকল্পকে আরও শক্তিশালী করবে।

দ্য ডন বলছে, পাকিস্তান থেকে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করার অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং নিরাপত্তা বাহিনী গত তিন মাসে অন্তত ১৪২ জঙ্গিকে হত্যা করেছে। এই সময়ের মধ্যে সারাদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে এক হাজারেরও বেশি জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এদিকে ব্রিগেডিয়ার মোস্তফা কামাল বারকির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ তরেছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান। টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘ব্রিগেডিয়ার মো. মোস্তফা কামাল বারকি সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন জানতে পেরে দুঃখিত। আমার সমবেদনা এবং প্রার্থনা তার পরিবারের সাথে আছে।’

 

পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার আপডেট ; সামরিক বাহিনীর ব্রিগেডিয়ারসহ নিহত ৫

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের বার্মিংহ্যামে মুসুল্লির গায়ে আগুন দেওয়ার ঘটনায় এক দুস্কৃতকারী নাস্তিককে আটক করেছে পুলিশ। গত সোমবার (২০ মার্চ) সন্ধ্যায় মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর ৭০ বছর বয়সী এক মুসুল্লিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা চালায় অভিযুক্ত ব্যক্তি।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) অভিযান চালিয়ে হামলাকারীকে আটক করতে সমর্থ হয় পুলিশ। এ ঘটনার আসল কারণ খুঁজে বের করতে সাধারণ মানুষের সহায়তা চেয়েছেন ব্রিটিশ কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা।

পুলিশ জানিয়েছে, হামলার শিকার ৭০ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধ সোমবার মাগরিবের নামাজের পর বার্মিংহ্যামের এজবাস্টনে নিজ বাড়িতে ফিরে যাচ্ছিলেন। ওই সময় এক ব্যক্তি তার পথরোধ করে। প্রথমে অভিযুক্ত হামলাকারী তার গায়ে কিছু একটা ছিটিয়ে দেন। এরপর তার জ্যাকেটে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, আগুনে ওই বৃদ্ধের মুখমণ্ডল পুড়ে গেছে। তবে তিনি গুরুতর আহত হননি।

অভিযুক্ত হামলাকারীকে পুলিশ ডুডলে রোড থেকে আটক করে। ওই রাস্তাটির কাছেই বৃদ্ধের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।

ওয়েস্ট মিডল্যান্ড পুলিশের প্রধান সুপারিনটেনডেন্ট রিচার্ড নর্থ হামলার ব্যাপারে বলেছেন, ‘কী ঘটনা ঘটেছে এবং এর সঙ্গে কে কে জড়িত সেটি খুঁজে বের করতে আমাদের অফিসাররা সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা হামলাকারীর উদ্দেশ্য সম্পর্ক জানতে চেষ্টা করছি। এর বেশি কিছু আপাতত বলতে পারব না।’

এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার পর যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন এজবাস্টন শহরের কাউন্সিল লিডার ইয়ান ওয়ার্ড, কমিউনিটি সেফটির কেবিনেট সদস্য জন কটন এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শ্যারন থম্পসন এবং মার্কাস বার্নাসকোনি। তারা এ হামলাকে ‘ভয়ঙ্কর’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। এছাড়া ওই এলাকায় বসবাসরত মুসলিমদের সবসময় সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছেন তারা। সূত্র: মিডেল ইস্ট আই

যুক্তরাষ্ট্রে মসজিদ থেকে বের হওয়া মুসল্লির গায়ে আগুন দিল নাস্তিক ; অবশেষে আটক

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তার নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের বিরেুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দিয়ে দিল্লিজুড়ে লাখ লাখ পোস্টার সাঁটার অভিযোগে এ পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিশ। বুধবার রাজধানী নয়াদিল্লি ও তার আশপাশের এলাকা থেকে তাদের গেপ্তার করা হয়েছে।

বিভিন্ন এলাকা থেকে পোস্টার সরানোর কাজও করতে হচ্ছে পুলিশকে করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকেল থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত ‘কে বা কারা’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি সরকারের পতনের দাবিতে আন্দোলনের ডাক দিয়ে রাজধানী নয়াদিল্লি ও দিল্লির অন্যান্য এলাকা পোস্টারে ছেয়ে ফেলে। একটিই স্লোগান ছিল সব পোস্টারে – ‘মোদি হটাও, দেশ বাঁচাও’।

পোস্টারের সংখ্যা কম হলে হয়তো ব্যাপারটি আমলে নিত না ক্ষমতাসীন কেন্দ্রীয় সরকার, কিন্তু রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন এলাকা এই পোস্টারে ছেয়ে যাওয়ার পর টনক নড়ে দিল্লির বিজেপি নেতাকর্মীদের। মঙ্গলবার রাত থেকেই নয়াদিল্লির বিভিন্ন থানায় একের পর এক এফআইআর করতে থাকেন তারা। এ পর্যন্ত শতাধিক এফআইআর থানাগুলোতে জমা পড়েছে বলে জানা গেছে পুলিশসূত্রে।

প্রতিটি এফআইআরে দু’টি অভিযোগ আনা হয়েছে— সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধন ও শহরের সৌন্দর্যহানি।

শতাধিক এফআরআই জমা পড়ার পর ‍বৃহস্পতিবার রাজধানী ও তার আশাপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছয় জনকে গ্রেপ্তারও করেছে দিল্লি পুলিশ। পুলিশের মুখপাত্র দীপেন্দ্র পাঠক বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের জানান, গ্রেপ্তারদের মধ্যে দু’জন ছাপাখানার মালিক আছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছেন, তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে ছাপাখানায় ৫০ হাজার করে পোস্টার ছাপানোর চুক্তি করা হয়েছিল এবং অগ্রিম অর্থও প্রদান করা হয়েছিল।

এদিকে, এখন পর্যন্ত পোস্টার সাঁটানোর দায় কোনো রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠী সরাসরি স্বীকার করেনি, তবে দিল্লির রাজ্যসরকারে আসীন আম আদমি পার্টির (এএপি) দিকেই উঠেছে অভিযোগের তীর। দিল্লি পুলিশের মুখপাত্র দীপেন্দ্র পাঠকের বক্তব্যেও তার ইঙ্গিত মিলেছে।

দীপেন্দ্র পাঠক জানিয়েছেন, মঙ্গলবার এএপির কেন্দ্রীয় পার্টি কার্যালয়ের কাছ থেকে একটি ডেলিভারি ভ্যান আটক করা হয়েছে এবং সেই ভ্যান থেকে অনেক পোস্টারও উদ্ধার করা হয়েছে।

‘ভ্যানচালক বলেছেন, তাকে ওই পোস্টার এএপি অফিসে দিয়ে আসতে বলা হয়েছিল। ওই চালক আরও বলেছেন, সোমবারেও তিনি আপ অফিসে পোস্টার দিয়ে এসেছেন।’

বৃহস্পতিবার এক টুইটবার্তায় এএপিও পরোক্ষভাবে স্বীকার করে নিয়েছে, এই ঘটনার জন্য তারাই দায়ী।টুইটবার্তায় পোস্টারের ইমেজের টুইট করে সেটির ক্যাপশনে বলা হয়েছে, ‘এই পোস্টারে আপত্তিকর কী এমন আছে যে মোদিজিকে ১০০টি এফআইআর করতে হয়? প্রধানমন্ত্রী মোদি, সম্ভবত আপনার জানা নেই, ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ। এক পোস্টারকে এত ভয়?’

এএপির টুইটের প্রতিক্রিয়ায় দিল্লি বিজেপির মুখপাত্র হরিশ খুরানা বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এএপির সাহস পর্যন্ত নেই যে তারাই ওই পোস্টার মেরেছে, তা স্বীকারের। পোস্টার সেঁটে তারা আইন ভেঙেছে।’

অন্যদিকে পাল্টা এক সংবাদ সম্মেলনে এএপি নেতারা বলেছেন, পোস্টারের দাবি গণতান্ত্রিক। পুলিশের ‘অগণতান্ত্রিক’ আচরণের প্রতিবাদে ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অপসারণের দাবিতে তারা আন্দোলনে শামিল হবেন।

‘মোদি হটাও’ পোস্টারে ছেয়ে গেছে দিল্লর রাজপথ ; পুলিশের অভিযানে ৬ জন গ্রেপ্তার

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরকে ‘মিথ্যাবাদী’ আখ্যা দিয়েছেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর। মেক্সিকান সরকারের মানবাধিকার রেকর্ড ইস্যুতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের রেকর্ড সামনে আসার পর তিনি এই দাবি করেন।

বুধবার (২২ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নতুন এক প্রতিবেদনে মেক্সিকোর লোপেজ ওব্রাডর সরকারের মানবাধিকার রেকর্ডের সমালোচনা করা হয়। একইসঙ্গে সেখানে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছে বলে নানা তথ্যও যুক্ত করা হয়।

আর এরপরই মঙ্গলবার মানবাধিকার বিষয়ে নিজের সরকারের রেকর্ডের সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করেন প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর। এছাড়া সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রতিবেদনকেও ‘মিথ্যা’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সোমবার প্রকাশ করা মার্কিন ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেক্সিকোতে পুলিশ, সামরিক এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বেআইনি বা নির্বিচারে হত্যার বিশ্বাসযোগ্য তথ্য রয়েছে। এছাড়া সরকারি এজেন্টদের দিয়ে জোরপূর্বক গুম এবং এর পাশাপাশি নিরাপত্তা বাহিনীকে ব্যবহার করে নির্যাতন ও অমানবিক আচরণ করার বিষয়ও প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘দায়মুক্তি ও বিচারের অত্যন্ত কম হার মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং দুর্নীতিসহ সকল ধরনের অপরাধের জন্য সমস্যা হিসাবে রয়ে গেছে’। একইসঙ্গে মেক্সিকোতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতার সমালোচনাও এতে করা হয়েছে।

মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন এই প্রতিবেদনে সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে মেক্সিকান প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করেন। সাংবাদিকদের কাছে তিনি দাবি করেন, ‘তারা মিথ্যা বলছে।’

লোপেজ ওব্রাডর উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘নিজেদেরকে সারা বিশ্বের সরকার বলে মনে করে’।

মঙ্গলবার মেক্সিকোতে সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সাথে দেখা করার কথা ছিল লোপেজ ওব্রাডরের। এর আগে অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এটি নিয়ে ক্ষুব্ধ হওয়ার কিছুই নেই, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) ঠিক এমনই। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনটি ‘সত্য নয়, তারা মিথ্যাবাদী।’

এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল এক নিউজ ব্রিফিংয়ে মেক্সিকান প্রেসিডেন্টের এই সমালোচনার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এসময় ওয়াশিংটন ‘সারা বিশ্বের সরকারের’ মতো আচরণ করছে এবং মানবাধিকার প্রতিবেদনে বাড়িয়ে বলা হয়েছে এমন সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করেন তিনি।

বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘রিপোর্টে থাকা সবকিছুই মেক্সিকোর জন্য বাস্তব। মেক্সিকান পুলিশ, সামরিক এবং অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের দুর্নীতি ও বেআইনীভাবে নির্বিচারে হত্যার মতো অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি মেক্সিকোর জন্য গুরুতর চ্যালেঞ্জ হিসাবে রয়ে গেছে এবং সে কারণেই আমাদের প্রতিবেদনে এসব বিষয়কে হাইলাইট করা হয়েছে।’

অবশ্য সাম্প্রতিক অতীতেও যুক্তরাষ্ট্র-বিরোধী বক্তব্য রেখেছেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট লোপেজ ওব্রাডর। গত সপ্তাহে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে মেক্সিকো নিরাপদ দেশ বলে দাবি করেন।

চলতি মাসে মেক্সিকো সীমান্তের কাছে মারাত্মক এক অপহরণের ঘটনায় দুই আমেরিকানের প্রাণহানি এবং এর জেরে সৃষ্ট সমালোচনার জবাবে মেক্সিকান প্রেসিডেন্ট একথা বলেছিলেন।

 

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরকে ‘মিথ্যাবাদী’ আখ্যা মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট