21 Feb 2025, 05:14 pm

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : যথাযথ আইন মেনে ভবন নির্মাণ না করায় তুরস্কে ছয় শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছে তুরস্ক সরকার।

শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের দিয়ারবাকির থেকে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে দেশটির বিচার বিষয়ক মন্ত্রী বাকির বুজদাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খবর আল-জাজিরার।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি দুদফায় ৭.৮ এবং ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে দক্ষিণ তুরস্কে ৪৪ হাজার জনেরও বেশি এবং উত্তর সিরিয়ায় সাড়ে ৫ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ভূমিকম্পের পর দক্ষিণ তুরস্কজুড়ে ধসেপড়া কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ১ লাখ ৭৩ হাজার ভবনের নির্মাণকাজের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে।
তুরস্কের কর্তৃপক্ষ অভিযোগ এনেছে, ভবন নির্মাণে ত্রুটি থাকায় ভূমিকম্পে ভবনগুলো দ্রুত ধসে পড়েছে।

বিচার বিষয়ক মন্ত্রী বাকির বুজদাগ জানিয়েছেন, মামলার আসামি ৬১২ জনের মধ্যে ১৮৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে এরই মধ্যে সাজা দেয়া হয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধে মামলা চলমান। আসামিদের মধ্যে রয়েছে নির্মাণ ঠিকাদার, ভবন মালিক এবং পরিচালকরা। তিনি বলেন, ‘ধসে পড়া ভবনগুলোতে উল্লিখিতদের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ খোঁজার জন তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।’

এদিকে, বিরোধী দলগুলো প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিল্ডিং নীতিমালা বাস্তবায়নে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছে।

তুরস্কে ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগে ৬১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে এক ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীর গুলিতে দুই ইহুদিবাদী ইসরাইলি নিহত হয়েছে। পরে ওই ফিলিস্তিনি ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীদের গুলিতে শহীদ হন। এছাড়া, ইহুদিবাদীরা ফিলিস্তিনি গ্রামগুলোতে আগুন লাগিয়ে দেয়।

অধিকৃত ভূখণ্ডে সম্প্রতি হামলা পালটা হামলার ঘটনা মারাত্মকভাবে বেড়ে গেছে। ইহুদিবাদী সেনাদের আগ্রাসনে চলতি বছরের দুই মাসে এ পর্যন্ত ৬০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। এর জবাবে মাঝে মাঝে ফিলিস্তিনিরাও ইহুদিবাদীদের ওপর জীবন বাজি রেখে হামলা চালাচ্ছেন।

জর্দানের রাজধানী আম্মানে গতকাল যখন ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের মধ্যে সংঘাত কমানোর উপায় নিয়ে আলোচনা চলছিল তখন ওই দুই ইসরাইলি এবং এক ফিলিস্তিনির হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ইহুদিবাদীদের ওপর গতকালের হামলার জন্য ফিলিস্তিনের কোনো সংগঠন দায়িত্ব স্বীকার করেনি।

অন্যদিকে, ইহুদিবাদী ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ইতামার বেন জাভির এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, একজন ফিলিস্তিনির হামলায় দুই বেসামরিক ইসরাইলি নিহত হয়েছে।

গতকাল সন্ধ্যার দিকে ইসরাইলি গণমাধ্যম খবর দেয় যে, হাওয়ারা এলাকার কাছে ফিলিস্তিনি এবং অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। এ সময় নাবলুস শহরের কাছে কয়েকটি গ্রামে ইহুদিবাদীরা ফিলিস্তিনিদের বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে শহরের কাছে যাতারা গ্রামে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের গুলিতে ৩৭ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন।

এদিকে হাওয়ারা এলাকার বেশ কিছু বাড়িঘর থেকে ফিলিস্তিনিদেরকে বের করে দিয়েছে ইহুদিবাদী সেনাবাহিনী। তারা দাবি করেছে, আগুনের ঝুঁকি থেকে ফিলিস্তিনিদেরকে রক্ষা করতে তাদের বাড়ি থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।

অধিকৃত পশ্চিম তীরে বন্দুকধারী ফিলিস্তিনির গুলিতে দুই ইহুদিবাদী ইসরাইলি নিহত

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইতালির দক্ষিণ উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬০ জন হয়েছে। এর মধ্যে ১২টি শিশুও রয়েছে। এ ঘটনায় আরো অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। নৌকাটিতে ইরাক, আফগানিস্তান, লিবিয়াসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসনপ্রত্যাশীদের উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখিয়ে ইতালি বা ইউরোপের পথে নেয়া হচ্ছিল।

স্থানীয় সময় গতকাল (রোববার) সকালে ইতালির কালাব্রিয়া অঞ্চলের কাতরো শহরের উপকূলে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ইতালির কোস্টগার্ড ও পুলিশ। ওই নৌকা ডুবে যাওয়ার পর অন্তত ৮১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

এর আগে ইতালির কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে দেয়া বিবৃতিতে জানানো হয়, নৌকাটিতে দেড় শতাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশী ছিলেন। নৌকাডুবির পর কয়েকজন সাঁতরে উপকূলে পৌঁছান। ডুবে যাওয়ার সময় নৌকাটি উপকূল থেকে কয়েক মিটার দূরে ছিল। ইতালির সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর, নৌকা ডুবে কয়েক মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ানদোসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, নৌকাডুবির ঘটনায় এখনো অন্তত ৩০ জন নিখোঁজ। তাদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।

কাতরো শহরের মেয়র অ্যান্তোনিও সিরাসো স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে জানান, সমুদ্রে ঝোড়ো আবহাওয়ার কারণে কাঠের তৈরি নৌকাটি ডুবে যায়। নৌকার বিচ্ছিন্ন অংশ উপকূল থেকে ৩০০ মিটারের মধ্যে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে।

ওই নৌকায় থাকা আরোহীদের সবাই ইউরোপে অভিবাসনের আশায় বেরিয়েছিলেন। তবে তাঁরা কোন কোন দেশের নাগরিক, তা ইতালির সরকার জানায়নি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানায়, নৌকার আরোহীরা ইরাক, সিরিয়া, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের নাগরিক।

প্রাণঘাতী এ দুর্ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। সমুদ্রে মৃত্যু ঠেকাতে অবৈধভাবে সমুদ্রপথে অভিবাসীদের আগমন বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেছেন তিনি। গত অক্টোবরে ক্ষমতায় আসার পর মেলোনির কট্টর ডানপন্থী সরকার অভিবাসী-বিরোধী কঠোর অবস্থান নিয়েছে।

ইউরোপে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য সমুদ্রপথে ইউরোপে প্রবেশের প্রধান পথ ইতালি। ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপে যাওয়ার এ পথকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পথ বলা হয়ে থাকে। ২০১৪ থেকে এ পর্যন্ত এ পথে ২০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে।

এদিকে, ইতালির কালাব্রিয়া অঞ্চলের উপকূলে কমপক্ষে ৫৮ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যুর পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভিবাসন সংক্রান্ত আইন সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন।

গতকাল কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন্ডার লিয়েন তার টুইটার অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে বলেন, “দুঃখজনক এই মৃত্যু আমাকে গভীরভাবে ব্যথিত করেছে। মধ্য ভূমধ্যসাগরে অভিবাসন ও উদ্বাস্তু সম্পর্কিত কর্মপরিকল্পনার বিষয়ে আমাদের প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করতে হবে।”

ইতালির দক্ষিণ উপকূলে আবার নৌকাডুবি ; ১২ শিশুসহ ৬০ জন নিহত

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : মঙ্গোলিয়ার অন্তত ১০টি প্রদেশ ভয়াবহ ঠান্ডার কবলে পড়েছে। স্থানীয় ভাষায় এ পরিস্থিতিকে ‘ডিজুড’ বলে।
দেশটির জাতীয় আবহাওয়া ও পরিবেশ পর্যবেক্ষণ সংস্থা সোমবার এ কথা জানিয়েছে। খবর এএফপি’র।
সংস্থা আরো বলেছে, বর্তমানে ১০টি প্রদেশের ২৩টি অঞ্চলে ‘ডিজুড’ পরিস্থিতি চলছে। অন্যদিকে ১৩টি প্রদেশের ৪১টি অঞ্চল ও সে পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে।
এছাড়া যাযাবর অঞ্চল হিসেবে পরিচিত মঙ্গোলিয়ার ৬০ ভাগ এলাকা বরফাচ্ছন্ন হয়ে আছে যা ৩০ সেন্টিমিটার পুরু।
তীব্র ঠান্ডা আবহাওয়া বুঝাতে মঙ্গোলিয়া ‘ডিজুড’ টার্মটি ব্যবহার করা হয় যখন ভূমি বরফে ঢেকে যায় এবং বিপুল সংখ্যক গবাদি পশু মারা যায়।
দেশটিতে চলতি বছরের ভয়ানক ঠান্ডা ও অন্যান্য কারনে প্রায় তিন লাখ ৬৬ হাজার গবাদি পশু মারা গেছে।

শীতে মঙ্গোলিয়ার ১০ প্রদেশে বরফাচ্ছন্ন

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক :গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে আজ শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন ৭টি দেশের ৮ জন সামরিক প্রতিনিধি।

দুপুরে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই)-এর আয়োজনে ৭ দেশের সামরিক প্রতিনিধিগণ জাতির পিতার সমাধিসৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
বিদেশী কর্মকর্তাগণ সামরিক কায়দায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি স্যালুট জানান। এ সময় ৭৫-এর ১৫ই আগস্টের শহীদসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী ৩০ লাখ শহীদের আত্মার শান্তি কামনায় তারা প্রার্থনা করেন।
এরপর ৭ দেশের সামরিক প্রতিনিধি দলের সদস্যদের স্ত্রী ও সন্তানরা পৃথকভাবে ফুল দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের বেদীতে শ্রদ্ধা জানান। পরে তারাও বঙ্গবন্ধুর জন্য প্রার্থনা করেন।
ডিজিএফআই এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল হামিদুল হকের নেতৃত্বে বিদেশী সামরিক প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ছিলেন- ভারতের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মানমিত সিং সাবারওয়াল, পাকিস্তানের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী এজাজ রাফি, নেপালের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রোশান শমসের রানা, মায়ানমারের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সোয়ে নিয়াত, তুরস্কের কর্নেল এরদাল সাহিন, ফিলিস্তিনের কর্নেল মাহমুদ এম জে শারাওনাহ, অস্ট্রেলিয়ার লে. কর্নেল ডেমসি চেরিল সিনক্লেয়ার এবং ভারতের স্কোয়াড্রন লিডার অভিতোষ শর্মা।
বিদেশী সামরিক প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ কমপ্লক্স ঘুরে-ঘুরে দেখেন।
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় সামরিক প্রতিনিধিদল বঙ্গবন্ধুর সামাধিসৌধে পৌঁছালে গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. গোলাম কবির তাদের স্বাগত জানান।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল-মামুন, পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইলিয়াস হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ গাজী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বিদেশী সামরিক প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ কমপ্লক্স ঘুরে-ঘুরে দেখেন।
সামরিক প্রতিনিধি দলের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ডিজিএফআই প্রধান মেজর জেনারেল হামিদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, বার্ষিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন দেশের সামরিক প্রতিনিধিদের নিয়ে আজ জাতির পিতার সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন।
সমাধি সৌধ পরিদর্শন শেষে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বাগেরহাট ষাট গম্বুজ মসজিদ ও সুন্দরবন পরিদর্শনে যান।

বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে সাত দেশের সামরিক প্রতিনিধির শ্রদ্ধা

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আরব লীগে সিরিয়ার সদস্যপদ ফিরিয়ে দেয়ার জোর দাবি জানিয়েছে ইরাক ও জর্দান। ২২ সদস্যদেশকে নিয়ে গঠিত এই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদেশ সিরিয়ার সদস্যপদ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে স্থগিত রয়েছে।

বাগদাদে গতকাল (শনিবার) আরব দেশগুলোর ৩৪তম আন্তঃসংসদীয় ইউনিয়নের সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ইরাকের পার্লামেন্ট স্পিকার মোহাম্মাদ আল-হালবুসি সিরিয়াকে সদস্যপদ ফিরিয়ে দেয়ার জন্য সবগুলো আরব দেশের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সিরিয়াকে আরব বিশ্বের পাশাপাশি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যথাযথ ভূমিকা পালন করার সুযোগ দেয়া উচিত। হালবুসি বলেন, আরব লীগে সিরিয়ার সদস্যপদ থাকলে সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের পর সিরিয়ায় আরো কার্যকরভাবে ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতা চালানো সম্ভব হতো।

ইরাকের পার্লামেন্ট স্পিকার বলেন, গত ৬ ফেব্রুয়ারির ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্পের পর সিরিয়া বর্তমানে ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন। এই মুহূর্তে আমাদের সকলের উচিত সিরিয়াকে ভূমিকম্প পরবর্তী জটিলতা কাটিয়ে উঠতে সহযোগিতা করা।

অন্যদিকে, জর্দানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদিও সিরিয়াকে আরব লীগের সদস্যপদ ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “সিরিয়া আরব বিশ্বের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সভ্যতাকে ধারণ করে। সাম্প্রতিক ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্পের পর আমাদের উচিত দেশটির দুর্গত মানুষের সাহায্যে এগিয়ে যাওয়া। আমরা সিরিয়াকে আরব লীগের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী ভূমিকায় দেখতে চাই।”

২০১১ সালের মার্চ মাসে সিরিয়ায় বিদেশি মদদে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর ওই বছরের নভেম্বর মাসে দেশটির সদস্যপদ স্থগিত করে আরব লীগ। ১৯৪৫ সালে যে ছয়টি দেশ মিলে আরব লীগ গঠন করেছিল সিরিয়া তার একটি। সাম্প্রতিক সময়ে আরব লীগের অনেকগুলো দেশ সিরিয়াকে সদস্যপদ ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছে।

সিরিয়াকে আরব লীগের সদস্যপদ ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানাল ইরাক ও জর্দান

ইয়ানূর রহমান : রমযানে মাছ, মাংস, দুধ, ডিমের দাম কোনভাবেই বাড়বে না। প্রয়োজনে বেসরকারি খামারিদের আমরা সহায়তা নেবো। কোনোভাবেই মাছ-মাংসের দাম বাড়বে না বলে জানিয়েছেন শার্শা উপজেলা পরিষেদর চেয়ারম্যান বীর
মুক্তিেযাদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু। শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) শার্শা উপজেলা প্রাণিসম্পদ চত্তরে আয়োজিত ‘প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৩’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মাছ মাংসের দাম বাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, বিশ্ব পরিস্থিতি, বিশেষ করে রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা নিষেধাজ্ঞার ফলে সব কিছুর দাম বেড়েছে। পোল্ট্রি ফিডের উপকরণ বিদেশ থেকে আনতে অনেক প্রতিকূল অবস্থা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এ সবের কারণে খাবারের দাম অনেক বেড়েছে।

অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারায়ন চন্দ্র পাল’র সমভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন যশোর জেলা পরিষদের সদস্য আলহাজ সালেহ আহমেদ মিন্টু, শার্শা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলেয়া ফেরদৌস, প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ বিনয় কৃঞ্চ মন্ডল, খামারি মুরাদ উল-দৌলা, টিপু প্রমুখ।

অনুষ্ঠান শেষে শার্শা উপজেলা প্রাণিসম্পদের আয়োজনে শিশুদের মাঝে পুষ্টিকর খাবার বিতরন করেন শার্শা উপজেলা পরিষেদর চেয়ারম্যান বীর মুক্তিেযাদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু।

রমযানে সরকার মাছ মাংসের দাম নির্ধারণ করে দেবে— সিরাজুল হক মঞ্জু

জাফিরুল ইসলাম : স্মার্ট লাইভস্টক,স্মার্ট বাংলাদেশ’এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলা প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনী-২০২৩ উপলক্ষে একদিনের প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুস্মিতা শাহা এর সভাপতিত্বে ও প্রাণী সম্পদ সম্পসারন কর্মকর্তা ডা,সুলতানা বেগম এর সঞ্চালনায় উপজেলা প্রাণী সম্পদ চত্ত্বরে এ মেলার আয়োজন করা হয়।প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি)এর সহযোগিতায় উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারী হাসপাতালের আয়োজনে প্রদর্শনী মেলায় বিভিন্ন এলাকার খামারী ৫০টি স্টলে তাদের গবাদি প্রদর্শনী করা হয়েছে।গাভী,ছাগল,কবুতর,হাঁস,মুরগি,খরগোশ,ভেড়া,কবুতর,ঘাস চাষ,ঘাস কাটা মেশিন,কৃত্রিম প্রজনন,চিকিৎসা সামগ্রী ও চিকিৎসা নিয়ে প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেন খামারীরা।প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ট খামারীদের মাঝে পূরুষ্কার হিসাবে চেক ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়।

পৌর মেয়র মো:ফারুক হোসেন,উপজেলা কৃষি অফিসার হাফিজ হাসান,ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন,জাহিদুল ইসলাম বাবু মিয়া, আবুল কালাম আজাদ, নাজমুল হুদা তুষার, সমাজসেবা কর্মকর্তা শিউলী রানী, প্যানেল মেয়র সিদ্দিকুর রহমান, হরিণাকুণ্ডু প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত সালাম, সহ-সভাপতি ইনদাদুল হক বিশ্বাস, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা: উজ্জ্বল কুন্ডু।

 

উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ উজ্জ্বল কুন্ডু বলেন, প্রাণিসম্পদ মেলার মাধ্যমে এই উপজেলার পশু পালন ও খামারির সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। বিভিন্ন ধরনের পশু পাখি দিয়ে আমরা এই মেলা আয়োজন করা হয়। আর এই মেলার মাধ্যমে দেশের প্রাণি উৎপাদন বৃদ্ধি করা।বেকার যুবকদের উদ্দেশ্য তিনি আরও বলেন,তোমদের চাকরির পেছনে না ঘুরে উদ্যোক্তা হতে হবে। খামার গড়ে তুলতে হবে।তাহলে নিজের পাশাপাশি দেশের সফলতা আসবে।

ঝিনাইদহে দিনব্যাপী প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি সরকার আমলে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, গ্রেনেড হামলা, পাঁচশ জায়গায় একই সঙ্গে বোমা হামলা, ৬৩ জেলায় বোমা হামলা, দুর্নীতিতে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন। তারা মানুষকে কিছু দেয়নি, মানুষের অর্থ লুট করে বিদেশে নিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এই ব্যাপারে সবাই সতর্ক থাকবেন। নিজেদের সন্তান যেন মাদক, জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হয়।

শনিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ার টিটি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জনসভা মঞ্চে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেকেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির তুলনা করেন। কেউ কেউ বলেন বড় দুই দল। কিন্তু আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির তুলনা হয় কীভাবে?

তিনি বলেছেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি পেয়েছিল ৩০ আসন, তিন‘শ আসনের মধ্যে। আর আওয়ামী লীগ মহাজোট করেছিল। বিএনপির ছিল ২০ দলীয় জোট। বিএনপি পেল ৩০ আসন। বাকি সব আসন পেয়েছে আওয়ামী লীগ। তাহলে দুই দল সমপর্যায়ের হয় কীভাবে?

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি এমন একটি রাজনৈতিক দল, তারা নিজেরাই দলের গঠনতন্ত্র মানে না। বিএনপির সাজাপ্রাপ্ত কোনো আসামি দলের নেতৃত্বে আসতে পারবে না। খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক দুই জনই সাজাপ্রাপ্ত। অথচ তারাই সেই দলের নেতা। সুতরাং সেই দলের সঙ্গে আওয়ামী লীগের তুলনা চলে না। যারা তুলনা করে ভুল করেন। আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দল গঠন হয়েছে আওয়ামী লীগ। আর জিয়া অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছে। বিএনপি মানুষকে আগুন দিয়ে পোড়ায়। তারা সন্ত্রাস করে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাদের তুলনা হয় না।

তিনি বলেন, কথা দিয়েছিলাম ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেব, সব ঘর আলোকিত করেছি। তবে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। বিশ্বব্যাপী সংকট চলছে। আমরা বিদ্যুতে অর্ধেকের বেশি ভর্তুকি দিচ্ছি। আগে ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জে আসতে সময় লাগত ২২ ঘণ্টা। আর আজ সকালে তিনি ঢাকা থেকে রওয়ানা দিয়ে মাত্র আড়াই ঘণ্টায় পৌঁছে গেছেন। এটা সম্ভব হয়েছে পদ্মা সেতুর কল্যাণে। বাংলাদেশের মানুষ আত্মমর্যাদা নিয়েই চলে। কেউ অপবাদ দিলে মানবো না।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে অনেক অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল, সেটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম। কারণ দুর্নীতি করে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করতে আসিনি। জনগণের ভাগ্য গড়তে এসেছি। তাই কেউ যখন মিথ্যা অপবাদ দেয়। সে অপবাদ নিতে আমি রাজি না।

তিনি আরও বলেন, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক অপবাদ নিতে চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তারা সফল হয়নি। আমরা নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি বলেই আজ এত দ্রুত কোটালিপাড়া, গোপালগঞ্জ ও টুঙ্গিপাড়া এবং দক্ষিণ অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পেরেছি।

ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কথা তুলে শেখ হাসিনা বলেন, মহামারির কারণে অনেক সমস্যা দেখা দিয়েছে। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। শত সমস্যার মধ্যেও আমরা দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রেখে যাচ্ছি।

এর আগে জনসভা মাঠ থেকে গোপালগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার ৪৮টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে ৪৩টি নবনির্মিত উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন ও পাঁচটি উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।

 

 

 

বিএনপি মানুষের অর্থ লুট করে বিদেশে নিয়ে গেছে : প্রধানমন্ত্রী