24 Feb 2025, 07:29 am

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সংবিধান পরিবর্তন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার কোনোভাবেই সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ীই হবে। সংবিধানে অন্যপথ থাকলে বিএনপি তা খুঁজে বের করুক। ক্ষমতার পরিবর্তন চাইলে নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিকল্প নেই।

রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্বর্ণযুগ’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

কাদের বলেন, বিএনপির ৫০ লাখ নেতাকর্মীর নামে মামলার দাবি অযৌক্তিক, বানোয়াট ও মিথ্যা। এগুলো বিএনপির মিথ্যাচারের গল্প। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে নির্যাতন করেছে, মামলা দিয়েছে। মায়ের জানাজা এমনকি ঈদের নামাজে অংশ নিতে পারেনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। নির্বাচনের আগে ৫০০ স্কুল পুড়িয়েছে, ভূমি অফিসে আগুন দিয়েছে, মানুষ পুড়িয়েছে। কী বীভৎস দিন! কত নিষ্ঠুর বিএনপি! মির্জা ফখরুল এখন খুন ও মাদকের মামলার আসামির পক্ষে বিবৃতি দেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের পাহারাদার আছে, থাকবে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জীবনের নাম শেখ হাসিনা। ২০ বার তাকে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে তিনি জীবনের জয়গান করেন। শেখ হাসিনা পরবর্তী নির্বাচন নয়, পরবর্তী প্রজন্ম নিয়ে ভাবেন। পরবর্তী প্রজন্মের উন্নয়ন সাধনই তার চূড়ান্ত লক্ষ্য।

তিনি বলেন, ১৪ বছরে বাংলাদেশ বদলে গেছে। বাংলাদেশের এই স্বাপ্নিক উন্নয়নের রূপকার হচ্ছেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা বাধা উপেক্ষা করে দেশে ফিরে এসেছিলেন বলেই গণতন্ত্র শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছে। যুদ্ধাপরাধী, বঙ্গবন্ধু হত্যাকারী ও জেলহত্যার বিচার হয়েছে। দেশে প্রথম আইনগতভাবে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্রমেই গণতন্ত্র ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে ত্রুটিমুক্ত করছে।

‘আর বিএনপি গণতন্ত্রের নবজাতককে গলাটিপে মেরে ফেলেছে। দেশে ভোট জালিয়াতি, রাষ্ট্রপতি নিয়ে হ্যাঁ-না ভোট, দলীয় লোক আজিজকে নির্বাচন কমিশনের প্রধান বানানো, মাগুরা মার্কা নির্বাচন, ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার বানিয়েছিল বিএনপি। যার জন্য ওয়ান ইলেভেন সৃষ্টি হয়েছিল। বিএনপির ঘরেই গণতন্ত্র নেই, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে কীভাবে?

বইয়ের লেখক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্হায়ী কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ রওশন আরা মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য মেরিনা জাহান, গাজী মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ, জাকিয়া তাবাসসুম, গ্রন্থের সম্পাদক সাংবাদিক ফিরোজ আলম খানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলসহ শেখ হাসিনা সরকারের তিন মেয়াদের উল্লেখযোগ্য কর্মকাণ্ড নিয়ে ‘শেখ হাসিনার স্বর্ণযুগ’ বইটি রচিত।

 

সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন ; বিকল্প থাকলে বিএনপি খুঁজে বের করুক : ওবায়দুল কাদের

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে পরীক্ষা ও প্রেজেন্টেশন চলাকালে প্রত্যেক ছাত্রীর কানসহ মুখ খোলা রাখার নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। আজ রোববার ভুক্তভোগী তিন শিক্ষার্থীর পক্ষে আইনজীবী মোহা: ফয়জুল্লাহ ফয়েজ এ রিট দায়ের করেন। ঢাবি ভিসি, বাংলা বিভাগের প্রধানসহ সংশ্লিষ্টদের রিট আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে।

আইনজীবী ফয়জুল্লাহ ফয়েজ গণমাধ্যমকে বলেন, বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে চলতি সপ্তায় রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে। উল্লেখ্য, গত ১১ ডিসেম্বর বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. আজিজুল হক স্বাক্ষরিত নোটিশে জানানো হয়েছে: ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী বাংলা বিভাগের প্রতি ব্যাচের সংযোগ ক্লাস (টিউটোরিয়াল প্রেজেন্টেশন), মিডটার্ম পরীক্ষা, চূড়ান্ত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীকে পরিচয় শনাক্ত করার জন্য কানসহ মুখমণ্ডল পরীক্ষা চলাকালীন দৃশ্যমান রাখতে হবে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত বাংলা বিভাগের একাডেমিক কমিটি সর্বসম্মতভাবে ওই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ সিদ্ধান্তের কথা ইতোমধ্যে শিক্ষকদের মাধ্যমে প্রতিটি ক্লাসের  শিক্ষার্থীদের অবহিত করা হয়েছে।

এদিকে নোটিশের ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিশেষ করে ছাত্রীদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। নোটিশের ভাষ্যমতে ‘লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কোনো কোনো শিক্ষার্থী এই সিদ্ধান্ত পালনে শৈথিল্য দেখাচ্ছে’। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত বাংলা বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে পরীক্ষা চলাকালে ছাত্রীদের মুখ-কান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে নোটিশে জানানো হয়েছে।

গৃহীত সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে যারা পালন করবে না তাদের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

ঢাবি’র পরীক্ষায় ছাত্রীদের মুখ খোলা রাখার নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট