25 Feb 2025, 08:03 pm

অর্থনীতিতে ফিশারিজ ডিপার্টমেন্টের অবদানের সুযোগ রয়েছে : সিভাসু উপাচার্য 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বশির আলমামুন, চট্টগ্রাম : ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইসেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান বলেছেন, ভৌগোলিক আর্থসামাজিক বা দেশের যেকোন প্রেক্ষপটে ফিশারিজ ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীদের কাজ করার ক্ষেত্র আছে। এ ডিপার্টমেন্টের দেশের অর্থনীতিতে অবদানের সুযোগ রয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারী)  চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের এক যুগপূর্তি, ৮ম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপ ফিডব্যাক এবং ডিন’স অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ উপলক্ষে এদিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।

শোভাযাত্রা শেষে সিভাসু অডিটরিয়ামে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. শেখ আহমাদ আল নাহিদের সভাপতিত্বে কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ কামাল, ফুড সাইন্স ডিপার্টমেন্টের ডিন ড. ফেরদৌসী আকতার, সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তর, চট্টগ্রামের পরিচালক মোঃ আবদুস ছাত্তার, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুর রহমান, মেরিডিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান কোহিনুর কামাল, নিরিবিলি গ্রুপের পরিচালক সালেহিন রহমান মুহিয়ান, এসিআই লিমিটেডের হেড অব বিজনেস(এসিআই এনিমেল হেলথ্) ডা. মোহাম্মদ আমজাদ বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।

সিভাসু উপাচার্য বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ডিপার্টমেন্ট সুপার টেকনিক্যাল। এখানে হাতে কলমে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। কারও হাতে-কলমে শিক্ষায় দুর্বলতা থাকলে, সে টেকনিক্যাল জ্ঞান অর্জনে পিছিয়ে পড়বে। সেজন্য এ বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের প্র্যাক্টিক্যাল জ্ঞান অর্জনের জন্য ইন্টার্নশিপের আয়োজন করে থাকে।

তিনি বলেন, ব্লু-ইকোনমির সবোর্চ্চ যে সুবিধা আমাদের পাওয়ার কথা তা আমরা এখনো অর্জন করতে পারিনি। ব্লু-ইকোনমি সুবিধা নিশ্চিত করতে পারলে এ ফিশারিজ ডিপার্টমেন্ট তাদের জ্ঞান-বিজ্ঞানে আরো এগিয়ে যেতে পারত। মানুষের শরীরে প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে মাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফিশারিজ একাডেমির শিক্ষার্থীরা তাদের অর্জিত জ্ঞান ব্যবহার করে ১৯ কোটি মানুষের প্রোটিনের অভাব পূরণে যথেষ্ট ভ‚মিকা রাখতে পারে।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে উপাচার্য বলেন, তোমরা হলে নতুন জেনারেশন। তোমাদের রয়েছে অফুরন্ত মানসিক শক্তি। প্রযুক্তি নির্ভর আগামী বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে তোমাদেরকেও প্রযুক্তির ব্যবহারে দক্ষ হতে হবে। এ ডিপার্টমেন্টে পড়ালেখা করে নতুন নতুন মাছের প্রজাতি, চাষ পদ্ধতি এবং উদ্ভাবনী বিষয়ে জোর দিতে হবে। অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী ও সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে হলে নিজেদেরকে পরিবর্তনশীল বিশে^র সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।###

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *