অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সম্প্রতি শামীমা বেগম একটি জনপ্রিয় নাম। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইএস এ যোগ দিতে সিরিয়া পাড়ি দিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। পরবর্তীতে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল হওয়া এই তরুণী বেশ কয়েকদিন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন। এবার সেই শামীমাকে নিয়ে ডকুমেন্টারি বানিয়ে ক্ষোভের মুখে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। খবর ইন্ডিয়া টুডের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এমনকি এ ঘটনায় খোদ ব্রিটেনে বিবিসিকে ‘বয়কট’ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। ২০১৫ সালে জঙ্গি সংগঠন আইএসে যোগদানকারী শামীমা বেগম পরে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসেন। বিবিসি তার জীবন নিয়ে ৯০ মিনিটের একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছে।
সেই তথ্যচিত্রে শামীমার জীবনের নানা উত্থান-পতন তুলে ধরা হয়েছে। শামীমার জীবন অবশ্য কম চিত্তাকর্ষক নয়। ২০১৫ সালে তিনি ব্রিটেন ছেড়ে দুই বন্ধুর সঙ্গে সিরিয়া পাড়ি দেন। তখন তার বয়স ১৫ বছর। দুই বন্ধু খাদিজা সুলতানা ও আমিরা আব্বাসি।
তখন খাদিজার বয়স ছিল ১৬ বছর, আমিরার বয়স ছিল ১৫ বছর। তারা আইএসে যোগ দেয়। জঙ্গি শিবিরে পৌঁছে আইএসের শীর্ষ কর্মকর্তাকে বিয়ে করেন শামীমা। এ কারণে জঙ্গি শিবিরে তিনি ‘জিহাদির স্ত্রী’ হিসেবে পরিচিতি পান। কিন্তু তিন বছরের মধ্যেই মোহভঙ্গ হন শামীমা।
২০১৯ সালে তিনি আবার ব্রিটিশ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু ব্রিটিশ প্রশাসন জাতীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে তার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে। এরপর থেকে শামীমা উত্তর সিরিয়ার এক কোণ থেকে নাগরিকত্বের জন্য লড়ছেন।
এর আগে বিবিসি শামীমাকে নিয়ে ১০টি পর্বের একটি সিরিজ তৈরি করেছিল। অভিযোগ, সেই ধারাবাহিকে তার জীবন সংগ্রামকে ‘সহানুভূতি’র সঙ্গে দেখানো হয়েছিল। কিন্তু ব্রিটিশ নাগরিকদের একটা অংশ আছে যারা শামীমার প্রতি সহানুভূতি জানাতে নারাজ।
তারা সরাসরি বিবিসিকে লক্ষ্য করে বলেছে, এভাবে চলতে থাকলে তারা বিবিসিতে তাদের সাবস্ক্রিপশন রিনিউ করবে না। একজন ‘জঙ্গি’কে কেন ‘ভিকটিম’ হিসেবে দেখানো হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা। তাদের কেউ কেউ দাবি করেছেন, অনেক সাক্ষাৎকারে শামীমাকে চরমপন্থার পক্ষে অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
কিছুদিন আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর একটি তথ্যচিত্র তৈরি করে বিতর্কের মুখে পড়ে বিবিসি। গুজরাট দাঙ্গায় মোদির ভূমিকা তুলে ধরার দাবি সত্ত্বেও, ব্রিটিশ মিডিয়া ভারতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিল। ভারতের সুপ্রিম কোর্টেও একটি মামলা হয়েছিল। এবার নিজেদের দেশেই ক্ষোভের মুখে পড়ল বিবিসি।
Leave a Reply