অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে। স্থলবন্দরে আধুনিকায়নের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। ২০২৩ সালের ৩০ জুনে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও মে মাসের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কতৃপক্ষ। ইতোমধ্যে বাউন্ডারির কাজ শেষে অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজও ৭৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।
বাল্লা স্থলবন্দর আধুনিক প্রকল্পের সচিব আমিনুল ইসলাম জানান, দ্রুত গতিতে বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলেছে। একই সঙ্গে শেড, ব্যারাক, ইমিগ্রেশন, আবাসিক এলাকা এবং ইয়ার্ড এর কাজ চলছে। ৩০ জুন মেয়াদ হলেও মে মাসের মধ্যেই কাজ শেষ হবে। তারপর সেখানে কার্যক্রম শুরু করা যাবে।
বাল্লা স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম জানান, ব্যবসায়ীরা অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছেন বন্দরের কাজ চালু হওয়ার। বর্তমান স্থান দিয়ে আমদানি-রপ্তানিতে ব্যয় বেশী হওয়ায় ব্যবসায়ীরা লাভবান হতে পারছেন না। তারপরও নদীতে নৌকা দিয়ে মালামাল আনা নেয়া হচ্ছে।
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের খোয়াই জেলার সাংবাদিক আশিষ চক্রবর্তী জানান, বন্দরটি চালু হলে শুধু পণ্য আনা নেয়ার কাজই হবে না। এই বন্দর দিয়ে প্রচুর লোকজন আসা যাওয়া করবেন। ফলে উভয় দেশের জনগন উপকৃত হবেন।
এদিকে বিভিন্ন সময় বাল্লা স্থলবন্দর এলাকায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলী এমপি ঘোষণা দেন- বন্দরের আধুনিকায়ণ কাজ শেষে বন্ধ হয়ে যাওয়া শায়েস্তাগঞ্জ-বাল্লা রেল যোগাযোগ পুণরায় চালু করা হবে। পাশাপাশি চুনারুঘাট থেকে বাল্লা স্থলবন্দর পর্যন্ত সড়ক প্রশস্ত ও উন্নত করার কাজ করবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
এই বন্দরকে কেন্দ্র করে চুনারুঘাট উপজেলা অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করছেন চুনারুঘাট উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ।
প্রসঙ্গত, বাল্লা দেশের ২৩ তম স্থলবন্দর। ২০১৬ সালে সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী এম শাহজাহান খান এ বন্দরের ঘোষণা করেন।
উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের কেদারাকোর্ট এলাকায় প্রায় ১৩ একর জমির উপর এ বন্দরের জমি অধিগ্রহণ শেষে অবকাঠামো তৈরীর কাজ চলছে।
Leave a Reply