অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : দক্ষিণ কোরিয়া ও ইরাকে অবৈধভাবে আটক ইরানের ১০ বিলিয়ন ডলার অর্থ সফলভাবে দেশে আনার ব্যবস্থা করতে পেরেছে তেহরান।
ওই দুই দেশে ইরানের জ্বালানি বিক্রি বাবদ এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ইরানের পাওনা হয়েছিল কিন্তু তেহরানের ওপর আমেরিকার অবৈধ নিষেধাজ্ঞার অজুহাতে সিউল ও বাগদাদ ওই অর্থ পরিশোধে গড়িমসি করছিল।
ইরানের বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে এক বন্দি বিনিময় চুক্তি অনুযায়ী ইরানি অর্থ দেশে ফেরত আনার ব্যবস্থা হয়েছে। ওই চুক্তিতে বলা হয়েছে, ইরানে আটক কয়েকজন মার্কিন নাগরিকের মুক্তির বিনিময়ে আমেরিকায় আটক কয়েকজন ইরানি নাগরিক মুক্তি পাবেন। সেইসঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়া ও ইরাকে আটকে পড়া অর্থ ইরানে ফেরত আসবে।
চুক্তি অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়ায় আটকে পড়া ৬ বিলিয়ন ডলার অর্থের পাশাপাশি ইরাকের একটি ব্যাংকে আটক কয়েক বিলিয়ন ডলার অর্থ ইরানের নিয়ন্ত্রণে আসবে। দক্ষিণ কোরিয়ায় আটক ৬ বিলিয়ন ডলার অর্থ এরইমধ্যে সুইজারল্যান্ডের একটি ব্যাংকে জমা হয়েছে এবং অচিরেই এই অর্থ কাতারের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে স্থানান্তরিত হবে। সেখান থেকে ইরান তার পাওনা অর্থ খরচ করতে পারবে।
এদিকে ইরানে আটক পাঁচ মার্কিন নাগরিককে এরইমধ্যে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে গৃহবন্দি অবস্থায় রাখা হয়েছে এবং তারা ভিডিও কলে আমেরিকায় তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে চুক্তি অনুযায়ী, ইরানের পাওনা অর্থ পুরোপুরি তেহরানের নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত এসব মার্কিন বন্দি ইরান ত্যাগ করতে পারবেন না।