অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত সমস্ত সনদ এবং চুক্তি বাতিল করার কাছাকাছি পর্যায়ে রয়েছে রাশিয়া।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গতকাল (মঙ্গলবার) দেশটির সংসদ সদস্যদেরকে একটি নতুন আইন পাস করার আহ্বান জানিয়েছেন যার মাধ্যমে দেশটি ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের সঙ্গে সই হওয়া ২১টি সনদ ও চুক্তি বাতিল করতে পারে। গত মার্চ মাসে মস্কো মানবাধিকার বিষয়ক এ সংস্থা থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেয়। সে সময় রাশিয়া বলেছিল, এ সংস্থা আমেরিকা এবং পশ্চিমা মিত্রদের রাজনৈতিক লক্ষ্য পূরণের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে।
পুতিন আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপিয়ান কাউন্সিল থেকে বেরিয়ে আসার জন্য একটি বিল সংসদের নিম্ন কক্ষের স্পিকার ভাইয়াচেস্লাভ ভলোদিনের কাছে উপস্থাপন করেছেন। ১৯৯৫ সালের একটি ফেডারেল ল’ অনুসারে তিনি এই বিল উপস্থাপন করেন।
পশ্চিম ইউরোপের কয়েকটি দেশের উদ্যোগে ১৯৪৯ সালে কাউন্সিল অব ইউরোপ প্রতিষ্ঠা হয় এবং এর লক্ষ্য ছিল গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করা। ১৯৯৬ সালে রাশিয়া এই সংস্থায় যোগ দেয় এবং ১৯৯৮ সালে মানবাধিকার বিষয়ক কনভেনশন অনুমোদন করে। কিন্তু ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এই সংস্থার ৪৭ সদস্যের মধ্যে ৪২টি সদস্য দেশ রাশিয়ার সদস্য পদ স্থগিত করার পক্ষে ভোট দেয়। ইউক্রেন রাশিয়ার সামরিক অভিযানের বিষয়টি উল্লেখ করে পশ্চিমা দেশগুলো এই ব্যবস্থা নেয়।
রাশিয়া একে প্রকাশ্য রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বলে সমালোচনা করে এবং মার্চ মাসের ১৫ তারিখে এই সংস্থা থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেয়। পরে কাউন্সিল অব ইউরোপের পার্লামেন্টারি অ্যাসেম্বলি একটি প্রস্তাব পাস করে যাতে রাশিয়ার বর্তমান সরকারকে ‘সন্ত্রাসী সরকার’ ঘোষণা করা হয়।
Leave a Reply