অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব.) আহসান হাবিব খান বলেছেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর আমরা প্রায় ৭০০ নির্বাচন সম্পন্ন করেছি। এর মধ্যে ছয় শতাধিক নির্বাচনে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করেছি। ইভিএম হচ্ছে স্বচ্ছতার প্রতীক। ইভিএম দিয়ে কেউ কোনো কিছু করতে পারে না। ইভিএম দিয়ে আমরা সঠিকভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করেছি।
মঙ্গলবার (৯ মে) বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে প্রস্তুতিমূলক সভা শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
আহসান হাবিব খান বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত ইভিএম খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করেছি। ইভিএমে ভোট হওয়ায় ভোটারকে কেন্দ্রে যেতেই হবে। আঙুলের ছাপ মেলাতে হবে। তারপরও ইভিএম নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা কী কারণে আমি নিজেও বুঝি না। ইভিএম নিয়ে কারিগরি যত বিশেষজ্ঞ রয়েছেন তারা সকলেই ইভিএম খুলে দেখেছেন। তারপরও ইভিএম নিয়ে সন্দেহ কেন থাকবে তা আমার বোধগম্য নয়।
তিনি আরও বলেন, ইভিএম দিয়ে কোনো ধরণের কারচুপি করা সম্ভব নয়। আমরা যে ৬০০ নির্বাচন ইভিএমে সম্পন্ন করেছি তাতে কোনো প্রার্থী বা ভোটার কেউ বলেনি ইভিএম ভুল করেছে। এর বিরুদ্ধে কারও অভিযোগ নেই। ব্যালটে কিন্তু একজন অনেক ভোট দিতে পারেন। ব্যালট বাক্স লুট হলে সব লুট হয়ে যায়। ইভিএমে কিন্তু তা সম্ভব না।
নির্বাচনে গণমাধ্যমের অবাধ বিচরণ নিশ্চিতের আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনে গণমাধ্যমকর্মীদের অবাধ বিরচরণ আমরা নিশ্চিত করবো। তবে সাংবাদিকদের একটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে, ভোট কক্ষে ভোট চলমান অবস্থায় যদি লাইভ করেন বা কারো ইন্টারভিউ নিতে যান সেটি কি শোভনীয়? আপনা ওখানকার ফুটেজ নিয়ে যান। ভোট কক্ষের বাইরে গিয়ে আপনি লাইভ বা ইন্টারভিউ করেন। তাতে কোনো সমস্যা নেই। শুধু ভোট কক্ষের মধ্যে করা সমীচীন নয়।
তিনি বলেন, একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে হলে যা যা করা দরকার তা বরিশালের সকল কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। উপরে হচ্ছে আল্লাহ-ঈমান আর নিচে হচ্ছে আমাদের বিবেক, সেই অনুসারে আমরা কাজ করবো। আমি ঘোষণা দিচ্ছি, এখানকার বা আমাদের কোনো কর্মকর্তা যদি পক্ষপাতিত্ব করেন তাহলে আমাকে জানাবেন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল ব্যবহার না করার প্রজ্ঞাপনের প্রশ্নে বলেন, মোটরসাইকেল যেন রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা না যায়, সাংবাদিকরা চলাচল করবেন সবই ঠিক আছে। কিন্তু কোনো ধরণের গুন্ডা-পাণ্ডার ব্যবহার—ওই জায়গা থেকে বের হওয়ার ফুলস্টপটি খোঁজার চেষ্টা করছি। সাংবাদিকরা যেন সহজ যানবাহনে মুভমেন্ট করতে পারে এজন্য সুন্দর একটি সমাধানে আসবো।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) খোন্দকার আনোয়ার হোসেন। জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম, কর্ণেল (জিএস, ডিজিএফআই) এস এম আরিফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পরিচালক (এনএসআই) আশরাফুল কবির, র্যাব-৮ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহমুদুল হাসানসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ।
Leave a Reply