অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বিশ্বের বুকে অন্যতম প্রাচীন ও রহস্যময় ভূগর্ভস্থ শহর নুশাবাদ। এটি ইরানের ইস্ফাহান প্রদেশের আরান-বিদগোল কাউন্টির কেন্দ্রীয় জেলায় অবস্থিত। তিনতলাবিশিষ্ট টানেল, চেম্বার, বায়ুনালী, সিঁড়ি এবং খালের সমন্বয়ে গঠিত শহর প্রাচীন স্থাপত্য ও প্রকৌশলের একটি বিস্ময়কর সৃষ্টি হিসেবে বিবেচিত।
দেড় হাজার বছরের পুরোনো শহরটি এক দশক আগেও সম্পূর্ণ অজানা ছিল। স্থানীয় এক বাসিন্দা নিজের বাড়িতে কূপ খুঁড়তে গিয়ে একটি টানেলের সন্ধান পান। সেই সূত্র ধরেই বেরিয়ে আসে বিশাল ভূগর্ভস্থ শহরটি।
প্রবেশ পথ
মাটির নিচের শহরটি তিন থেকে ১৮ মিটারের মতো গভীর। মানুষের তৈরি ভূগর্ভস্থ শহরটি সাসানি যুগে (২২৪ থেকে ৬৫১ সাল) নির্মাণ করা হয়। এটি ‘কুয়ি’ নামে পরিচিত।
শহরটির বাসিন্দারা মাটির নিচে লুকানোর জন্য স্বতন্ত্র চেম্বার খনন করেন। মূলত বিদেশি আক্রমণকারীদের হাত থেকে নারী, শিশু ও বয়স্কদের বাঁচাতে চেম্বারগুলো তৈরি করা হয়।
পরবর্তীতে স্বতন্ত্র চেম্বারগুলোতে বায়ুনালী, পানির পাইপ, গুদাম ঘর ও টয়লেট নির্মাণ করা হয়। এভাবেই একটি টেকসই ভূগর্ভস্থ শহর গড়ে তোলা হয়। যেখানে প্রাচীন পারস্যবাসী যুদ্ধের সময় আশ্রয় নিতো। প্রতিটি পরিবারের এতে নিজ নিজ কক্ষ ছিল। এসব কক্ষের নিচ দিয়ে ছিল সুড়ঙ্গ।
এছাড়াও নুশাবাদ ভূগর্ভস্থ শহরকে মরুভূমির গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রা থেকে বাঁচতে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হতো। ১৯২০ সালে শহরটি পরিত্যক্ত হয়। বর্তমানে অন্যতম প্রধান আকর্ষণীয় পর্যটন গন্তব্য এটি। ২০০৬ সালে নুশাবাদ শহর ইরানের জাতীয় ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান লাভ করে।
https://media.parstoday.ir/video/4c3l86b07aa6252akw5.mp4
Leave a Reply