ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনেয়ী
অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী আজ (মঙ্গলবার) বলেছেন, দখলদার ইসরাইলের অপরাধযজ্ঞ অব্যাহত থাকলে প্রতিরোধ সংগ্রামী তথা মুসলমানদেরকে কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না।
তিনি বলেন, কিছু প্রতিরোধ সংগঠনকে থামাতে যারা ইরানের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে এ বিষয়টি তাদের জেনে রাখা উচিত এবং তাদের এ ধরণের আশা করা উচিত নয়।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেছেন: মুসলিম জাতি এমনকি অমুসলিম বিশ্বের জনগণও কুদস দখলদার ইহুদিবাদী সরকারের চলমান যুদ্ধাপরাধের ব্যাপারে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। তাদের এই নৃশংস পাশবিকতা চলতে থাকলে বিশ্বের মুসলমান এবং প্রতিরোধ শক্তিগুলোর ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাবে। তখন কেউ তাদের থামাতে পারবে না বলে আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী মন্তব্য করেন।
তিনি আজ (মঙ্গলবার) ইরানের শিক্ষাঙ্গনের একদল শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্ব, জ্ঞানী-গুণী ও বুদ্ধিজীবীদের দেওয়া সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। ইমাম খোমেনী (রহ) হুসাইনিয়াতে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে তিনি বলেন: অনতিবিলম্বে গাজায় ফিলিস্তিনী জনগণের ওপর নির্বিচার বংশ নিধনযজ্ঞ বন্ধের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ফিলিস্তিনে চলমান পরিস্থিতিকে বিশ্ববাসীর চোখের সামনে সুস্পষ্টভাবে ‘বংশ নিধন অভিযান’ বলে উল্লেখ করেন সর্বোচ্চ নেতা। ইহুদিবাদী ইসরাইলের ওই অভিযানের পেছনে মার্কিন ভূমিকার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন: ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কর্মকর্তাদের আলাপ হয়। আলাপ হলেই তারা একটি বিষয়ে আপত্তি তোলে: কেন ফিলিস্তিনিরা বেসামরিক লোকজনকে হত্যা করলো? আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী এই বক্তব্যকে সত্যের খেলাপ বলে মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন: ইহুদি উপশহরবাসীরা কেউ নিরস্ত্র কিংবা বেসামরিক নয়। যদি ধরেও নিই যে তারা বেসামরিক, তবু তিনি প্রশ্ন রাখেন-তাদের কতজন নিহত হয়েছে? আর এ কয়দিনে কতজন ফিলিস্তিনী শহীদ হয়েছেন? তারা কয়েক হাজার নারী, পুরুষ, বৃদ্ধ এবং নিরীহ মানুষ হত্যা করেছে তারা। তারা বিশ্ববাসীর চোখের সামনে ফিলিস্তিনীদের জনবহুল স্থাপনা ও আবাসিক ভবনগুলোতে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে ইহুদিবাদী ইসরাইলের এইসব অপরাধযজ্ঞের পেছনে আমেরিকার মদদের কথা উল্লেখ করেন।
সর্বোপরি তিনি বলেন: ইসরাইল যা-ই করুক না কেন আল-আকসা তুফান অভিযানে তাদের লজ্জাজনক ব্যর্থতা কিছুতেই ঢাকতে পারবে না।
Leave a Reply