অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইহুদিবাদী ইসরাইলি কারাগারে বিনা বিচারে আটক ফিলিস্তিনি বন্দি খাদির আদনানের মৃত্যুকে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ বলে মন্তব্য করেছে ইরান। তেহরান বলেছে, একজন অনশনরত বন্দির সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করা হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সমাজ নীরব থাকলে দখলদার সরকার আরো বেপরোয়া হয়ে উঠবে।
একটি ইসরাইলি কারাগারে আটক ফিলিস্তিনের ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের সিনিয়র নেতা খাদির আদনান ৮৭ দিন অনশন করার পর সোমবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন। তিনি মারা যেতে পারেন বলে মানবাধিকার কর্মীরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করার পরও তেল আবিব তাকে বাঁচানোর উদ্যোগ নেয়নি। ইসরাইলি কারাগারে কার্যত একটি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে এবং এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তেহরান।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি মঙ্গলবার তেহরানে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইসরাইল সরকার যে অমানবিক কায়দায় একজন অনশনরত ফিলিস্তিনির সঙ্গে আচরণ করেছে তা তেল আবিবের মানবতাবিরোধী অপরাধের স্বরূপ উন্মোচন করে দিয়েছে। বিগত সাত দশক ধরে ফিলিস্তিনি জনগণ ও প্রতিরোধ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে এই আচরণ করে আসছে ইহুদিবাদী ইসরাইল।
ইরানের এই মুখপাত্র বলেন, ইসরাইলি কারাগারে এক ফিলিস্তিনি বন্দির শাহাদাত প্রমাণ করে, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনকারীরা সঠিক পথে রয়েছে এবং তাদের ওপর চরম নির্যাতন চালাচ্ছে তেল আবিব।
খাদির আদনানকে গত ৫ ফেব্রুয়ারি অন্যায়ভাবে ধরে নিয়ে যায় ইসরাইলি সেনারা। তিনি নিজের বন্দিদশাকে অবৈধ ঘোষণা করে তাৎক্ষণিকভাবে অনশন ধর্মঘট শুরু করেন। তার শারীরিক অবস্থার শোচনীয় অবনতি হওয়া সত্ত্বেও তাকে মুক্তি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল তেল আবিব। গত ২০ বছরে মোট ১২ বার আদনানকে আটক করে ইহুদিবাদী ইসরাইল। এ সময়ে মোট আট বছর ইসরাইলি কারাগারে আটক ছিলেন খাদির আদনান।