অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইয়েমেনের বিভিন্ন অঞ্চলে বারবার মার্কিন সামরিক আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের অব্যাহত গণহত্যা এবং লেবানন ও সিরিয়ার বিরুদ্ধে হামলা বৃদ্ধির একই সময়ে ইয়েমেনে একের পর এক মার্কিন হামলা থেকে এটাই প্রমাণ হয় যে, ইসরাইলের অপতৎপরতায় আমেরিকা জড়িত। একই সঙ্গে দখলদার ইসরাইল আমেরিকার সবুজ সংকেতে এই অঞ্চলে অনিরাপত্তা এবং অস্থিতিশীলতা ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করে যাচ্ছে।
গতকাল (শনিবার) ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি জাতিসংঘ মহাসচিবের ইয়েমেন বিষয়ক বিশেষ দূত হান্স গ্রুন্ডবার্গের সাথে দেখা করেছেন। জাতিসংঘের এই দূত ইরানি কর্মকর্তাদের সাথে পরামর্শ করার জন্য তেহরান সফরে এসেছেন। তিনি ইয়েমেনি জনগণ এবং এই অঞ্চল সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবাস্তব নীতি ও দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, “মার্কিন নীতিনির্ধারকদের বুঝতে হবে যে, এই অঞ্চলে অনিরাপত্তার মূল কারণ হলো অধিকৃত ফিলিস্তিনে অব্যাহত দখলদারিত্ব এবং গণহত্যা। তিনি আরও বলেন, আমেরিকা ইয়েমেনে আক্রমণ চালিয়ে এবং নিরীহ ইয়েমেনি জনগণকে হত্যা করে এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের দাবি করতে পারে না। ইয়েমেনি জনগণ কোনো অপরাধ করেনি, কেবল নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি এবং সমর্থন প্রকাশ করার কারণে তাদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে।”
পার্সটুডের তথ্য বলছে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাকচি আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদ লঙ্ঘন করে আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইল যেসব অন্যায় তৎপরতা চালাচ্ছে তা বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। তিনি এ বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষ্ক্রিয়তারও সমালোচনা করেন।
এই সাক্ষাতে গ্রুন্ডবার্গ ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নওরোজ ও ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানান এবং ইয়েমেনে শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে জাতিসংঘের ভূমিকা ও প্রচেষ্টার প্রতি ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের অব্যাহত সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
জাতিসংঘ মহাসচিবের ইয়েমেন বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি তার সাম্প্রতিক ব্রাসেলস সফর, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তাদের সাথে তার বৈঠক এবং ইয়েমেন পরিস্থিতির বিষয়ে জাতিসংঘের প্রচেষ্টা সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করেছেন। তিনি বলেন, ইয়েমেনে স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা কেবল ইয়েমেনিদের জন্য নয় বরং সমগ্র অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্যও অত্যন্ত জরুরি এবং জাতিসংঘ এই লক্ষ্য অর্জনে তার সমস্ত সক্ষমতা ব্যবহার করবে।