অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : তুরস্কের সাবেক প্রধানমন্ত্রী আহমেদ দাউদওগ্লু বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল এবং গাজার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মধ্যকার সংঘর্ষ যদি লেবানন, ইয়েমেন এবং ইরান পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে তাহলে তা বৈশ্বিক সংকটে পরিণত হবে। তিনি বর্তমান গাজার ‘অগ্নিকুণ্ডলীতে ঘি’ ঢালার জন্য আমেরিকাকে অভিযুক্ত করেন।
দাউদওগ্লু বলেন, ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধের বিষয়ে জাতিসংঘে তোলা প্রস্তাবগুলোতে আমেরিকা ভেটো দিয়ে প্রকৃতপক্ষে গাজা সংকটকে বাড়িয়ে তুলেছে। রাশিয়া টুডে-কে দেয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন তুরস্কের সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এই সংঘাত শুধুমাত্র গাজা এবং ইসরাইলের মধ্যকার সংঘাত নয় বরং এটি বিশ্বের সমস্ত মুসলমান এবং খ্রিস্টানের সমস্যা। দাউদওগ্লু আরো বলেন, এই সংঘাতের সাথে পূর্ব জেরুজালেম এবং সেখানকার পবিত্র স্থাপনাগুলোর নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিও জড়িত। এসব স্থাপনা মুসলিম এবং খ্রিস্টান দুই সম্প্রদায়ের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ।
তুর্কি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, আল-আকসা মসজিদে কয়েক দফায় ইহুদিবাদী ইসরাইলিরা ঢোকার চেষ্টা করলে এবং মুসলমানদেরকে আল-আকসা মসজিদে বারবার অপমান ও হেনস্তা করার পর হামাস ৭ অক্টোবরের অভিযান চালায়। আল-আকসা মসজিদের ওপর ইসরাইলিদের আগ্রাসন অব্যাহত রয়েছে, তারা কোন কিছুকেই সম্মান করে না।
তুরস্কের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং ফিউচার পার্টির বর্তমান প্রধান আহমেদ দাউদওগ্লু বলেন, “আমি খুবই উদ্বিগ্ন যে, চলমান সংকট আঞ্চলিক যুদ্ধ, এমনকি বৈশ্বিক সংকট সৃষ্টি করতে পারে।”
আহমেদ দাউদওগ্লু পরিষ্কার করে বলেন, যদি জাতিগত নির্মূল অভিযান ও গাজায় গণহত্যা অব্যাহত থাকে তাহলে এই যুদ্ধ লেবানন, ইয়েমেন এবং মধ্যপ্রাচ্যের অন্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং তা এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করবে।
তুরস্কের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলমান উত্তেজনা ইরান এবং ইসরাইলের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে। ইসরাইল প্রসঙ্গে মার্কিন সরকারের অনুসৃত নীতিরও কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।
Leave a Reply