“তাদের বৈশিষ্ট্য হল। তারা রাগকে হযম করে এবং লোকজনের সঙ্গে ক্ষমার নীতি অবলম্বন করে চলে। মহান আলাহর তা’আলা এ ধরনের সৎকর্মশীলদের ভালবাসেন। (সূরা ঃ আল-ইমরান ঃ আয়াত ঃ ১৩৪)
”হে নবী নম্রতা ও ক্ষমাশীলতার নীতি অবলম্বন করুন। ন্যায়সঙ্গত কাজের উপদেশ দান করতে থাকুন এবং মুর্খ লোকদের এড়িয়ে চলুন। (সূরা ঃ আরাফ ঃ আয়াত ঃ ১৩৯)
“ভালো ও মন্দ সমান নয়। তুমি ভালোর দ্বারা মন্দকে প্রতিরোধ কর। অবশেষে তোমার ও অন্যের মধ্যে যে শত্র“তা ছিল তা এমন হয়ে যাবে যেন পরম বন্ধু। আর এমন সফল তারই ভাগ্যে জোটে যে বিশেষ ধৈর্য ও সহনশীল চরিত্রের অধিকারী এবং যে বিরাট সৌভাগ্যশীল।” (সূরা ঃ হা-মীম আইন সোয়াদঃ আয়াত ঃ ৩৪-৩৫)
১. হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়ালাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুলাহ সলালাহু আলাইহি ওয়া সালাম আশাজ্জে কায়েসকে বলেছিলেন, তোমার মাঝে এমন দুইটি গুণ বা অভ্যাস রয়েছে যা, স্বয়ং মহান আলাহ তা’আলাও পছন্দ করেন ও ভালবাসেন। একটি হল ধৈর্ষ ও সহনশীলতা, অপরটি হল ধীরস্থিরতা। (মুসলিম শরীফ)
২. হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রাদিয়ালাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুলাহ সলালাহু আলাইহি ওয়া সালাম ইরশাদ করেছেন, মহান আলাহ তা’আলা নিজে ব্যক্তিগতভাবে কোমল ও মেহেরবান। তাই প্রত্যেকটি কাজে কোমলতা ও সহানুভূতিশীল নীতি পছন্দ করেন। (বোখারী ও মুসলিম শরীফ)
৩. হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রাদিয়ালাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুলাহ সলালাহু আলাইহি ওয়া সালাম ইরশাদ করেছেন, মহান আলাহ তা’আলা নিজেই কোমল ও সহানুভূতিশীল। তিনি কোমলতা ও সহানুভূতিশীলতাকে ভালবাসেন। তিনি কোমলতার মাধ্যমে ঐ জিনিদস দান করেন যা কঠোরতার দ্বারা দেন না। তথা কোমলতা ছাড়া অন্য কিছু দ্বারাই তিন তা দেন না। (মুসলিম শরীফ)
৪. হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রাদিয়ালাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুলাহ সলালাহু আলাইহি ওয়া সালাম ইরশাদ করেছেন, যে জিনিসে কোমলতা থাকে, কোমলতা সেটিকে সৌন্দর্যমন্ডিত করে দেয়। আর জিনিস হতে কোমলতা ছিনিয়ে নেয়া হল সেটাই দোষ ও ত্র“টিযুক্ত হয় না। (মুসলিম শরীফ)
৫. হযরত আবূ হুরায়রা রাদিয়ালাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক গ্রামবাসী মসজিদে প্রস্রাব করে দিল। তখন লোকজন তাকে মারধর করার জন্য উঠে দাঁড়াল, রসুলুলাহ সলালাহু আলাইহি ওয়া সালাম ইরশাদ করলেন, লোকটিকে ছেড়ে দাও। আর তার প্রস্রাবের উপর এক বালতি পানি ঢেলে দাও। কারণ তোমাদেরকে সহজ নীতি অবলম্বন-এর ধারক হিসেবে দুনিয়ায় পাঠানো হয়েছে। কঠোর নীতির ধারক হিসেবে নয়। (বোখারী শরীফ)
৬. হযরত আনাস রাদিয়ালাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুলাহ সলালাহু আলাইহি ওয়া সালাম ইরশাদ করেছেন, তোমরা সহজ নীতি ও আচরণ অবলম্বন কর। কঠোরভাবে কোন নীতি অবলম্বন করবে না। সুখবর শোনাতে থাক। পরস্পরের প্রতি ঘৃণা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করো না। (বোখারী ও মুসলিম শরীফ)
Leave a Reply