ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী। ভোট পড়েছে ১১ দশমিক ৫১ শতাংশ। তার মানে মোট ভোটারের ৮৮ দশমিক ৪৯ শতাংশই ভোট দিতে আসেননি। এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে শতভাগ স্বচ্ছ ব্যালটে। এটাই হাবিবুল আউয়াল কমিশনের প্রথম শতভাগ স্বচ্ছ ব্যালটে ভোটগ্রহণ। নির্বাচন কমিশন বলছে, তাঁরা ১৭ জুলাই একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিয়েছেন। এদিকে নির্বাচনের খবর সংগ্রহ করতে যাওয়া সাংবাদিকদেরও একটি কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পিটিয়েছে নৌকার ব্যাজধারীরা। সেটি আবার পুলিশের উপস্থিতিতেই। হামলার ঘটনায় ১৯ জুলাই তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ঢাকায় পশ্চিমা মিশনগুলো। মার্কিন দূতাবাস থেকে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা গত ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী আশরাফুল আলম- যিনি হিরো আলম নামে পরিচিত, তার ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সহিংসতার কোনো স্থান নেই। আমরা পূর্ণ তদন্ত ও দোষীদের জবাবদিহির দাবি জানাই। আসন্ন নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয় সে জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানাই।’ বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী দূতাবাস ও হাইকমিশনগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এতে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ।
যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা,গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরটি এমন ছিল না যে তিনি এলেন, কথা বললেন, আর সব সমস্যার সুরাহা হয়ে গেল। মার্কিন প্রতিনিধিদলের সফর নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো বিচার-বিশ্লেষণ করেছে। সরকারি দল একভাবে ব্যাখ্যা করছে, বিরোধী দল আরেকভাবে। তিনি বলেছেন, ‘আসুন, আমরা বাংলাদেশের জনগণকে সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ করে দিই’, এর মধ্য দিয়ে নির্বাচন সম্পর্কে বেশ পরিষ্কার বার্তাই দেয়া হয়েছে। মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি সমস্যা সমাধানে সংলাপের ওপর গুরুত্বারোপ করলেও এর অংশীদার না হওয়ার কথা বলেছেন। বরং তারা চায় রাজনৈতিক দলগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করুক। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় সমাবেশ থেকে ‘এক দফা’ ঘোষণা করেছে। আওয়ামী লীগ বলছে, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হবে। বিএনপির দাবি, নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনার সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নিজ নিজ অবস্থান থেকে ‘এক দফা’ ঘোষণা করেও তারা সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ওপরই জোর দিয়েছে। তাদের লক্ষ্য যদি অভিন্ন হয়, তাহলে কেন সুষ্ঠু নির্বাচনের বাধাগুলো দূর করা যাবে না। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, সরকারি দল আওয়ামী লীগ বলছে এবার তারা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। প্রধান বিরোধী দল বিএনপির চাওয়াও তাই।
বাংলাদেশের নির্বাচন এবং রাষ্ট্রব্যবস্থায় গণতন্ত্রের স্থিতি ও বিকাশ নিয়ে বহির্বিশ্বের প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলোও কথা বলছে। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকায় হাজির ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল। নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইওনাউ দিমিত্রা। অনেকগুলো বৈঠক করেছে দলটি। বুঝতে চেষ্টা নিয়েছে নির্বাচনী হাওয়া কেমন! কতটুকু সংঘাতময় হবে অথবা হবে না। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সরকারি প্রভাব পড়বে কি! কেমন হবে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি!
ভোটের দিন এবং আগের তিন মাসকে নির্বাচনের সময় হিসেবে দেখে না পশ্চিমারা। বেশ লম্বা সময়কে নির্বাচনকাল হিসেবে বিবেচনা করে। যাতে নির্বাচনের বছর এবং তার পরের কয়েক মাস যুক্ত। ফলে নির্বাচনী পরিবেশ বলতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, বিরোধী দলগুলোর সভা-সমাবেশের স্বাধীনতা, ভোটদান প্রক্রিয়াতে নাগরিক সমাজের স্থানসহ সার্বিক মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো যুক্ত। বিরোধীদের সঙ্গে সরকার কীভাবে আচরণ করছে, এটি তাদের গভীর মনোযোগের বিষয়। ঢাকায় প্রতিনিধি দল আসার আগে ইউরোপের মাটিতে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে একটা আলাদা বিষয়ের অবতারণা ঘটে। তা হলো বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ভূমিকা রাখতে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ৬ সদস্য চিঠি লিখেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রবিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেলকে। গত ১২ জুন তারা ওই চিঠি পাঠান। চিঠিদাতারা হলেন- ইভান স্টিফেনেক ( স্লোভাকিয়া), মিকেইলা সিজদ্রোভা (চেক প্রজাতন্ত্র), অ্যান্দ্রে কোভাচভ (বুলগেরিয়া), কারেন মেলচিয়র (ডেনমার্ক), হ্যাভিয়ের নারত (স্পেন) ও হেইডি হাউতালা (ফিনল্যান্ড)। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো হলো- অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, সাইপ্রাস প্রজাতন্ত্র, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, হাঙ্গেরি, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, ¯েøাভেনিয়া, স্পেন এবং সুইডেন।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এই সদস্যরা চিঠিতে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে উদ্বেগ এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ২০০৯ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছে। তারা নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করেছে এবং সংবিধান প্রদত্ত মৌলিক অধিকারের প্রতি সম্মান দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। ক্ষমতা সংহত করার জন্য সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের, নির্যাতন, অপহরণ ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে। ঢাকায় অবস্থানরত ইইউ ডেলিগেশনের মাথায় নিঃসন্দেহে তাদের চিঠির সারবস্তু বিরাজমান।
কেন তারা বাংলাদেশের রাষ্ট্রব্যবস্থা এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে মাথা ঘামায়? এজন্য যে, সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সম্মিলিত চাপ রয়েছে, যেন বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগের নিরাপত্তা সঠিক মাত্রায় থাকে এবং একই সঙ্গে ওইসব দেশের মানবিক সমাজের লোকজন এমন পোশাক ক্রয় করতে অনাগ্রহী, যে পোশাকে শ্রমিকের দুঃখ লেগে থাকে। অতএব তাদের মতে,একটি দেশে সু-শাসন না থাকলে সেখানে গণতান্ত্রিক ভিত মজবুত হয় না, শ্রমিকের জীবনযাপনও সচ্ছল থাকে না।
বাংলাদেশে ইইউর ২ বিলিয়ন ডলারের এফডিআই মজুত রয়েছে। ইইউর বিনিয়োগ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেন, ‘আমি মনে করি, বাংলাদেশের দিক থেকে নীতিমালা পরিবর্তন করা হলে তা দ্রæত পরিবর্তিত হতে পারে। বাংলাদেশ ব্যবসা করার জন্য একটি চমৎকার জায়গা।’
সম্প্রতি ‘স্ট্রেংদেনিং বাংলাদেশ-ইউ ট্রেড এন্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন : ইস্যুজ এন্ড পলিসি প্রায়োরিটিজ’ শিরোনামে এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ইউরোপের ২৭ দেশে বছরে বাংলাদেশ এখন ২৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে। এর পরিমাণ আরো ১৮ বিলিয়ন বাড়ানো সম্ভব সক্ষমতা ও পণ্যের বৈচিত্র বাড়িয়ে। ২০০০-০১ সালে ইউকে এবং ইইউতে বাংলাদেশের মোট রপ্তানি ছিল ২.৫ বিলিয়ন ডলারের। গত ২০-২১ বছরে তা এখন ১০ গুণ বেড়ে ২৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। ইউরোপে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের শতকরা ৯০ ভাগই তৈরি পোশাক। আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো থেকে নেট এফডিআই প্রবাহ গত ৫ বছরে ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা এই সময়ের মধ্যে মোট এফডিআই প্রবাহের প্রায় এক-চতুর্থাংশ।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঘটাতে এখানে উন্নত প্রযুক্তি এবং প্রযুক্তি জ্ঞান দরকার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমাদের বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। তবে আমাদের রপ্তানি পণ্যের অধিকাংশই হলো গার্মেন্টস প্রোডাক্ট। এখানে বৈচিত্র দরকার। সহযোগিতা চুক্তির ফলে আমরা যদি উন্নত প্রযুক্তি এবং প্রযুক্তিজ্ঞান পাই, তাহলে সেটা আমাদের জন্য অনেক লাভজনক হবে। আমাদের পণ্যের মান বাড়ানো এবং পণ্যের ভ্যারিয়েশন বাড়ানো সম্ভব হবে। আর বিনিয়োগ আমরা আকৃষ্ট করতে পারব। সুতরাং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় ইইউ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর একটি গভীর সম্পর্ক আছে এবং তারই প্রেক্ষিতে তাদের বিনিয়োগকৃত অর্থের নিরাপত্তা এবং তাদের দেশের জনগণের পোশাক সরবরাহ বিঘœহীন রাখতে তারা বাংলাদেশের নিজস্ব রাজনৈতিক বিষয়ে একটি স্বর উত্থাপন করতে পছন্দ করে।
গণতন্ত্র হল চর্চার বিষয়। আধুনিক রাষ্ট্র ও জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার ব্যবস্থায় এখন পর্যন্ত গণতন্ত্রই প্রমাণিত সর্বোত্তম মতবাদ। আর গণতন্ত্রের প্রধান উপজীব্য হলো নির্বাচন। গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে বাংলাদেশে পাঁচ বছর পর পর অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন। হাতবদল হয় ক্ষমতার। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে গণতন্ত্রায়ন বা সাধারণ মানুষের অধিকারের বিষয়টি এখনো রয়েছে অধরা। প্রতিনিধিত্বশীল গণতান্ত্রিক দেশে প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকরা সরাসরি জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করে থাকে। সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশ অষ্ট্রেলিয়ায় ১৯২৪ সাল থেকে নাগরিকদের জন্য ভোট প্রদান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে ।
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা নাগরিকদের মতামত ও দাবি-দাওয়া তুলে ধরে সরকারের নিকট। চমৎকার একটি অংশীদারীত্ব গড়ে উঠে জনগণ ও সরকারের মাঝে। একারণেই গণতান্ত্রিক রাজনীতির অতি প্রয়োজনীয় অনুসঙ্গ হয়ে উঠেছে নির্বাচন। সরকারে সংখ্যাধিক্যের স্বাধীন মতামত নিশ্চিত করতেই অত্যাবশক অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। নির্বাচনের মুখ্য কাজই হলো স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক নেতৃত্ব এবং বৈধ সরকার প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু সব নির্বাচনই গণতান্ত্রিক নির্বাচন নয়। স্বৈরতান্ত্রিক ও একদলীয় শাসন কার্যকর রয়েছে এমন সব দেশও ক্ষমতা জায়েজ করতে লোক দেখানো প্রহসনের নির্বাচন করে থাকে।
বাংলাদেশে তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচনগুলো ছাড়া প্রায় প্রতিটি নির্বাচনেই নজির রয়েছে অনিয়মের। ফলে রাষ্ট্রের চেয়ে দল, দলের চেয়ে বড় হয়ে উঠেছে ব্যক্তি বিশেষ। প্রতিহিংসা, ব্যক্তি পূজা ও ভক্তি মার্গের রাজনীতির ব্যাপকতা এখন দুর্দমনীয়। বাক, ব্যক্তি, সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা চরমভাবে সংকুচিত। সীমাহীন দুর্নীতি ও অযোগ্য নেতৃত্বের হাতে বন্দি দেশবাসী । নির্বাচনের সময়টায় বরাবরই অনিবার্য হয়ে উঠে রাজনৈতিক সংঘাত। জনমনে বেড়ে যায় অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগ-উৎকন্ঠা। চলতি বছর এর মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুণে। জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থা সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোও সক্রিয় হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের নির্বাচনের ব্যাপারে।
দেশের মানুষ বিগত ১১টি সংসদ নির্বাচন দেখেছেন। এর মাঝে তিনটি নির্বাচনতো নির্দলীয় তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনেই অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাতেও কোন লাভ হয়নি। কারণ রাজনৈতিক দলগুলো মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও এখনো তা আত্মস্থ করতে পারেনি। বড় রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরে নেই গণতান্ত্রিক চর্চা। দলে নেতৃত্ব বিকাশের পথ রুদ্ধ। পরিবারতান্ত্রিকতার কারণে দলগুলো কার্যত পরিণত হয়েছে ব্যবসায়িক লিমিটেড কোম্পানীতে।
রাষ্ট্রের অবহেলিত নাগরিকরা সুশাসন, সামাজিক ন্যায়বিচার মানবিক মর্যাদা ও বৈষম্যের অবসান চান। অধিকার চান নিজেদের স্বাধীন মত প্রকাশের। গণতন্ত্র কি জিনিস তা তারা বোঝে না। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি বা স্যাংশন নিয়ে মাথাব্যথা নেই তাদের। মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীর একটি শ্লোগান ছিলো “ভোটের আগে ভাত চাই।” এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গুরুত্বপূর্ণ একটি দাবি উঠেছে ‘নির্বাচনের আগে চাই রাজনৈতিক সংস্কার’।
জাতীয় জীবনে বিদ্যমান কতিপয় মৌলিক সমস্যা এবং প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার যে অবিশ্বাস ও আস্থাহীনতা তা দূর করে দুর্নীতিবাজ, কালো টাকার মালিক ও পেশীশক্তির রাজনীতির অবসান ঘটানোর এখনই মোক্ষম সময়।
লেখক : এম এ কবীর, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক, কলামিস্ট ও সভাপতি ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটি।
Leave a Reply