অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইহুদিবাদী ইসরাইল বছরের পর বছর ধরে নিজেকে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় শক্তি হিসেবে উপস্থাপন করে এসেছে। এখন নজিরবিহীন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে পড়েছে।
আল-আলমের বরাত দিয়ে পার্সটুডে আরও জানিয়েছে, কাঠামোগত দুর্বলতা, অভ্যন্তরীণ বিরোধ এবং পতনসহ ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতা সেই ভেঙে পড়ারই ইঙ্গিত দেয়।
ইরান বিষয়ক ব্রিটিশ গবেষক ও রাজনীতি বিশ্লেষক ইউরি গোল্ডবার্গ আল জাজিরা নিউজ নেটওয়ার্কের ওয়েবসাইটে একটি নিবন্ধ লিখেছেন। ওই নিবন্ধে ইহুদিবাদী ইসরাইলের মন্ত্রিসভা নিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। বিশ্লেষণে উঠে এসেছে ঐক্য এবং সামরিক শক্তির প্রতীক নেসেট এখন রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠীগুলোর মধ্যকার গভীর মতবিরোধে জড়িয়ে পড়েছে।
দলীয় মতবিরোধ এবং নেতৃত্বের সংকটের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক পতনের সূচনা : ভঙ্গুর জোট, মন্ত্রীদের ঘন ঘন পদত্যাগ এবং অপরাধী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কর্মক্ষমতা নিয়ে জনমনে অসন্তোষ ইত্যাদি ঘটনা ইসরায়েলে নেতৃত্বের সংকটের ইঙ্গিত দেয়।
যেই নেতানিয়াহু একসময় নিজেকে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করতেন, তিনি এখন অভ্যন্তরীণ ব্যাপক প্রতিবাদ এবং পদত্যাগ করার জন্য আন্তর্জাতিক চাপের মুখোমুখি হচ্ছেন।
পতনের মুখে ইসরাইল : রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক চ্যালেঞ্জের কারণে ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থা পতনের পথে। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংকট সমাধানে অক্ষমতা, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্রমবর্ধমান বিচ্ছিন্নতা, ইহুদিবাদী ইসরাইলের ভবিষ্যৎকে ব্যাপক অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলেছে।
লক্ষণীয় যে, ইসরায়েল নিজেকে শক্তিশালী হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা চালিয়ে গেলেও, বাস্তবতা প্রমাণ করছে এই শাসনব্যবস্থা গুরুতর এবং নজিরবিহীন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন শেষ পর্যন্ত এই চ্যালেঞ্জ রাজনৈতিক ও সামাজিক কাঠামোতে মৌলিক পরিবর্তন আনতে পারে।