অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এক গৃহবধূকে নির্যাতনের পর স্কুল আঙ্গিনায় গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। পরে পুলিশ গিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে।
মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার চান্দপুর ইউনিয়নের হযরত চান্দু শাহ উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সাড়ে ছয় মিনিটের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরালও হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার সকালে স্কুলের সামনের রাস্তায় প্রতিবেশী গৃহবধূ রাবিয়া খাতুন ও তার স্বামী বাচ্চু মিয়ার সঙ্গে প্রধান শিক্ষক সৈয়দ নজরুল ইসলামের তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে রাবিয়া খাতুন উত্তেজিত হয়ে পড়লে প্রধান শিক্ষকও তার ওপর চড়াও হন। এতে প্রধান শিক্ষকের কিল-ঘুষিতে গৃহবধূ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
এ সময় গৃহবধূর স্বজনরা লাঠি নিয়ে তাড়া করলে প্রধান শিক্ষক দৌড়ে স্কুলের ভেতর ঢুকে যান। পরে তিনি খেপিয়ে দিলে শিক্ষার্থীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে ওই দম্পতির বাড়িতে হামলা চালায়। তারা ওই নারীকে মারধর করে স্কুলে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন।
খবর পেয়ে কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খানজাদা শাহরিয়ার বিন মান্নান পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তার নির্দেশে পুলিশ গৃহবধূ রাবিয়া খাতুনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
প্রধান শিক্ষক সৈয়দ নজরুল ইসলাম দাবি করেন, স্কুলের জমি নিয়ে ওই নারীর সঙ্গে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে তর্কাতর্কির সময় তার ওপর হামলা হলে তিনি দৌড়ে গিয়ে প্রাণে রক্ষা পান।
ইউএনও জানান, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনার কারণে গৃহবধূকে বর্তমানে কটিয়াদী মডেল থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি নিষ্পত্তির জন্য সালিশ বৈঠকে বসবেন বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply