অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : কুষ্টিয়ার মিরপুরে পূর্ব বিরোধের জেরে কৃষককে কুপিয়ে ও মারধর করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে।
সোমবার (৩০ জুন) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার আমলা ইউনিয়নের মিটন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত জমির উদ্দিন (৪৮) আমলা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মিটন গ্রামের মন্ডল পাড়ার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি কৃষিকাজ করতেন। অভিযুক্ত অনিক আহমেদ (২৩) একই গ্রামের সোনা খানের ছেলে। তিনি আমলা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি।
নিহতের ছেলে জিহাদ আলী বলেন, আজ দুপুর ২টার দিকে আমাদের নিজ বাড়ি থেকে আব্বু তার মামা বাড়ি যাচ্ছিলেন। এ সময় পথের মধ্যে অটোরিকশা থেকে তাকে নামিয়ে কুপিয়ে ও মারধর করে ছাত্রদল নেতা অনিক ও তার লোকজন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
জিহাদ আলী আরও বলেন, আহত অবস্থায় হাসপাতালের বেডে শুয়ে তিনি হত্যাকারীদের সবকিছু আমাদের বলেছেন। ছাত্রদল নেতা অনিক ও তার লোকজন পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমার আব্বুকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় জড়িত সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত জমির উদ্দিন জাসদের রাজনীতি করতেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতার আমলে জাসদ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ছাত্রদল নেতা অনিককে মারপিট করেছিল জমির। পূর্ব বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। অনিক ও জমিরের মধ্যে পূর্ব শত্রুতা ছিল। আমরা এলাকাবাসীরা ধারণা করছি- পূর্ব শত্রুতাকে কেন্দ্র করে অনিক ও তার লোকজন জমিরকে হত্যা করেছে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক ছাত্রদল নেতা বলেন, হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আমরা কোনো কিছু জানি না এবং এ ঘটনায় কে বা কারা জড়িত সেই ব্যাপারেও আমরা কিছু জানি না। তবে অনিক আমলা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি। যদি সে কোনো ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকে। তাহলে তার দায় তাকেই নিতে হবে।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনায় এখনো মামলা বা আটক হয়নি। তবে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে পুলিশ।