বশির আল-মামুন, চট্টগ্রাম : সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চট্টগ্রামে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় ৩ ত জন নিহত হয়েছেন। তারা চট্টগ্রাম কলেজের সমাজ বিজ্ঞান তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মো. ওয়াসিম আকরাম, কুমিল্লা জেলার ফারুক ও অপর জন ফিরোজ। তাদের মধ্যে ফারুক একটি ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী। ওয়াসিমের বাড়ী কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মেহের নামা গ্রামে। ফিরোজের ঠিকানা পাওয়া যায়নি। গুলিবিদ্ধ ১৫ জনসহ আহত হয়েছেন শতাধিক শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে নগরীর মুরাদপুর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ। তিনি বলেন, ‘সংঘর্ষে তিন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন পথচারী, অপরজন ছাত্র। নিহত ছাত্রের শরীরে আঘাত নেই। পথচারীর শরীরে আঘাত রয়েছে। আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।’
স্থানীয় সূত্র জানায়, নগরীর মুরাদপুর এলাকায় এই সংঘর্ষ শুরু হলেও তা ছড়িয়ে পড়ে বহদ্দারহাট থেকে জিইসি মোড় পর্যন্ত। কয়েক কিলোমিটার এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। একপক্ষ অপরপক্ষের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বিকাল ৩টা থেকে নগরীর ষোলশহর স্টেশনের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের কথা ছিল কোটা সংস্কার আন্দোলনরীদের। এর আগেই ষোলশহর স্টেশন দখল করে রাখেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। পরে কোটা আন্দোলনকারীরা মুরাদপুরে অবস্থান নেন। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ষোলশহর থেকে মিছিল নিয়ে মুরাদপুর গেলে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। এতে দুজন নিহত ও শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
এদিকে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হওয়া ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চট্টগ্রামে ৩ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।
Leave a Reply