এম এ কবীর, ঝিনাইদহ : ফুটপাত থেকে নামিদামি রেস্তোরাঁ- কোথাও নিশ্চিত হচ্ছে না নিরাপদ খাদ্য। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে মানহীন খাবার। খাবারে মেশানো হচ্ছে বিষাক্ত রঙ ও রাসায়নিক। বাদ যাচ্ছে না নিষ্পাপ শিশুর খাদ্যও; মেশানো হচ্ছে ভেজাল। ঘটছে অপমৃত্যু, বাড়ছে অসুস্থ মানুষের সংখ্যা। চারদিকে অনিরাপদ খাদ্যে সয়লাব হয়ে গেলেও তা প্রতিরোধে কার্যকর উদ্যোগ নেই। দিনের পর দিন প্রকাশ্যে এমন অনিয়ম চললেও দেখার কেউ নেই। অভিযান,অর্থদণ্ডের মতো কিছু কার্যক্রম থাকলেও তাতে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। তাই নামিদামি রেস্তোরাঁতেও খেতে বসে খাবারের মান নিয়ে সংশয়ে ভুগতে হচ্ছে ভোক্তাদের। মানসম্পন্ন খাবার নিশ্চিতে খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে পরিবহন, সংরক্ষণ, পরিবেশন এবং গ্রহণ পর্যন্ত প্রতিটি পদেই রয়েছে গলদ। খাদ্যের এই মান নিয়ে নানা উদ্বেগের মধ্যেই রবিবার (২ ফেব্রুয়ারী) ঝিনাইদহে পালিত হয়েছে ৮ম জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০২৫। এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘খাদ্য হোক নিরাপদ, সুস্থ্য থাকুক জনগণ’।
দিবসটি পালন উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১১টায় ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসন এবং বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ঝিনাইদহ জেলা কার্যালয়ে উদ্যোগে ‘নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সেমিনার’ অনুষ্ঠিত হয়।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাইফুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল।
বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ও ঝিনাইদহ পৌর প্রশাসক রথীন্দ্র নাথ রায়, কৃষি বিভাগের উপপরিচালক কৃষিবিদ ষষ্টি চন্দ্র রায়, ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি এম এ কবীর, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি আসিফ ইকবাল কাজল, হোটেল রেস্তোঁরা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম এবং ছাত্র প্রতিনিধি তারকিদ হাসান।
সভায় ডিজিটাল কনটেন্টে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নিরপাদ খাদ্য অফিসার সাধন সরকার।
প্রধান অতিথি বলেন, আমরা নিজেরা আগে সংশোধন হবো তারপর আমরা আমাদের পরিবারে এই অভ্যাস চর্চা করবো। পারিবারিক শিক্ষার মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য পাবার পরিবেশ তৈরী হবে। প্রত্যেক হোটেল রেস্তোঁরার মালিকরা তাদের রেস্তোরাঁর রান্নাঘরের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখবেন।
তিনি বলেন,টাস্কফোর্স এখন থেকে জোরদার অভিযান পরিচালনা করবে। তিনি বলেন, আমাদের বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে, সেগুলো নিয়েই সামর্থ্য অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে। তিনি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ এবং মোটিভেশনের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার আহবান জানান।
Leave a Reply