অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। বিশেষ করে খেরসন অঞ্চলে। ফলে সেখান থেকে বেসামরিক নাগরিকরা পালিয়ে যেতে শুরু করেছে। খবর বিবিসির।
খেরসনের ট্রেন স্টেশনে দেখা গেছে, ১৩ বছর বয়সী নিকা সেলিবানোভা দুই হাত জাগিয়ে বিমর্ষচিত্তে তার বন্ধুকে বিদায় জানাচ্ছে। এসময় তার বন্ধু ইন্নাও আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। এর আগে তারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেছেন। তারা এতটাই অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে যে, জানে না আবার কবে দেখা হবে।
নিকার পরিবার খেরসন ছেড়ে চলে যাচ্ছে, তবে শেষ পর্যন্ত কোথায় যাবে তা নিশ্চিত নয়। আপাতত তারা পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর খমেলনিটস্কির দিকে যাচ্ছে। সেখানে কিছু সাহায্য পাবে এই আশায়।
নিকার মা এলিনা বলেন, আগের রাশিয়ান বাহিনী দিনে সাত থেকে ১০ বার হামলা চলাতো। কিন্তু এখন ৭০ থেকে ৮০ বার হামলা চালানো হচ্ছে। তাই সারা দিনই আতঙ্কের মধ্যে কাটে। আমি ইউক্রেন ও আমার প্রিয় শহরকে ভালোবাসি। কিন্তু আমাদের এই শহর ছাড়তে বাধ্য হচ্ছি।
বড়দিনের পর থেকে কয়েক শতাধিক নাগরিক খেরসন চেড়েছেন। এলিনা ও তার চার মেয়েকেও একই পরিণতি ভোগ করতে হচ্ছে। কারণ রাশিয়া হামলা জোরদার করেছে।
ইউক্রেন সরকার সেখানে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর অংশ হিসেবেই ইলিনার পরিবার ট্রেনে করে খেরসন ছাড়ছেন। এভাবেই লাইন ধরে পরিবারগুলো খেরসন ছাড়ার চেষ্টা করছেন।
এদিকে ইউক্রেন ইস্যুতে খোলামেলা আলোচনায় বসতে প্রস্তুত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এমন বক্তব্যের একদিন পর রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, ইউক্রেনকে মস্কোর সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে নতুবা রাশিয়ার সেনাবাহিনী সিদ্ধান্ত নেবে।
Leave a Reply