অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম (৪৫) হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মারুফ মিয়াসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৩ রংপুর সদর দপ্তরের সদস্যরা। গ্রেপ্তারকৃত অপর দুইজন হলেন বিএনপির সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জয়নাল মিয়া ও জামায়াত কর্মী মোজাম্মেল হক।
মঙ্গলবার রাতে মারুফকে রংপুর নগরীর মুলাটোল এলাকার ব্যাংক কলোনী থেকে এবং বিএনপি নেতা জয়নাল মিয়া ও জামায়াতের মোজাম্মেল হককে গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার একটি দুর্গম চর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার দুপুরে নগরীর উত্তম হাজিপাড়া এলাকায় র্যাব-১৩ সদর দপ্তরে এক সবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কমান্ডিং অফিসার আরাফার ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে গত ১২ নভেম্বর রাতে যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা থেকে ছাইতনতলা আসার সময় রাস্তায় ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তার পথরোধ করে দাড়ায়। এক পর্যায়ে মারুফ মিয়াসহ তার সঙ্গীরা জাহিদুলকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে তার আত্মচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে প্রথমে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গভীর রাতে মৃত্যু হয় জাহিদুলের। মৃত্যুর সময় তিনি হামলাকারীদের নাম বলে যান।
এ ঘটনায় ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত পরিচয় ২০ জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে তার পরিবার। সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
র্যাব-১৩ কমান্ডিং অফিসার আরাফার ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা সম্প্রতি ঘটে যাওয়া নাশকতার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা র্যাবের কাছে স্বীকার করেছেন। আসামিদের সুন্দরগঞ্জ থানায় সোপর্দ করা হবে বলে জানান তিনি।