May 2, 2025, 7:44 pm
শিরোনামঃ
এইমাত্রপাওয়াঃ
আমাদের সাইটে নতুন ভার্ষনের কাজ চলছে সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

গাজাকে আমেরিকার মালিকানায় নিতে চান ট্রাম্প ; ওয়াশিংটনে বিক্ষোভ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকাকে আমেরিকার মালিকানায় নিতে চান বলে যে ঘোষণা দিয়েছেন তার প্রতিবাদে ওয়াশিংটনে বিক্ষোভ হয়েছে। আজ (বুধবার) ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন নাগরিকরা রাস্তায় নেমে ‘গাজা বিক্রির জন্য নয়’ বলে শ্লোগান দেন।

আমেরিকা সফররত ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে গতকাল (মঙ্গলবার) হোয়াইট হাউসে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে গাজা উপত্যকা নিয়ে কিছু সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। ঘোষণা অনুযায়ী ট্রাম্প গাজা উপত্যকাকে আমেরিকার মালিকানায় নিতে চান। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের প্রতিবেশী দেশগুলোতে স্থায়ীভাবে পাঠিয়ে উপত্যকাটির আবার উন্নয়ন এবং সেখানে কথিত ‘বিশ্ববাসী’র দখল প্রতিষ্ঠা করতে চান তিনি।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমেরিকা গাজার ‘নিয়ন্ত্রণ নেবে’ এবং এর ওপর তার ‘মালিকানা’ প্রতিষ্ঠা করবে। সব ফিলিস্তিনিকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার পর এ ভূখণ্ডের ওপর তিনি তাঁর দেশের ‘দীর্ঘমেয়াদি মালিকানা’ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেন। তবে কীভাবে ও কোন কর্তৃত্ববলে আমেরিকা গাজার দখল নিতে পারে, সে বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেননি তিনি।

ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা গাজা উপত্যকার দখল নেব এবং সেখান থেকে সব বিপজ্জনক অবিস্ফোরিত বোমা ও অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্র ধ্বংস করার দায়দায়িত্ব নেব। আমেরিকা এ উপত্যকার বিধ্বস্ত ভবনগুলো ‘সমান’ করবে, সেখানে ‘অর্থনৈতিক উন্নয়নকাজ চালাবে, সীমাহীন চাকরির ব্যবস্থা করবে এবং বিশ্ববাসীর জন্য বাড়ি তৈরি করবে।’

গাজাকে ‘মৃত্যু ও ধ্বংসের প্রতীক’ বলে উল্লেখ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, গাজার বাসিন্দাদের অন্য কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই বলেই তাঁরা সেখানে ফিরতে চান। মানবিক হৃদয়’ ও ‘ধনসম্পদ’ নিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে গাজায় বসবাসকারী ১৮ লাখ ফিলিস্তিনির চলে যাওয়া উচিত।’

ট্রাম্প বলেন, গাজাকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের সমুদ্রসৈকত’ হিসেবে গড়ে তোলা যেতে পারে, যেখানে ‘বিশ্বের লোকজন’ থাকতে পারবেন। ট্রাম্পের এ বক্তব্যের সঙ্গে তাঁর জামাতা জ্যারেড কুশনারের কথার মিল আছে। কুশনার বলেছিলেন, ‘সাগরপাড়ের সম্পত্তি’ গাজার মূল্য অনেক বেশি।

ট্রাম্পের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তিনি ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংকটের দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান সমর্থন করেন কি না। এ প্রশ্নে তিনি অস্পষ্ট জবাব দেন। গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র সরে যাওয়া উচিত—এ বক্তব্য তাঁর দ্বিরাষ্ট্রীয় নীতির বিরোধিতার ইঙ্গিত কি না, যা দশকের পর দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের গৃহীত পররাষ্ট্রনীতির বিরোধী, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন—‘না’।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘এটি দ্বিরাষ্ট্র বা এক রাষ্ট্র কিংবা অন্য কোনো রাষ্ট্র গঠন, এমন কিছুই বোঝায় না। এর অর্থ, আমরা এটি চাই (গাজার নিয়ন্ত্রণ)। আমরা লোকজনকে বাঁচার একটা সুযোগ দিতে চাই। গাজা উপত্যকা একটা নরকের গর্ত হয়ে থাকায় সেখানে কখনোই তাঁদের বাঁচার সুযোগ ছিল না। এটি ছিল আতঙ্কের জায়গা।’

ট্রাম্পের দাবি, তিনি যা বলেছেন, তার প্রতি অজ্ঞাত নেতাদের মধ্যে ব্যাপক সমর্থন রয়েছে। তাঁর কথায়, ‘এ সিদ্ধান্ত হালকাভাবে নেওয়া হয়নি।’ তাঁর আরও দাবি, ‘এ ভূখণ্ডের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানা প্রতিষ্ঠার ধারণা নিয়ে আমার দেওয়া বক্তব্যকে সবাই পছন্দ করেন।’

গাজায় নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় মার্কিন সেনা পাঠানোর সম্ভাবনাও নাকচ করে দেননি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘গাজা সম্পর্কে বলতে হয়, সেখানে যা করার প্রয়োজন, আমরা তা-ই করব। যদি এটির (সেনা পাঠানো) প্রয়োজন হয়, তবে আমরা তা-ও করব।’

সংবাদ সম্মেলনে গাজা নিয়ে ট্রাম্পের ধারণাকে সমর্থন জানিয়ে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট (ট্রাম্প) গাজা নিয়ে আলাদা রকমের ভবিষ্যৎ দেখেন। আমি মনে করি, এটি এমন কিছু, যা ইতিহাস বদলে দিতে পারে।’

ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গাজায় আমাদের কাজ শেষ করতে হবে। জেতার মধ্য দিয়ে এ যুদ্ধের সমাপ্তি টানবে ইসরাইল।’ প্রচলিত চিন্তাভাবনার বাইরে গিয়ে ভাবার জন্য ট্রাম্পের প্রশংসা করেন তিনি।

হোয়াইট হাউসে বসা মার্কিন প্রেসিডেন্টদের মধ্যে ট্রাম্পকেই ইসরাইলের এযাবৎকালের ‘সবচেয়ে ভালো বন্ধু’ হিসেবে আখ্যা দেন নেতানিয়াহু।

আজকের বাংলা তারিখ

May ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Apr    
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  


Our Like Page