অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইহুদিবাদী ইসরাইল যদি সত্যিই গাজা উপত্যকায় হামাসের টানেল পানি দিয়ে ভরে দেয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে তাহলে তা হবে সরাসরি যুদ্ধাপরাধ। জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার প্রথম উপ স্থায়ী প্রতিনিধি দিমিত্রি পলিয়ানস্কি গতকাল (শুক্রবার) জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে একথা বলেছেন। গাজায় ইহুদিবাদী বর্বর সেনাদের নারকীয় তাণ্ডব শুরুর পর চীন, রাশিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত চলতি ডিসেম্বরের শুরুতে এই জরুরী বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছিল।
বৈঠকে রাশিয়ার এ কূটনীতিক বলেন, “সম্প্রতি ইসরাইলের পক্ষ থেকে এই জঘন্য দুঃখজনক তথ্য প্রকাশ হয়েছে যে, তারা গাজার টানেলগুলোতে পানি ভরে দেয়া পরিকল্পনা করছে। এ পর্যন্ত যেসব তথ্য প্রকাশ হয়েছে তাতে একথা পরিষ্কার হয়েছে যে, ইসরাইলি সেনারা গাজার টানেলগুলোতে পানি ভরার জন্য পাম্প সেট করেছে এবং এ ব্যাপারে বাস্তব পদক্ষেপ নেয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা করছে। ইসরাইল যদি এটি করে তাহলে তা হবে নির্বিচার এবং সমুদ্রের পানি প্রবেশের ফলে গাজা উপত্যকা বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে উঠবে।”
এর আগে অক্টোবরের মাঝামাঝি তথ্য-প্রমাণ ছড়িয়ে পড়ে যে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদেরকে মিশরের দিকে তাড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করছে ইসরাইল।
পলিয়ানস্কি বলেন, ৭ অক্টোবর হামাসের অভিযানের বিপরীতে ইসরাইল যে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে তাকে কোনভাবেই ন্যায্য বলা যাবে না। তিনি বলেন, মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের মধ্য দিয়ে অন্য পক্ষের কাছ থেকে মানবাধিকার আশা করা যায় না।
রাশিয়ার এ কূটনীতিক সংশয় প্রকাশ করে বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ইসরাইলি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোনো কিছুই করতে পারবে না কারণ এই সংস্থাটি তার পশ্চিমা প্রভুর বিরুদ্ধে কোন কাজ করে না। ফলে আইসিসি ইসরাইলকে সম্ভবত ক্ষমা করে দেবে কারণ ইরাক, আফগানিস্তান এবং লিবিয়ায় পশ্চিমারা যে বর্বরতা চালিয়েছে সে ব্যাপারেও আইসিসি অন্ধ ছিল।
Leave a Reply