অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে চলমান ইসরাইলি গণহত্যা অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির যে প্রস্তাব তোলা হয়েছিল তাতে ভেটো দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে মানবতার শত্রু ইসরাইলকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেকে আরো বেশি একঘরে করে ফেলল ওয়াশিংটন।
গতরাতে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে সবগুলো আরব দেশের পাশাপাশি ৫৫টি দেশের পক্ষ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। চীন, রাশিয়া ও ফ্রান্সসহ নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টি স্থায়ী ও অস্থায়ী সদস্যদেশের মধ্যে ১৩টি প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। কিন্তু প্রস্তাবটির বিরোধিতা করে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা এবং ভোটদানে বিরত থাকে সাবেক উপনিবেশবাদী দেশ ব্রিটেন।
ব্রিটিশ সরকারের এই আচরণ প্রসঙ্গ দেশটির লেবার পার্টির সাবেক নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, “আজ রাতে যুক্তরাজ্য যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের একটি প্রস্তাব সমর্থন করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।” তিনি বলতে চেয়েছেন, ব্রিটেন ভোটদানে বিরত থেকে নিরপেক্ষ অবস্থান নেয়নি বরং গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
আমেরিকার নেতিবাচক ভূমিকায় অবাক হয়ে তাকিয়ে রয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস
শুক্রবার রাতে নিরাপত্তা পরিষদের ওই ভোটাভুটির আগে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস প্রস্তাবটি পাস করার জন্য সদস্য দেশগুলোর প্রতি জোর আবেদন জানিয়ে বলেছিলেন, গাজা উপত্যকার নিরপরাধ নারী ও শিশুদের প্রাণ বাঁচাতে এই মুহূর্তে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে।
বিশ্ব মোড়লের দাবিদার আমেরিকার ভেটোতে প্রস্তাবটি পাস না হওয়ায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপ রাষ্ট্রদূত মোহাম্মাদ আবুশাবাব দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, অবিরাম বোমাবর্ষণের শিকার গাজাবাসীর কাছে আমরা কোনো ভালো বার্তা পাঠাতে পারলাম না।
জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন উপ রাষ্ট্রদূত রবার্ট উড গতরাতের ভোটাভুটিতে অংশ নেন। তিনি দাবি করেন, মার্কিন সরকার গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার দাবিদার হলেও প্রস্তাবটিতে বাস্তবতা প্রতিফলিত হয়নি বলে ওয়াশিংটন এর বিপক্ষে ভোট দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যদিকে ওয়াশিংটনের মিত্র ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত বারবারা উডওয়ার্ড বলেছেন, প্রস্তাবটিতে হামাসের নিন্দা না করার কারণে লন্ডন ভোটদানে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
Leave a Reply