বশির আল–মামুন, চট্রগ্রাম : সুবিধা বঞ্চিত জনগণের দ্বারপ্রান্তে চক্ষু চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম পাহাড়তলীর চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনায় পটিয়া পৌরসভায় “পটিয়া উপ-কেন্দ্র” নামে আরো একটি ভিশন সেন্টারের যাত্রা শুরু হয়েছে। ২৯ জুলাই শনিবার সকাল ১১ টায় আনুষ্ঠানিকভাবে পটিয়া পৌরসভার নতুন থানার হাটস্থ প্রীতিলতা সড়কের মাল্টিপারপাস কিচেন মার্কেটের ৩য় তলায় ভিশন সেন্টারটির স্বাস্থ্যসেবা শুরু হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থেকে উদ্বোধন করেন পটিয়া পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মো. আইয়ুব বাবুল। তিনি ভিশন সেন্টারটি শুরু ফলে দক্ষিণ চট্টগ্রামের চক্ষু চিকিৎসা সেবার দ্বার উম্মোচন হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, দক্ষিণ চট্টগ্রামের চক্ষু চিকিৎসাবঞ্চিত জনগোষ্টি এই উপ-কেন্দ্র থেকে অনায়াসে চক্ষু চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন। এখানে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে আধুনিক চক্ষু চিকিৎসা সেবা দেয়া হবে। এছাড়া আধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ কেন্দ্রটিতে নানাবিধ সেবামূলক কর্মকান্ড চালু থাকবে। বিশেষ করে যারা শহরে যেতে পারেনা তারা এসে চট্টগ্রাম পাহাড়তলীর চক্ষু হাসপাতালের মত সেবা পাবেন। উপ-কেন্দ্রের উদ্যোক্তা, আন্তর্জাতিক চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালের ম্যানেজিং ট্রাস্টি অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন সারের কাছে সেবার মনোভাব বিদ্যমান রয়েছে। তাই স্যারকে সবার উপরে স্থান দিতে হয়। আপনারা স্যারের জন্য দোয়া করবেন, যেন চক্ষু চিকিৎসাসেবা বঞ্চিতদের জন্য তিনি প্রতিটি উপজেলায়, পৌরসভায় এমন একটি করে উপ-কেন্দ্র চালু করতে পারেন।
অনুষ্ঠানে চিকিৎসা সেবা ও আনুষঙ্গিক বিষয়ে দিক-নির্দেশনামুলক বক্তব্য রাখেন, আন্তর্জাতিক চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালের ম্যানেজিং ট্রাস্টি অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন। তিনি বলেন, দেশের বিশাল জনগোষ্ঠি এখনো চক্ষু চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত। নগর থেকে গ্রামঞ্চলে মানসম্মত উন্নত চক্ষু চিকিৎসা সেবার পরিধি বৃদ্ধিতে চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল একের পর এক সেবামূখী প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সেবা পাওয়ার মনোভাব নিয়ে এতদঅঞ্চলে এই ভিশন সেন্টার চালু হয়েছে। জনগনের দৌড়গড়ায় চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে মিরসরাই, ফেনী, কক্সবাজারের ঈদগাঁ এবং পটিয়াসহ কয়েকটিস্থানে ভিশন সেন্টার চালু করেছি। বিশেষ করে শহরের নিকটস্থ পটিয়া পৌরসভায় এটা চালু সম্ভব হয়েছে পটিয়া পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মো. আইয়ুব বাবুলের আন্তরিক উদ্যোগের ফলে। এসব উপ-কেন্দ্রেগুলোতে ভবিষ্যতে শুধূ মেয়র না, আরো উদ্যোক্তা যারা আছে আমরা তাদেরকেও সম্পৃক্ত করবো।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৩৫ ভাগ হল শিশু। তাদের জন্য স্পেশাল কোন ব্যবস্থা নেই। তাই এই উপ-কেন্দ্রে সেবার পাশাপাশি আরো একটা সেবা চালু থাকবে। সেটা হচ্ছে শিশুদের চক্ষু চিকিৎসা। যত ভিশন সেন্টার করেছি পটিয়ায় এটা সবচেয়ে উন্নতমানের। আপনারা পাশে থাকবেন, আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া এখানে সেবা দেয়া সম্ভব না।
চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান ওসমানীর উপস্থাপনায় মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ আহমেদ আল কাদেরী। বক্তব্য রাখেন, অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. আনানথ এন রাও, চক্ষু হাসপাতালের মেডিক্যাল ডিরেক্টর ডা. রাজীব হোসেন, রোটারী ক্লাব অব চিটাগাং খুলশী সেন্ট্রালের চার্টার প্রেসিডেন্ট মো. রিজোয়ান শাহিদী, পৌরসভায় কাউন্সিলর গোফরান রানা, পৌরসভায় কাউন্সিলর সফিউল আলম, আবদুল আলীম প্রমূখ।
Leave a Reply