অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে জেলার চারটি স্থানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলার হরিণাকুন্ডু পৌরসভার বলফিল্ডসহ চারটি স্থানে আজ সকালে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদ উদ্যাপনের এধারা গত ২৪ বছর ধরে চলে আসছে।
জানা গেছে, প্রতিবছর সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু পৌরসভার বলফিল্ডের সামনে ভালকি, নিত্যনন্দনপুর, কালীগঞ্জের বারোবাজার ও সদর উপজেলার একটি অংশের মুসল্লিরা পৃথকভাবে ঈদের নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এসময় ঈদ জামাতের ইমামতি করেন মোঃ রেজাউল ইসলাম।
স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রোজা পালন ও ঈদ উদ্যাপন করে আসছেন। চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে ঈদ পালনের বিষয়ে তাদের নিজস্ব বিশ্বাস রয়েছে।
মুসল্লি শাহাদত হোসেন বলেন, সৌদি আরবকে অনুসরণ করে গত ২৪ বছর ধরে রোজা ও ঈদ উদ্যাপন করে আসছি। এবারও আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে ঈদের জামাত সম্পন্ন করেছি।
এদিকে, জেলার সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসল্লিরা চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঈদ উদ্যাপন করবেন বলে জানা গেছে। তবে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে একদিন আগে ঈদ উদ্যাপন করা মুসল্লিদের প্রতিও তাদের সম্মান ও সহমর্মিতা রয়েছে।
ঈদের নামাজ পড়তে আসা রাশেদুল ইসলাম বলেন, বিগত ২৪ বছর ধরে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করেন এলাকাবাসী। প্রতিবছরের মত এবারও ঈদের নামাজ আদায় করেছি। বর্তমানে জেলার আরো তিনটি জায়গায় সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদের জামাত হয়।
ঈদের জামাতে অংশগ্রহণকারী মুসল্লি সাইফুল ইসলাম বাসসকে বলেন, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে ঈদের নামাজ পড়তে হরিণাকুণ্ডু এসেছি। পৃথিবীর কোথাও যদি সাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়, আর তা যদি দুই জন মহিলা ও দুই জন পুরুষ মুসলিম সাক্ষ্য দেয়, তাহলে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ ফরজ হয়ে যায়।
আয়োজকদের একজন আব্দুর রশিদ বলেন, শরীয়তে স্পষ্ট বলা হয়েছে সাওয়াল মাসের প্রথম দিন পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ বা ঈদ উদযাপন করতে হবে। সেকারণে আমরা অন্যান্য মুসলিম দেশের সাথে একই সাথে ঈদের নামাজ আদায় করেছি।
ঈদের মাঠের ইমাম রেজাউল ইসলাম বলেন, হরিণাকুণ্ডুর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লিরা এখানে আসেন ঈদের নামাজ আদায় করতে। এবার হরিণাকুণ্ডুর বাইরে থেকেও মুসল্লিরা আসছেন। আমরা হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে অনুসরণ করি। পৃথিবীর যে প্রান্তেই চাঁদ দেখা যাক না কেন রোজা রাখতে হবে, আবার নতুন চাঁদ দেখা গেলে ঈদ উদযাপন করতে হবে।