অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : গাজায় প্রতিষ্ঠিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী আজ (শনিবার) আরো চার ইসরাইলি নারী সেনাকে মুক্তি দিতে যাচ্ছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এর বিনিময়ে ইসরাইলি কারাগার থেকে ২০০ ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পাবেন যাদের মধ্যে রয়েছেন একজন প্রখ্যাত হামাস কমান্ডার।
হামাসের সামরিক বাহিনী আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবায়দা গতকাল (শুক্রবার) এ খবর জানিয়ে গাজায় বলেছেন, গত রোববার কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে শনিবার আরেক দফা বন্দি বিনিময় হবে।
যে চার ইসরাইলি নারী সেনা শনিবার মুক্তি পাবে তাদের নামও প্রকাশ করেন আবু ওবায়দা। তার ওই ঘোষণার পরপরই ইহুদিবাদী গণমাধ্যমগুলো মুক্তি পেতে যাওয়া চার নারী সেনার ছবি প্রকাশ করেছে এবং তাদের পরিবারের সদস্যদেরকে গাজা সীমান্তে নিয়ে আসার প্রস্তুতি নিয়েছে যাতে মুক্তি পাওয়ার পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে তারা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হতে পারে।
এদিকে ওই চার ইসরাইলি নারী সেনার প্রত্যেকের বিনিময়ে ৫০ জন করে ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিতে যাচ্ছে তেল আবিব। চুক্তি অনুযায়ী, আজ যে ২০০ ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পাচ্ছেন তাদের মধ্যে আল-কাসসাম ব্রিগেডের জেনিন শাখার কমান্ডার জাকারিয়া জুবাইদিও রয়েছে।
কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র জানান, ২০২১ সালে ইসরাইলের গিলবোয়া কারাগার থেকে খাবারের চামচ ব্যবহার করে গর্ত খুঁড়ে যেসব ফিলিস্তিনি বন্দি পালিয়ে এসেছিলেন জুবাইদি ছিলেন তাদের অন্যতম। কিন্তু পরে ইসরাইলি সেনারা জেনিন শরণার্থী শিবিরে হানা দিয়ে তার স্ত্রী ও সন্তানদের জিম্মি করার মাধ্যমে ৪৯ বছর বয়সি এই কমান্ডারকে আবার আটক করে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় এবং ওই দিনই প্রথম দফায় হামাস তিন ইসরাইলি নারী সেনাকে মুক্তি দেয়। এর বিনিময়ে ইহুদিবাদী সরকার ৯০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দেয়। প্রথম দফায় মুক্তিপ্রাপ্ত এই ৯০ জনের সবাই অধিকৃত পশ্চিম তীরের অফের কারাগার থেকে মুক্তি পান।
গাজা উপত্যকায় ১৫ মাসের আগ্রাসন সত্ত্বেও ইসরাইল নিজের ঘোষিত কোনো লক্ষ্য অর্জন করতে না পেরে গত ১৫ জানুয়ারি হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই করে। চুক্তিটি কয়েক ধাপে বাস্তবায়িত হওয়ার মাধ্যমে ইসরাইল গাজা থেকে পুরোপুরি সেনা প্রত্যাহার করে নেবে বলে কথা রয়েছে।
Leave a Reply