October 13, 2025, 5:41 pm
শিরোনামঃ
ঝিনাইদহে স্বামীর তালাবদ্ধ দোকানঘর থেকে স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার পিআর ইস্যুটি আগামী সংসদের ওপর ছেড়ে দিতে হবে : বিএনপি মহাসচিব আগামী ১৬ অক্টোবর ইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে ‌‘কারাগার’ ঘোষণা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন জারি আগামী ১৮ নভেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ লিটারে ৬ টাকা বাড়লো বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ঈশ্বরদীতে কুরিয়ারের পার্সেলের ভেতর থেকে সাড়ে ১৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার চট্টগ্রামে ১০ হাজার পিচ ইয়াবাসহ বাস চালক ও হেলপার গ্রেফতার টাঙ্গাইলে মা ইলিশ সংরক্ষণে মোবাইল কোর্টের অভিযান ; ৭ হাজার ৫০০ মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসে সুনামগঞ্জে ভূমিকম্প বিষয়ক মহড়া
এইমাত্রপাওয়াঃ

চীনের হাসপাতালগুলোতে রহস্যময় নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের উপচে পড়া ভিড়

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : চীনের রাজধানী বেইজিং এবং পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ লিয়াওনিংয়ের হাসপাতালগুলো ‘রহস্যময়’ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের ভিড় উপচে পড়ছে। প্রতিদিন হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিতে আসছে গড়ে ৭ হাজার শিশু।

বৃহস্পতিবার এই সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৩ হাজার, যা গত এক মাস আগে এই রোগটির প্রাদুর্ভাবের পর থেকে সর্বোচ্চ। চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত বেতার সংবাদমাধ্যম চায়না ন্যাশনাল রেডিও নিশ্চিত করেছে এই তথ্য।

প্রতিদিন এতসংখ্যক অসুস্থ শিশু আসতে থাকায় চিকিৎসাসেবা দিতে রীতিমতো হিমসিম খাচ্ছে বেইজিং ও লিয়াওনিংয়ের হাসপাতাল ও শিশু হাসপাতালগুলো। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েইবোতে পোস্ট করা ভিডিওগুলোতে বিভিন্ন হাসপাতালের সামনে অসুস্থ শিশুদের নিয়ে অভিভাবকদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। অনেক অভিভাবক অভিযোগ করেছেন, অসুস্থ শিশু সন্তানকে নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাসপাতাল লবি বা চত্বরের বাইরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে তাদের।

হাসপাতালগুলোর চাপ এড়াতে বৃহস্পতিবার বিবৃতি দিয়েছে চীনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ন্যাশনাল হেলথ কমিশন। বিবৃতিতে যেসব শিশু মৃদু উপসর্গে ভুগছে, তাদেরকে হাসপাতালের পরিবর্তে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ও শিশু স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে নিয়ে যাওয়ার জন্য অভিভাবকদের অনুরোধ জানিয়েছে কমিশন।

পাশাপাশি যেসব শহর-গ্রাম ও অঞ্চলে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে— সেসব অঞ্চলে প্রায়োজনীয় সংখ্যক অস্থায়ী স্বাস্থ্য ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র গড়ে তুলতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

গত অক্টোবরের শেষ দিক থেকে বেইজিং এবং লিয়াওনিংয়ের শিশুদের মধ্যে রহস্যজনক নিউমোনিয়া ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। রোগটিকে রহস্যজনক নিউমোনিয়া বলার কারণ হলো— নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা যেমন শ্বাসকষ্টে ভোগেন, অজানা এই রোগটিতে আক্রান্ত শিশুদের মধ্যেও এ উপসর্গের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে। তবে নিউমোনিয়ার রোগীদের শ্বাসকষ্ট ছাড়াও কফ ও বুকে ঘড়ঘড় শব্দের মতো উপসর্গ দেখা যায়— আক্রান্ত শিশুদের ক্ষেত্রে তা দেখা যায়নি।

তবে শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি উচ্চমাত্রার জ্বরের মতো উপসর্গ রয়েছে আক্রান্ত শিশুদের। এছাড়া শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে আক্রান্ত প্রত্যেক শিশুর ফুসফুসে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ফোসকা বা ফুস্কুড়ি পরিলক্ষিত হয়েছে। জলবসন্ত রোগে মানুষের শরীরে যেমন ফোসকা ওঠে, সেসবের সঙ্গে মিল রয়েছে সেগুলোর।

গত ১২ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশজুড়ে প্রতিদিনই বাড়ছে এই রোগটিতে আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যা। করোনাকালে জনগণ যেসব বিধিনিষেধ মেনে চলতেন, অজানা এই নিউমোনিয়ার ছড়িয়ে পড়া রোধ করতেও দেশের লোকজনজকে সেসব বিধিনিষেধ মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন কমিশনের কর্মকর্তারা।

জনস্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক নজরদারি সংস্থা প্রোমেড ইতোমধ্যে এক বিবৃতিতে এ বিষয়ক সতর্কবার্তা জারি করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চীনের শিশুদের মধ্যে বর্তমানে যে নিউমোনিয়া শুরু হয়েছে, সেটির কতখানি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে— তা এখনও নির্ণয় করা যায়নি।

এদিকে, রহস্যময় এই নিউমোনিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করতে চীনকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানিয়েছে জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ডব্লিউএইচও’র প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার জের, ইনফ্লুয়েঞ্জা, মাইক্রোপ্লাজমা নিউমোনিয়া (শিশুদের ক্ষেত্রে সাধারণভাবে যে নিউমোনিয়া দেখা যায়), শ্বাসতন্ত্রের ভাইরাস, করোনার জন্য দায়ী সার্স ভাইরাস— এসবের যে কোনো একটি বা একাধিক কারণ অপরিচিত এই নিউমোনিয়ার উত্থানের জন্য দায়ী।

‘তবে চীন যদি আরও বিস্তারিত তথ্য প্রদান করে, সেক্ষেত্রে এ ব্যাপারে আরও সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারব আমরা,’ বিবৃতিতে বলেছে ডব্লিউএইচও।

প্রসঙ্গত গত অক্টোবরের মাঝমাঝি এক বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছিল, রাজধানী বেইজিংসহ চীনের বিভিন্ন অঞ্চলে ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় অসুস্থতার হার বাড়ছে।

অক্টোবর নভেম্বরে ঋতু পরিবর্তনের সময় চীনে স্বাভাবিকভাবেই ইনফ্লুয়ঞ্জা বা সর্দিজ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পর্যালোচনা অনুযায়ী, গত তিন বছরের তুলনায় চলতি বছর চীনে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি। সূত্র : সিএনএন

 

আজকের বাংলা তারিখ

October ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Sep    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  


Our Like Page