অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনইএসসিএপি) অধীন দুটি মর্যাদাসম্পন্ন আঞ্চলিক সংস্থার গভর্নিং কাউন্সিলে সদস্যপদ লাভ করেছে দেশটি।
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ইউএনইএসসিএপির ৮১তম বার্ষিক অধিবেশনে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আঞ্চলিক সহযোগিতায় বাংলাদেশের সক্রিয় নেতৃত্ব এবং অব্যাহত ভূমিকা আন্তর্জাতিক মহলে স্বীকৃতি পেয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) প্রকাশিত এক সরকারি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
নির্বাচিত দুটি সংস্থা হলো—এশিয়া-প্যাসিফিক ট্রেনিং সেন্টার অন আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্ট (এপিসিআইসিটি) এবং এশিয়া-প্যাসিফিক সেন্টার ফর দ্য ডেভেলপমেন্ট অব ডিজাস্টার ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট (এপিডিআইএম)। তিন বছরের জন্য বাংলাদেশ এ দুটি সংস্থার গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে কাজ করবে।
ইউএনইএসসিএপির ৮১তম অধিবেশনে সভাপতির দায়িত্ব পান নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, আর বাংলাদেশ থেকে অর্থ উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী সহসভাপতি নির্বাচিত হন।
অধিবেশনের উদ্বোধনী পর্বে প্রচারিত একটি ভিডিও ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতা আরও জোরদারের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব এবং শূন্য কার্বন নিঃসরণ—এই তিন মূলনীতিকে সামনে রেখে নতুন এক পৃথিবী গড়ে তোলার সময় এসেছে। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়নের পথে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির কথাও তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন।
অর্থ উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলে ছিলেন আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, ইআরডি সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকীসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা এবং থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
প্রধান অধিবেশনের পাশাপাশি বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল ইউএনইএসসিএপির নির্বাহী সচিবের সঙ্গে এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেয়। বৈঠকে তথ্যপ্রযুক্তি খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির উপায়, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আঞ্চলিক সক্ষমতা বৃদ্ধির দিক নিয়ে আলোচনা হয়।
দুটি আঞ্চলিক সংস্থার গভর্নিং কাউন্সিলে বাংলাদেশের এই বিজয় আন্তর্জাতিক পরিসরে দেশের বেড়ে ওঠা প্রভাব এবং আস্থার প্রতিফলন বলে মন্তব্য করা হয়। এতে সদস্যরাষ্ট্রদের সমর্থনের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বাংলাদেশ।