অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আরব লীগে সিরিয়ার প্রত্যাবর্তনের পাশাপাশি ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনকে স্বাগত জানিয়েছেন আরব বিশ্বের নেতারা।
গতকাল (শুক্রবার) সৌদি আরবের জেদ্দায় আরব লীগের ৩২তম শীর্ষ সম্মেলনে দেয়া ভাষণে নিজেদের এ মনোভাব ব্যক্ত করেন আরব নেতারা।
শীর্ষ সম্মেলনের প্রধান আকর্ষণ ছিলেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। তিনি ১২ বছর পর আরব লীগের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন।
আমেরিকার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে গত ৭ মে সিরিয়াকে আবার আরব লীগে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গত মার্চ মাসে ইরান ও সৌদি আরব কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়ার পর মধ্যপ্রাচ্যের কূটনৈতিক অঙ্গনে বড় ধরনের কিছু পরিবর্তন আসে।
সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পাশাপাশি ইয়েমেনে আগ্রাসন বন্ধ করে সৌদি আরব। আরব লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এসব পরিবর্তনকে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা শক্তিশালী করার সহায়ক হিসেবে বর্ণনা করেন।
সম্মেলনের উদ্বোধনি ভাষণে আলজেয়ারিয়ার প্রধানমন্ত্রী আইমান বিন আব্দুররহমান আরব লীগে সিরিয়ার প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানান। ইরাকি প্রধানমন্ত্রী শিয়া আল-সুদানি বলেছেন, সিরিয়া এখন তার ‘সঠিক জায়গায়’ ফিরে এসেছে। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় এ পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তেহরান-রিয়াদ সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠাকে স্বাগত জানিয়ে ইরাকি প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ঘটনায় আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা শক্তিশালী হবে।
আরব লীগে সিরিয়ার প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়ে আরো যেসব আরব নেতা বক্তব্য রাখেন তাদের মধ্যে রয়েছেন জর্দানের রাজা দ্বিতীয় আব্দুল্লাহ, লেবাননের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি, কুয়েতের যুবরাজ শেখ মিশাল আল-আহমাদ আস-সাবাহ, তিউনিশিয়ার প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদ, মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আস-সিসি প্রমূখ।
Leave a Reply