July 29, 2025, 4:15 pm
শিরোনামঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুরে বিয়ে হওয়ায় স্কুল থেকে শিক্ষার্থীকে বের করে দিলেন প্রধান শিক্ষক ২০২৬ সালের একুশে পদকের জন্য মনোনয়ন আহ্বান আওয়ামী লীগকে কেন্দ্র করে পুলিশের বিশেষ শাখা কর্তৃক ‘বিশেষ সতর্কতা’ জারি জাল ইমিগ্রেশন স্ট্যাম্পে মালয়েশিয়ায় প্রবেশচেষ্টার দায়ে ১৫ বাংলাদেশি আটক অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্স ও চায়না মিডিয়া গ্রুপের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সাক্ষর থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার যুদ্ধবিরতি ঘোষণাকে স্বাগত জানাল বাংলাদেশ আগামী বৃহস্পতিবার মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবি ; ৪ দিন পর ৯ জেলে উদ্ধার ; এখনও নিখোঁজ ৬ জন ঝিনাইদহে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ    সাতক্ষীরায় সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে প্রচারণা 
এইমাত্রপাওয়াঃ
আমাদের সাইটে নতুন ভার্ষনের কাজ চলছে সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

ঝিনাইদহের মহেশপুরে বিয়ে হওয়ায় স্কুল থেকে শিক্ষার্থীকে বের করে দিলেন প্রধান শিক্ষক

স্টাফ রিপোর্টার : সদ্য বিবাহিত এক কিশোরী। চোখে ছিল পুলিশ অফিসার হওয়ার স্বপ্ন। কিন্তু বাবার অকাল মৃত্যু আর সংসারের টানাপোড়েনে সে স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায় তার। শেষমেশ বাধ্য হয়েই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয় ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার চাপাতলা গ্রামের মনিরুল ইসলামের মেয়ে রিনা আক্তারের।

মনিরা চায়, আর দশটা শিক্ষার্থীর মতোই তারও যেন স্কুলে ফিরে লেখাপড়া করার অধিকার থাকে। সমাজ ও শিক্ষাব্যবস্থার কাছে তার আবেদন আমার স্বপ্ন যেন থেমে না যায়।

দশম শ্রেণীর ছাত্রী মনিরা এখনো স্বপ্ন দেখে লেখাপড়া করে শিক্ষক হওয়ার। তাই বিয়ের পরও থেমে থাকতে চায়নি সে। নিজের ইচ্ছাকে বাস্তবে রূপ দিতে স্কুলে যায় সে, কিন্তু সেখানেই বাধে বিপত্তি। গত ২০ জুলাই মাকে সঙ্গে নিয়ে মনিরা স্বরুপপুর কুসুমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যায়। সেখানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মমিনুল রহমান তাকে ক্লাসে বসতে দেননি বরং জানিয়ে দেন বিবাহিত মেয়েরা স্কুলে পড়তে পারবে না।

মনিরা ও তার মা প্রধান শিক্ষকের কাছে অনেক অনুরোধ করলেও কোনো লাভ হয়নি।

এরপর নিরুপায় হয়ে মহেশপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ দেন মনিরা। কিন্তু অভিযোগ দেওয়ার পরেও মেলেনি কোনো সুরাহা।

স্কুলে না যেতে পেরে ভেঙে পড়েছে মনিরা। তার ভাষ্য, আমি লেখাপড়া করে শিক্ষক হতে চাই। বিয়ে হয়েছে মানে এই না যে আমার স্বপ্ন শেষ। আমি স্কুলে ফিরে যেতে চাই।

মনিরার মা আফরোজা খাতুন জানান, মনিরা লেখাপায় মোটামুটি ভালো তাই জামাইয়ের অনুমতি নিয়ে মনিরা আমাকে নিয়ে তার স্কুলে গেলে প্রধান শিক্ষক তাকে কøাসে বসতে দেয়নি। তিনি সাফ জানিয়ে দেয় বিবাহিত মেয়েরা স্কুলে পড়তে পারবে না।

এই ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক প্রধান শিক্ষকের এমন মনগড়া আচরণে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। কারণ শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা কোনো সরকারি নির্দেশনায় নেই যে, বিবাহিত শিক্ষার্থীরা স্কুলে পড়তে পারবে না।

স্বরুপপুর কুসুমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মমিনুর রহমানের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন অভ্যন্তরীণ আইন করে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে ।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকতা দীনেশ চন্দ্র পাল জানান, বিয়ে হয়ে যাওয়ার কারণে একজন শিক্ষার্থীকে ক্লাস করতে দেওয়া হয়নি এমন একটি অভিযোগ পেয়ে সাথে সাথে প্রধান শিক্ষককে ফোন করে সেই শিক্ষার্থীকে ক্লাসে ফিরিয়ে আনতে বলেছি।

এ বিষয়ে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাদিজা আক্তার বলেন, বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

 

 

আজকের বাংলা তারিখ



Our Like Page