ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহে জমি বিক্রির কথা বলে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে অবসরপ্রাপ্ত এক শিক্ষক ও তার ছেলের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী জমি ক্রেতা জমি পেতে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিলেও কোন সমাধান পাচ্ছে না। শিক্ষক ও তার ছেলের এই প্রতারণার বিচার চেয়ে বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন।
জানা যায়, ২০২২ সালের নভেম্বরে আদর্শপাড়ার বাসিন্দা কেসি কলেজের সাবেক অধ্যপক মাহবুবুর রহমানের কাছ থেকে পাগলাকানাই সাদাতিয়া সড়কে ২ টি মৌজার ২ টি দাগ থেকে ৩৪ শতক জমি ২ কোটি ৪০ লাখ টাকায় কেনার জন্যর প্রস্তাব করেন ভুক্তভোগী ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বানিয়াকান্দর গ্রামের আব্দুল্লাহ আল-মামুন। জমি রেজিস্ট্রির সময় টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও মাহবুবুর রহমান অসুস্থ হয়ে ঢাকায় গিয়ে বায়নাস্বরূপ ১ কোটি টাকা দাবী করে। ভুক্তভোগীরা মাহবুবুর রহমানের ছেলে নাজমুস সাকিবের মাল্টিট্রেড এলায়েন্স নামীয় পূবালী ব্যাংক শাখায় ১ কোটি টাকা জমা করেন। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে রেজিস্ট্রি করার কথা দেয় মাহবুবুর রহমান ও তার ছেলে নাজমুস সাবিক। সেসময় তারা স্ট্যাম্পে বায়না নামা করেন। সেই সাথে জমি মেপে মামুনকে বুঝে দিলে মামুন জমি পরিস্কার ও মাটি ভরাট করে দখল করে।
এদিকে টাকা পাওয়ার থেকেই প্রতারণা শুরু করে অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ও তার প্রতারক ছেলে নাজমুস সাকিব। দিনের পর দিন তার সাথে যোগযোগ করলে নানা টালবাহানা শুরু করে প্রতারক বাবা-ছেলে। মোবাইলে ফোন দিলে তার ফোন রিসিভ করেন না। এমনকি দেখা হলেও তাকে এড়িয়ে চলা শুরু করেছে।
ভুক্তভোগী মামুন বলেন, আমি জমি বায়না করার পর বায়না মুলে কয়েকটি প্লট করে বিক্রি করে দিয়েছি। এখন ক্রেতারা আমার বাড়িতে এসে ধর্ণা দিচ্ছে। আমার কাছ থেকে কোটি টাকা নিয়ে প্রতারক বাবা ছেলে এখন জমি রেজিস্ট্রি করে দিচ্ছে না। আমি থানা, পৌরসভায় অভিযোগ দিলেও এখনও কোন উপকার পাচ্ছি না। আমি টাকা দিয়েছে আমি এখন আমার জমি চাই।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত অধ্যাপক মাহবুবুর রহমানকে ফোন দিলে রঙ নাম্বার বলে কল কেটে দেন। আর প্রতারক ছেলে নাজমুস সাকিব ফোন রিসিভ করেন নি।
Leave a Reply