স্টাফ রিপোর্টার : সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ঝিনাইদহের নগর বাথান (পুটেপাড়া) গ্রামের কাজী নজরুল ইসলামের মেয়ে ঝুমুর খাতুন। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধায় কোটচাঁদপুর উপজেলার শিকারকুন্ডু গ্রামের তাজুলের মেহগনি বাগানে। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেছেন ভিকটিম ঝুমুর খাতুন। গত ২৫ নভেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর সংশোধনী ২০০৩ এর ৯ (১) ৭/৩০ ধারা এবং পর্ণোগ্রাফী আইনের ৮(১)৮(৩) ধারায় এ মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় আসামী করা হয়েছে কোটচাঁদপুর উপজেলার শিকারকুন্ডু গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে শাহাদত হোসেন (৩০),কাউছার আলীর ছেলে লাভলু রহমান (৩২) এবং শফি উদ্দীন ওরফে শফিকুলের ছেলে উজ্জল হোসেন (৩০) কে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে ভিকটিম গত ২১ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে কোটচাদপুর উপজেলার শিশারকুন্ডু গ্রামে তার খালা ছুটু বেগমের বাড়িতে বেড়াতে যায়। এ সময় ভিকটিম গ্রামের পাকা রাস্তার ধারে তাজুলের মেহগনি বাগানের কাছে পৌছলে সন্ধ্যা কালিন পরিবেশে ধর্ষক শাহাদত,লাভলু এবং উজ্জল ঝুমুর কে উঠিয়ে মেহগনি বাগানে নিয়ে যায় এবং একের পর এক গণধর্ষণ করে। এ সময় ভিকটিমের আর্তচিৎকারে আগে থেকে খুজতে তার কালা ছুটু বেগম,হাশেম মোল্লা এবং পথচারী মুজিবুর রহমান তাকে উদ্ধার করে। পরবর্তিতে ভিকটিম কোটচাঁদপুর থানায় মামলা দিতে যায়। তবে থানা পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায়।
ভিকটিম কোন প্রতিকার না পেয়ে গত ২৫ নভেম্বর ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেন (পি বি আই) কে তদন্তের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। ভিকটিম ঝুমুর খাতুন জানান চিহ্নিত ধর্ষকরা তাকে মামলা তুলে নিতে ভয়ভীতি দেখানো সহ জীবন নাশের হুমকী দিচ্ছে। তিনি বলেন আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমার খালা ছুটু বেগম সহ অন্যান্য স্বাক্ষীদের গুম খুনের হুমকী দিয়ে যাচ্ছে এমনকি গ্রাম থেকে পরিবার সহ তাদেরকে বিতাড়িত করার ষঢ়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে উজ্জল, শাহাদত এবং লাভলু কে তাদের ফোনে একাধীকবার যোগাযোগ করা হলেও তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
Leave a Reply